ঢাকা     শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ৯ ১৪৩১

আমাদের আপারা কখন ‘স্যার’ হয়ে গেছেন টের পাইনি

ড. কাজল রশীদ শাহীন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৫৩, ২৬ মার্চ ২০২৩   আপডেট: ১৭:১৬, ২৬ মার্চ ২০২৩
আমাদের আপারা কখন ‘স্যার’ হয়ে গেছেন টের পাইনি

খোদ স্যার যদি ‘স্যার’ নিয়ে গ্যাঁড়াকলে পড়েন, তাহলে অন্যদের কীভাবে চলে- আমরা ভেবে দেখেছি কি? এই অন্যেরা মানে আমজনতা। যাদের পদ ও পদবি নেই। থাকলেও সেটা কহতব্য নয়। বললেও চোখ বড়ো করে তাকানোর মতো নয়। এ দেশে, এই শাসক ও প্রশাসক বর্গের মাঝে তারা কেমন আছে, সেটা বোধ করি ভাবার অবকাশ আমরা পাচ্ছি না। 

দুই-একজন স্যার আছেন তারা ভাবেন। কিন্তু সেটাও হঠাৎ আলোর ঝলকানির মতো, দেখা দিয়েই মিলিয়ে যায়। অবস্থা তথৈবচ হয়ে দাঁড়ায়। অথচ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল সবাইকে নিয়ে বাঁচা, সাম্য প্রতিষ্ঠা করা, শাসক ও প্রশাসক বর্গের মাঝে রাজা ও প্রজায় ন্যায্যতা নিশ্চিত করা। সেসব কেবল কাগজে-কলমে রয়ে গেছে। সংবিধান কেবল ধারণ করে রেখেছে। যা প্রমাণিত হলো রংপুরের ঘটনায়। যা এখন দেশজুড়ে আলোচনার খোরাক যোগাচ্ছে। ফেসবুকপ্রিয় জাতি নিজেদের মতো করে নানাপ্রকার নসিহত হাজির করছে। কিন্তু সেভাবে সমস্যাটার শেকড় কোথায় আর কীসেইবা তার সমাধান সেসব নিয়ে ভাবিত নয় বলে মনে হচ্ছে। 

সমস্যাটা কোথায় আর কীসে তার সমাধান সেসব নিয়ে বলার আগে জেনে নিই রংপুরের ঘটনার ভেতর-বাহির। আসলে কী হয়েছিলে সেদিন। আর কেনইবা উদ্ভুত পরিস্থিতি তৈরি হলো।

গত বুধবার সন্ধ্যা শেষাশেষি সময়ে হঠাৎ দেখা গেল তুহিন ওয়াদুদের স্ট্যাটাস। তিনি নানান বিষয়ে সক্রিয়, সরব ও প্রতিবাদী একজন স্যার। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলার এই অধ্যাপক পাখির ছবি তুলে বেড়াচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরে। ক্যাম্পাসকে সবুজময় করতে গাছ লাগাচ্ছেন ও পরিচর্যা করে যাচ্ছেন দিনের পর দিন। নদী রক্ষায় আন্দোলন করছেন। উনার লেখালেখিতেও স্পষ্ট যে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠায় দরদী এক মন সদা জাগ্রত রাখেন। প্রথমে মনে হয়েছিল নদী, কিংবা পাখি নিয়েই বুঝি লিখেছেন কিছু। কিন্তু না বিষয়টা মোটেই তেমন নয়। লেখা সামান্যই, ছবিতেই বোঝা যাচ্ছে উদ্দিষ্ট বিষয়। একটা কাগজ হাতে নিয়ে বসে আছেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকজন শিক্ষক উমর ফারুক। এই ভদ্রলোককে যারা চেনেন তারা সকলেই জানেন উনারও নানা বিষয়ে রয়েছে আগ্রহ ও উদ্যম। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কেবল শিক্ষকতা করা যে দায় ও দায়িত্ব নয়, সেটা স্পষ্ট বোঝা যায় উনার কার্যক্রমে। আবৃত্তির দল করেন, বইমেলার আয়োজন করেন, রংপুরের প্রথম শহীদ শংকু সমজদারের নামে প্রতিষ্ঠিত একটা পাঠশালা পরিচালনা করেন। এবং লেখালেখি করেন। উনার লেখালেখির বিষয় ‘আমপাতা জোড়া জোড়া’ মার্কা নয়। সমস্যা ধরার চেষ্টা যেমন করেন, কারণ তালাশ করেন এবং সেই কারণের সমস্যা সমাধানে বাধা কোথায় তা চিহ্নিত যেমন করেন, তেমনি সমাধানেও পরামর্শ দেয়ার চেষ্টা জারি রাখেন। সেই উমর ফারুক বসে আছেন মেঝের সিঁড়িতে। হাতে একটা কাগজ ধরে রেখেছেন। সেখানে লেখা ‘‘রংপুরের জেলা প্রশাসক ‘স্যার’ ডাকতে বাধ্য করায় অবস্থান কর্মসূচী’’। পাশেই বসা উনার একমাত্র মেয়ে অক্ষর-এর হাতেও রয়েছে একটা কাগজ। সেখানে লেখা, ‘‘রংপুরের জেলা প্রশাসক ‘স্যার’ ডাকতে বাধ্য করার প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি’’।

রংপুরের জেলা প্রশাসক যে, চৌকস  ও প্রত্যুৎপন্নমতি সম্পন্ন তা বোঝা গেল পরিস্থিতিকে জিইয়ে না রাখায় এবং প্রলম্বিত করতে না দেয়ায়। অবস্থান কর্মসূচি শুরুর পাঁচ থেকে সাত মিনিটের মধ্যেই তিনি হাজির হয়ে বিষয়টির সুরাহা করে দাড়ি টেনে দিয়েছেন। যদিও তিনি ওই ঘটনার পর উমর ফারুককে এক কাপ চা খাওয়ার আমন্ত্রণ জানাননি। পুরো এক কার্যদিবস পেরোলেও ডিসি মহোদয় ফোন করে একটা কুশল বিনিময়ও করেননি। তা হলে কী দাঁড়াল বিষয়টা? 

উনি কি পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য কেবল যতটুকু করার ততটুকুই করেছেন? মেনে নিয়েছেন, কিন্তু মনে নেননি।

ঘটনার পরদিন রাত্রে কথা হয় উমর ফারুকের সঙ্গে। তিনি যা জানালেন তার প্রায় পুরোটাই সংবাদ মাধ্যমে এসেছে। তারপরও উনার থেকে সরাসরি যা জানা গেল, তা হলো ওইদিন তিনি একজনের মাধ্যমে ডিসি মহোদয়ের কাছে সন্ধ্যা ছয়টায় সময় চেয়ে নেন। বিষয় উনার প্রতিষ্ঠিত শংকু সমজদার পাঠশালা। কয়েক মিনিটের মধ্যেই আলাপ শেষ হয়। বিদায় নেয়ার সময় ‘আপা’ বলে সম্বোধন করেন। জেলা প্রশাসক চিত্রলেখা নাজনীন তখন বলেন, ‘এখানে একজন পুরুষ বসে থাকলে কী বলতেন’? উনি বলেন, ‘ভাই বলতাম’। তিনি বলেন, ‘‘এই চেয়ারকে ‘স্যার’বলে সম্বোধন করা উচিৎ। এই চেয়ারে যিনি আছেন তাঁকে ‘স্যার’ বলে সম্বোধন করা উচিৎ।’’

তখন উমর ফারুক বলেন, ‘ইউ আর দ্য সার্ভেন্ট অব দ্য স্টেট’। আপনি কেমন করে প্রত্যাশা করেন যে এই চেয়ারকে ‘স্যার’ বলে সম্বোধন করা উচিৎ। ঘটনাটা এখানেই শেষ হয়ে যেতে পারত। এদেশে এমনটাই হয়। সরকারী কর্মচারীরাও জানেন এভাবে কতজনকেই তো উনারা ‘উচিৎ অনুচিতের’ গল্প শুনিয়ে দেন, তাতে কীবা যায় আসে।কিন্তু ঘটনাটা যেহেতু ঘটেছে উমর ফারুকের সঙ্গে, তিনি এর ভেতরে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন এবং তাৎক্ষণিকভাবেই। উনার মনে হয়েছে একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের সঙ্গেই যদি এমনটা করা হয় তাহলে অন্যদের ক্ষেত্রে কী অবস্থা! অন্যেরা তাহলে কেমন ব্যবহার পান? এই ভাবনা থেকেই তিনি অবস্থান কর্মসূচিতে বসে পড়েন। বাকীটা সকলেরই জানা। 

রংপুরের ঘটনাকে যদি বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা মনে করা হয় তাহলে সেটা হবে মস্তো বড়ো ভুল। যে কোনো সরকারি অফিসে কোনো রেফারেন্স ছাড়া সেবা কেমন হয় আর রেফারেন্সে গেলে কেমন হয়, তা কেবল তাদের পক্ষেই কল্পনা করা সম্ভব যাদের এ ধরণের অভিজ্ঞতা রয়েছে। সরকারি অফিসগুলো নিজেদের মতো করে একটা নিয়ম-কানুন তৈরি করে নিয়েছে। ফলে, সাধারণ মানুষের সঙ্গে তাদের ক্রমাগত দূরত্ব তৈরি হচ্ছে। এই অবস্থার সমাধান কোথায় তা নিয়ে কারো কোনো হেলদোল নেই।

উমর ফারুকের সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে এরকম ঘটনা কি এবারই প্রথম ঘটল, নিশ্চয় নয়। এই ঘটনা কি ভবিষ্যতে ঘটবে না, নিশ্চয় ঘটবে। অভিজ্ঞতা তো তেমনই বলছে। গুগলে সার্চ দিলে মুহূর্তে হাজির হবে ইউএনও, ডিসি মহোদয়দের স্যার শুনতে চাওয়ার জারিজুরি। সরকারের ঊর্ধ্বতন মহল যে এসবে অবহিত নয়, তা কিন্তু নয়। উনারা এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে গুরুত্বপূর্ণ কথাও বলেছেন। কিন্তু কোনো সমাধানে যাননি। এ কারণেই চিত্রলেখা নাজনীনরা ‘স্যার’ সম্বোধন শুনতে আগ্রহী নন কেবল, বাধ্য করে তুলতেও কসুর করেন না।

সম্বোধন মোটেই হেলাফেলার বিষয় নয়। যে কোনো কাজে দু’পক্ষের মধ্যে সেতুবন্ধ রচিত হয় সম্বোধনের মধ্যে দিয়ে। অথচ সরকারি কর্মচারীদের ক্ষেত্রে কী সম্বোধন করা হবে তার নির্দিষ্ট গাইড লাইন নেই। বলা হচ্ছে সরকারি কর্মচারীরা যিনি সেবা নিতে আসবেন অর্থাৎ সেবাগ্রহীতাকে ‘স্যার’ বলে সম্বোধন করবেন। তাহলে পাল্টা সম্বোধন কী হবে- সৌজন্যতাবশত তখন ‘স্যার’ই বলতে হবে, নাকি? তাহলে তো ওই ‘স্যার’ এর গ্যাঁড়াকলে পড়া গেল। এ থেকে মুক্তি বা পরিত্রাণ মিললো না? মুক্তি বা পরিত্রাণ তখনই মিলবে যখন এটা নিয়ে পরিষ্কার কোনো নিয়ম জারি করা হবে। এবং সেটা ‘স্যার’ এর গ্যাঁড়াকল মুক্ত হলেই ভালো। তা না-হলে কাজের কাজ কিছু হবে না। 

মনে রাখা জরুরি, এমনিতেই সরকারি কর্মচারীসহ শাসক ও প্রশাসকবর্গের সঙ্গে সাধারণ মানুষের একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে। যে দূরত্ব রোধ বা নিরসনের জন্য ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন হলো, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করা হলো। সেই ব্রিটিশ হটিয়ে পাকিস্তানিদের তাড়িয়ে এমন দেশ আমরা প্রতিষ্ঠিত করলাম যেখানে আমাদের ভাইয়েরা পদ-পদবি পেয়ে ‘স্যার’ হয়ে গেলেন। বোনেরা-বুবুরা, আপা না হয়ে ‘ম্যাডাম’ হলেন। যেখানে কথা ছিল নিশ্চিত করা হবে সকলের উন্নয়ন। বাস্তবে সেখানে সরকারি কর্মচারী আর সাধারণ মানুষের মাঝে রচিত হলো দুস্তর ব্যবধান। উন্নয়ন আর সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হলো এক পক্ষের। অন্যপক্ষকে আটকে দেয়া হলো ‘স্যার’ এর গ্যাঁড়াকলে। সাধারণ মানুষকে কেবল কথা আর প্রতিশ্রুতির আফিম খাইয়ে বুঁদ করে রাখা হয়েছে। এই অবস্থার অবসান না হলে উমর ফারুকের অবস্থান কর্মসূচি শেষ হলেও পরিস্থিতির উত্তোরণ ঘটবে না। চিত্রলেখা নাজনীনরা ‘স্যার’ সম্বোধন শুনতে না পেয়ে আহত হওয়ার ঘটনাও বন্ধ হবে না।

সরকারি কর্মচারী আর সাধারণ মানুষের মাঝে মিলনের একত্রিত হওয়ার সকল সুযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এমনকি গণপরিবহনও আলাদা হয়ে গেছে। কেনাকাটার জায়গাও আলাদা হয়ে যাচ্ছে। এখন একটা দেশের জনসংখ্যার সর্বোচ্চ সুবিধাভোগী একটা অংশ যদি এমন সুবিধাপ্রাপ্ত হয় যে, তাদের থাকা-খাওয়া থেকে শুরু করে শিক্ষা, চিকিৎসা, প্রার্থনাস্থান এমনকি চলাচলের পরিবহণ পর্যন্ত সবই আলাদা করে দেয়ার ব্যবস্থা হবে, তাহলে সাধারণ মানুষেরা তাদের সঙ্গে মিলবে কীভাবে? কোথায় হবে একে অপরের ভাব বিনিময়। কোথায় তারা সমব্যথী আর সতীর্থ হবে? এসব প্রশ্নের সুরাহা হওয়া জরুরি। তা না হলে রাষ্ট্র এক হলেও বাসিন্দা তৈরি হচ্ছে দুই মেরুর। মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্রে এমন ব্যবধান প্রত্যাশিত ছিল না। 

আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ছিল ভাইয়ে ভাইয়ে কাঁধ মিলিয়ে দেশ স্বাধীন করার মূলমন্ত্র। অথচ সেই স্বাধীন দেশের পঞ্চাশ বছর পেরিয়ে এসে আমরা দেখছি আমাদের ভাইয়েরা রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধার বদৌলতে ‘স্যার’ বনে গেছেন। আমাদের আপারাও এখন আপা সম্বোধনে আবেগ ভালোবাসা শ্রদ্ধা সম্মান খুঁজে পান না। উনারাও চেয়ারের দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করেন, যে চেয়ারের অপর নাম ‘স্যার’। আমরা টের পাইনি আমাদের আপারা কখন ‘স্যার’ হয়ে গেছেন!

উমর ফারুককে ধন্যবাদ। উনি ‘স্যার’ নিয়ে গ্যাঁড়াকলে পড়ে আমাদেরকে স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, আমাদের ভাইয়েরা আপারা এখন ‘স্যার’ হয়ে গেছেন। উমর ফারুক একজন শিক্ষক। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক। উনার ভাবনাটা সত্যিই যথার্থ। একজন শিক্ষক হয়েই যদি রাষ্ট্রের একজন কর্মচারীকে ‘স্যার’ সম্বোধনের নির্দেশ শুনতে হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের কী দুর্দশা। উনাদের মনোযোগ কি সেবা প্রদানে নাকি স্যার শুনতো চাওয়ার মধ্যেই নিহিত?

কেউ মনে রাখুক আর না রাখুক, এ কথা সর্বৈবভাবে সত্যি যে, যিনি সচিব হলেন, ডিসি, ইউএনও কিংবা ম্যাজিস্ট্রেট উনাদের সকলের সকল সুযোগ সুবিধা ও বেতন নিশ্চিত করা হয় সাধারণ মানুষের টাকায়। যে মানুষটা ডিসি হলেন তিনি যদি ওই চেয়ারে বসার পর ভুলে যান তিনি আজ যা হয়েছেন তার পেছনে তার ওই কাজিনের অবদান আছে যে মাঠে কাজ করে। ওই খালাতো বোনটার অবদান রয়েছে যে গার্মেন্টস’র সামান্য একজন শ্রমিক। ওই চাচার অবদান আছে যে গ্রামের একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। এরকম অনেক অনেক মানুষের অবদানে তিনি আজ সম্মানীয় হয়েছেন, সবাইকে গর্ব ও গৌরবের সুযোগ করে দিয়েছেন। কিন্তু সেই তিনি যদি চেয়ারে বসে সব ভুলে ‘স্যার’ হয়ে যান তাহলে তার চেয়ে বেদনার, লজ্জার, আফশোসের আর কিছু কি থাকে? 

আমরা কি এই বাংলাদেশ চেয়েছিলাম, যেখানে একদল মানুষ ‘স্যার’ হয়ে যাবে আর আমরা কুঁকড়ে যাব স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় আর উমর ফারুকের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন স্যারও পড়বেন ‘স্যার’ এর গ্যাঁড়াকলে?

লেখক: সাংবাদিক, সাহিত্যিক ও গবেষক

তারা//


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়