বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নিবন্ধন নীতিমালায় সংকট কাটবে তো?
গত ১১ নভেম্বর বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নিবন্ধন নীতিমালা-২০২৩ গেজেট প্রকাশ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই নিবন্ধন নীতিমালার মাধ্যমে সরকার বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ কিন্ডারগার্টেনগুলোকে নীতিমালার আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে। এ ধরনের উদ্যোগকে ভালো বলতে হয়। তবে, এর কয়েকটি শর্ত বিশেষ করে তিনটি শর্ত মেনে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা অসম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
তাদের আশঙ্কা এতে প্রায় অর্ধ লাখ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যেতে পারে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে এ ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়া মানে অত্র এলাকার শিশু শিক্ষার্থীদের শিক্ষাগ্রহণে এক ধরনের ধাক্কা লাগা। শুধু তাই নয়, এর সঙ্গে জড়িত শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীরাও বেকার হয়ে পড়বেন। তারপরও, শিক্ষার উন্নয়নে ছোটখাট ক্ষয়-ক্ষতি মেনে নেওয়ার মধ্যে একটি যুক্তি আছে। কিন্তু তারপরেও কথা থেকে যাচ্ছে।
বার্ষিক প্রাথমিক বিদ্যালয় শুমারি (এপিএসসি)-২০২৩ তথ্য মতে, আমাদের দেশে ৬৫হাজার ৫৬৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। এ ছাড়াও ছয় হাজার ১৪০টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। কিন্ডারগার্টেনের সংখ্যা ২৬ হাজার ৪৭৮। এ ছাড়া এনজিও ও অন্যান্য প্রাথমিক বিদ্যালয় চালু আছে। তবে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ঐক্য পরিষদের দাবি, অনিবন্ধিত এমন বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৫০ হাজার। যেখানে প্রায় দশ লাখ শিক্ষক ও প্রায় এক কোটি শিক্ষার্থী আছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ বিষয়ে বলেন, ‘এই নীতিমালা বাধা নয়, একটি কাঠামো ও শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসার উদ্যেগ। যেখানে সেখানে কিন্ডারগার্টেন নামে স্কুল খুলবেন আর যাচ্ছেতাইভাবে চালাবেন তা হতে পারে না। বিধিমালাটি এতটাই সহজ যে, বিদ্যালয় নিবন্ধনের জন্য এখন ঢাকায় আসতে হবে না। নিজ জেলা থেকেই করা যাবে। তাদের যতটুকু সহযোগিতা দরকার আমরা দেব। তবে সরকারির সব নির্দেশ, সব শর্তই মানতে হবে।’
এটি একটি চিত্র যা স্বভাবতই শিক্ষাসংশ্লিষ্ট এবং শিক্ষা প্রশাসনের মেনে নেওয়ার মতো নয়। সেটি হচ্ছে যত্রতত্র প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে প্রশিক্ষণবিহীন শিক্ষক, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, শিশুদের অনুপযোগী পরিবেশের মধ্যে শিক্ষাদান করা। তারপর অনিয়ন্ত্রিতভাবে শিক্ষা ফি আদায় করা। আবার এটিও দেখতে হবে যে, এই বিষয়টি এমনি এমনি গড়ে ওঠেনি। এ ধরনের পরিবেশ তৈরি হয়েছে বলেই অভিভাবকগণ তাদের সন্তানদের বিনা বেতনের স্কুল বাদ দিয়ে এ ধরনের ছোট ঘরের মধ্যে বিদ্যালয়ে পাঠাতে বাধ্য হচ্ছেন। অর্থ খরচ করতে বাধ্য হচ্ছেন। সেই বিষয়টি কিন্তু আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।
সম্প্রতি সরকারি বিভিন্ন সংস্থার জরিপে উঠে এসেছে প্রাথমিক শিক্ষার চিত্র। গত আগস্টে প্রকাশিত প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও ইউনিসেফের এক গবেষণায় বলা হয় তৃতীয় শ্রেণির প্রায় ৬১ শতাংশ ও পঞ্চম শ্রেণির ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী গণিতে শিক্ষাক্রম অনুযায়ী যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। তৃতীয় শ্রেণির ৫১ শতাংশ ও পঞ্চম শ্রেণির ৫০ শতাংশ বাংলায়ও দুর্বল। ২০২২ সালে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের গবেষণায় বলা হয়েছিল করোনা সংক্রমণের আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ইংরেজি যতটা শিখত, করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তা সাড়ে ১২ শতাংশ কমে গেছে। একই প্রতিষ্ঠানের করা ২০১৩ সালের জরিপের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের কাঙ্খিত যোগ্যতা কমেছে। এ ধরনের স্টাডি বারবার হওয়া প্রয়োজন। বিভিন্ন সংস্থা থেকে হওয়া প্রয়োজন সরকারি প্রাথমিকের একটি সঠিক চিত্র পাওয়ার জন্য।
তবে, এখানে যে চিত্র উঠে এসেছে এবং আমরা যারা শিক্ষা নিয়ে কাজ করি তাদের পর্যবেক্ষণ ও অভিজ্ঞতা বলে দিচ্ছে, সরকারি প্রাথমিকের অবস্থা দু’চারটি ব্যতিক্রম ছাড়া সর্বত্র করুণ। ডিজি মহোদয় বলেছেন যে, শিক্ষার্থীদের পাঠদানে ব্যাহত হওয়ার সুযোগ নেই কারণ সারা দেশে যথেষ্ট পরিমাণ সরকারি স্কুলসহ পর্যাপ্ত শিক্ষক আছেন। এরই মধ্যে ৩৭ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আরও শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন। দুর্গম এলাকার বা কোথাও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংকট থাকলে সেখানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনে সরকারি উদ্যোগ নেবে। এটি সত্য যে, সংখ্যার দিক থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা কিন্তু আমাদের দেশে কম নেই। কিন্তু সেগুলো কি জনসংখ্যার অনুপাতে আছে? উত্তর না।
দ্বিতীয় আরেকটি বিষয় হচ্ছে, জেলা শহর, বিভাগীয় শহর ও রাজধানীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো কি কোনোভাবে বেসরকারিগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় আসতে পারে? যদি তাই হয় তাহলে শহরাঞ্চলে তো এত কিন্ডারগার্টেন নামক বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন হতো না। শহরাঞ্চলে তো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খুঁজে পাওয়া খুব একটা সহজ নয়। আমরা নিজেদেরকেই প্রশ্ন করতে পারি আমরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে কি ধরনের শিক্ষা দিচ্ছি যে, একটু সচ্ছল হলেই অভিভাবকগণ তাদের সন্তানদের আর সরকারি প্রাথমিকে পাঠাতে চাচ্ছেন না। এমনকি একজন রিকশাওয়ালা আমাকে বললেন, তার দুটো সন্তান কিন্ডারগার্টেনে পড়ে। খরচ চালাতে খুব কষ্ট হয়। তবুও তিনি সরকারি বিদ্যালয়ে পাঠাচ্ছেন না। কারণ সেখানে নাকি খুব একটা কিছু শেখানো হয় না। এটি তো এক ধরনের দৃশ্যমান বাস্তবতা। এটি কি আমরা অস্বীকার করতে পারি?
একাধিক বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কিন্ডারগার্টেন কর্তৃপক্ষ বলেছেন নির্ধারিত জমি বা ভাড়া করা বাড়িতে বিদ্যালয় পরিচালনা, পার্শ্ববর্তী সরকারি প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষককে ব্যবস্থাপনা কমিটিতে রাখা এবং পাঠদান ও নিবন্ধন অনুমতির জন্য পৃথক আবেদন ও অর্থ খরচের শর্ত দেওয়া হয়েছে বিধিমালায়। প্রায় সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তিন শর্তের প্রতিটি পূরণ করতে ব্যর্থ হবে। ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধের পাশাপাশি বেকার হবেন শিক্ষক কর্মচারী, পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হবে শিক্ষার্থীদের। আর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে ধীরে ধীরে সবাইকে নিবন্ধন নিতে হবে। আমরাও এটি সমর্থন করি। কারণ রাষ্ট্রের মধ্যে থেকে সম্পূর্ণ নিজমতে বা নিজেদের ইচ্ছায় প্রতিষ্ঠান চালানো সমীচীন নয়। তবে, নীতিমালার আওতায় আনার শর্তে যদি এসব প্রতিষ্ঠানগুলোকে হয়রানির মধ্যে পড়তে হয় যেটি আমাদের রাষ্ট্রীয় কালচারে বিদ্যমান সেটি যাতে না হয় সেই নিশ্চয়তা কে বা কারা দিবেন আমাদের চিন্তার বিষয় এটি।
এই নীতিমালা বাস্তবায়নের মাধ্যমে কিন্ডারগার্টেনগুলো বন্ধ ও বেকারত্ব বাড়ানোর পায়তারা হচ্ছে বলে কিন্ডারগার্টেন ঐক্য পরিষদের সভাপতি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। শর্তগুলোতে তিনি অসঙ্গতি দেখছেন। মেট্রোপলিটন এলাকায় বিদ্যালয়ের জন্য দশমিক শূন্য আট একর জায়গার বাধ্যবাধকতা দেওয়া হয়েছে যা প্রতিষ্ঠানগুলোর কারোর পক্ষে পূরণ করা সম্ভব নয়। বিশেষ করে বাণিজ্যিক এলাকাগুলোতে এই পরিমাণ জমিতে আট থেকে দশ লাখ টাক দিয়ে স্কুলের জন্য ভবন ভাড়া পাওয়া যাবে না। এসব এলাকায় বিদ্যালয় পরিচালনার জন্য প্রথম সব শর্ত পূরণ করে এক বছরের জন্য পাঁচ হাজার টাকা ফি দিয়ে পাঠদান অনুমতি নিতে হবে। এরপর পাঠদান কার্যক্রম সন্তোষজনক হলে পরবর্তী সময়ে ১৫ হাজার টাকা ফি দিয়ে পাঁচ বছরের জন্য নিবন্ধন আবেদন করতে হবে।
ঐক্য পরিষদের সভাপতি বলেন, ‘নিজেদের অর্থায়নে স্কুল পরিচালনা করে সেই অর্থের তদারকি ও নিয়োগপ্রক্রিয়া পরিচালনা করবেন অন্য স্কুলের প্রধান শিক্ষক, এটি আত্মঘাতী। আবার একটি সরকারি স্কুলের আশপাশে প্রায় ১০০ বেসরকারি প্রাথমিক স্কুল আছে। সবগুলো স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটিতে একজন প্রধান শিক্ষক নিযুক্ত থাকলে তিনি কিভাবে সব সভা, নিয়োগ বোর্ড ও অন্যান্য কাজে সময় দেবেন। নিজ স্কুল পরিচালনার সময় কোথায পাবেন।’
এগুলো কিন্তু যৌক্তিক। বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব বলেন, দেশের সব কিন্ডারগার্টেন সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সময়ে সময়ে সরকারের পক্ষ থেকে যেসব নির্দেশনা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয়, আমরা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হয়েও সব বিষয়ে সরকারের নির্দেশনা প্রতিপালন করে আসছি। কাজেই নতুন করে আমাদের নিয়ন্ত্রণ করার আর কী আছে? আমরা সরকারের নির্দেশনা সব সময়েই মেনে আসছি এবং মানতে বাধ্যও। সরকারের পক্ষ থেকে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন যে কারিকুলাম বাস্তবায়নের নির্দেশনা আসছে আমরাও তার বাইরে থাকব না। তবে এ ক্ষেত্রে আমরা একটি অনুরোধই করব, সরকার যেন কিন্ডারগার্টেন মালিকদের সুবিধা অসুবিধাও বিবেচনায় রাখে।
জানুয়ারিতে শুরু হওয়া শিক্ষাবর্ষে নতুন পাঠ্যপুস্তক বিতরণ থেকে শুরু করে সহায়ক বই পাঠ্য করতে সরকারের নির্দেশনা মানতে হবে এসব প্রতিষ্ঠানকে। ব্যক্তি মালিকানায় গড়ে ওঠা শহর কিংবা গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের কয়েক হাজার কিন্ডারগার্টেন এখানো সরকারের নিয়মনীতির তোয়াক্কা করে না। ইচ্ছেমতো কারিকুলাম, অতিরিক্ত বই পাঠ্য করা, এমনকি কোমলমতি শিশুদের ওজনের চেয়েও বেশি ওজনের বই ক্লাসে নিয়ে এসে পড়ানো থেকে শুরু করে নানা অসঙ্গতির কথা প্রায়ই শোনা যায়। শিক্ষার্থীদের পাঠপরিকল্পনা, পরীক্ষা পদ্ধতি, মূল্যায়নের ধরনসহ বেশ কিছু বিষয়ে কিন্ডারগার্টেন মালিকরা বা পরিচালকরা, নিজেদের মতো করেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। কিন্তু সরকারের সিদ্ধান্ত হচ্ছে এখন থেকে কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলোকে শুধু বিনামূল্যের পাঠ্যবই সরবরাহই করবে না বরং এর সঙ্গে পাঠসূচি তৈরি ও কারিকুলাম অনুযায়ী পাঠদানেও বাধ্য করা হবে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে। উপরোক্ত বিষয়গুলোতে একটি জাতীয় নীতিমালা প্রয়োগ দরকার তবে সেটি যাতে কোনভাবেই শিক্ষা, মানসম্মত শিক্ষা ও সবার জন্য শিক্ষা বিঘ্নিত না করে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে দেশে যত প্রাইভেট কিন্ডারগার্টেন আছে, বেসরকারি প্রাথমিক আছে এবং অন্যান্য স্কুল আছে সেগুলো সব একই নিয়মে পরিচালিত হবে। একীভূত শিক্ষানীতির আলোকে একই বই, একই কারিকুলাম বাস্তবায়ন করা হবে। এর প্রধান কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে শিশুদের ওপর বইয়ের চাপ কমানো। এসব প্রতিষ্ঠানে যাতে নির্ধারিত বইয়ের বাইরে ভিন্ন বই, ভিন্ন রাইমস না পড়ানো হয়। শিশুদের দশ থেকে বার বছর পর্যন্ত মস্তিষ্ক বর্ধনশীল। সেহেতু আমরা তাদের এমন কোন চাপে বা এমন কোন বিষয়ের মধ্যে ফেলতে চাই না, এমনকি পৃথক ডিজিটাল ডিভাইস হাতে ব্যবহার করাও নিরুৎসাহিত করার কথা বলা হচ্ছে। তবে বাসায় স্মার্ট টেলিভিশন, কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারবে। তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত এটা করতে না করার পক্ষে মন্ত্রণালয়। প্রয়োজনে কিন্ডারগার্টেনের মালিক, পরিচালকদের সাথে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এটি একটি যথার্থ প্রস্তাব। আমরা সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে এক ধরনের সুস্থ্য প্রতিযোগিতা দেখতে চাই যার মাধ্যমে আমাদের শিশুরা প্রকৃত ও মানসম্মত শিক্ষা পাবে।
লেখক : শিক্ষা বিশেষজ্ঞ ও প্রেসিডেন্ট, ইংলিশ টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ
তারা//