বাঙালি নিজেরা যখন দাস
১৭৭৬ সালে অ্যাডাম স্মিথের ‘ওয়েলথ অফ নেশনস’ প্রকাশিত হয়, যেখানে পৃথিবীর কয়েকটি সমৃদ্ধ অঞ্চলের মধ্যে বাংলার নাম উল্লেখ করা হয়। অথচ বণিকের বেশ ধরে আসা ইংরেজরা তাদের শাসনের শেষের দিকে বাংলাকে বলত ‘রুরাল স্লাম’।
এ থেকে বোঝার আর কিছু বাকি থাকে না যে, ইংরেজ আমলে শস্য-শ্যামলা বাংলায় কী ধরনের লুটপাট হয়েছিল। ইংরেজরা ১৯০ বছরে ঠিক কী পরিমাণ অর্থ-সম্পদ লোপাট করেছিল তার যথার্থ উত্তর পাওয়া মুশকিলই বটে। তবুও, একটা গ্রহণযোগ্য উত্তরের খোঁজে গবেষণা করেছেন ভারতের প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ উৎস পটনায়েক। তার গবেষণাটি কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি প্রেস থেকে প্রকাশিত হয়। সেখানে তিনি দেখিয়েছেন যে, ১৭৬৫ থেকে ১৯৩৮ সালের মধ্যে ইংরেজরা ভারত থেকে প্রায় ৪৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের সম্পদ লুট করেছে। অর্থাৎ, ব্রিটিশরা ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে যে পরিমাণ সম্পদ লুট করেছে তার বাজারমূল্য হচ্ছে বর্তমান ব্রিটেনের মোট জিডিপি’র ১৭ গুণ। এখানে বিষয়টি স্পষ্ট যে, ৪৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের সম্পদের মধ্যে একটা উল্লেখযোগ্য অংশ পৃথিবীর অন্যতম সমৃদ্ধ অঞ্চল বাংলা থেকে হরণ করা হয়েছিল। এত বেশি সম্পদ লুট হয়েছিল যে, ঔপনিবেশিকতার চরম ক্ষত দীর্ঘদিন ধরে পরিলক্ষিত হয়।
২৩ বছরের পাকিস্তানিদের আগ্রাসন ও লুটপাটের ঘটনা ছিল ‘মরার উপর খাঁড়ার ঘা’র মতো অবস্থা। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে ৩০ লাখ মানুষকে জীবন ও লাখো নারীর আত্মমর্যাদা বিসর্জন দিতে হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম একটি লক্ষ্য ছিল, পাকিস্তানিদের আগ্রাসন ও লুটপাটের অবসান ঘটানো। ২৩ বছরে ঠিক কী পরিমাণ অর্থ-সম্পদ লোপাট করেছিল তার যথার্থ হিসাব বের করাও বেশ মুশকিল। তবে, পশ্চিম পাকিস্তানিরা এদেশের রপ্তানি খাতের প্রায় পুরোটাই পাচার করেছে। এদেশের কৃষক-শ্রমিকের খাজনার টাকা নিয়ে গেছে। পূর্ব পাকিস্তানের টাকায় উন্নয়ন ঘটেছে করাচি, লাহোর, ইসলামাবাদ আর রাওয়ালপিন্ডির মতো শহরের। যুদ্ধের নয় মাস সরকারি-বেসরকারি খাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ছিল অনেক বেশি। অনেক কিছু বাদ দিয়ে ১৯৭৪ সালের এপ্রিল মাসে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জুলফিকার আলী ভুট্টো ঢাকায় আসলে বঙ্গবন্ধুর সরকার ন্যায্য পাওনা হিসাবে ৪০০ কোটি ডলার দাবি করেন। যদিও জুলফিকার আলী কৌশলে বঙ্গবন্ধুর দাবি এড়িয়ে যান। পাকিস্তান আমলের ডলারের মান ছিল এক টাকার বিপরীতে আট ডলার। সে হিসাবে চার হাজার কোটি ডলার, যা তখনকার টাকায় ছিল ৩২ হাজার কোটি টাকা।
সাধারণভাবে, আমরা বাঙালিরা ব্রিটিশ ও পাকিস্তানি আমলের লুটপাটের কথা বলতে পছন্দ করি। কিন্তু আমরা নিজেরা কী করেছি বা কী করি সেটা আলোচনা করতে পছন্দ করি না।
লাখো প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন দেশে আমাদের অবাক হতে হয়, যখন কিছুদিন পরপর ব্লুমবার্গ, পানামা পেপারস ও প্যান্ডোরা পেপারস, গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটি (জিএফআই), ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির ন্যায় বিভিন্ন সংস্থা ও দেশি-বিদেশি গণমাধ্যম বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচারের রিপোর্ট প্রকাশ করে। হাসি-রসিকতার বিষয় এটা যে, বাংলাদেশ যেন টাকা রপ্তানিকারক দেশে পরিণত হয়েছে। কোনো কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ থেকে টাকা পাচার করে নিয়ে গেছে বা যাচ্ছে, সেটা না বলে এখন বলা যেতে পারে- ‘কে নেই এই তালিকায়?’ রাজনীতিক, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, ব্যবসায়ী, শিল্পপতি সবাই রয়েছে এই তালিকায়। উচ্চবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত। এমনকি, সাধারণ নিম্নবিত্ত বাঙালিদের মধ্যেও যেন এখন হিড়িক পড়ে গেছে, কীভাবে ইউরোপ-আমেরিকাসহ প্রভৃতি দেশে সেটেল্ড হওয়া যায়? এ কারণে দুর্নীতি করে হোক, অপকর্ম করে হোক বা অন্য কোন উপায়ে বাংলাদেশ থেকে টাকা নিয়ে যেতে হবে। প্রয়োজন হলে পৈতৃক জমি বা সম্পত্তি বিক্রি করে। দুর্নীতিবাজ ও বিভিন্ন ধরনের অপরাধীরা যেমন টাকা নিয়ে যাচ্ছে; আবার যারা দুর্নীতির শিকার, সাধারণ মানুষ তারাও আর এ দেশে থাকতে চায় না। অনেক ব্যবসায়ী ‘এদেশে নিরাপত্তা নেই’ এমন অজুহাত তুলে ব্যবসা ও সম্পদ সরিয়ে নিচ্ছে। আবার অনেক মেধাবী শিক্ষিত লোক ‘এ দেশে সুযোগ-সুবিধা নেই’ এমন অজুহাত দেখিয়ে চলে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ যেন সম্পদ ও মেধা হারানোর চক্রে আটকে যাচ্ছে!
বিষয়টি এমন, ইংরেজরা এক সময় জাহাজ ভর্তি করে এদেশ থেকে ধনসম্পদ নিয়ে গেছে। পরবর্তীতে পাকিস্তানিরাও। আর এখন আমরা নিজেরাই বহন করে বিভিন্ন দেশে দিয়ে আসছি, যাকে বলা হয় ‘Self colonization’ অর্থাৎ নিজেরাই দাসে পরিণত হওয়া। তারা আমাদের দাস বানিয়ে রেখেছিল, আর এখন আমরা নিজেরাই দাস হতে যাচ্ছি- পার্থক্য শুধু এটুকুই।
অর্থনীতিবিদদের মতে, বাংলাদেশে অবৈধ অর্থের উৎস বেশি। তাই যারা অবৈধ অর্থ আয় করে বা দুর্নীতি করে অল্প সময়ে অঢেল অর্থ-সম্পদের মালিক হয়, তারা এক সময় বিভিন্ন কৌশলে অর্থপাচার করে দেয়। তারা এমন সব দেশে টাকা নিয়ে যায় যেখানে টাকার উৎস জানতে চাওয়া হয় না।
বৈশ্বিক নানা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে টাকা পাচার হয়ে চলে যাচ্ছে কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, সুইজারল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত, থাইল্যান্ডসহ অন্তত ১০টি দেশে। বারবুডা, কেম্যান আইল্যান্ডের মতো অফশোর বিনিয়োগের স্বর্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত দ্বীপদেশগুলোয়ও বাংলাদেশিদের বিনিয়োগের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। কানাডায় গড়ে উঠেছে বেগমপাড়ার মতো অভিজাত এলাকা যেখানে বাঙালিরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। বাংলাদেশি নাগরিক ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সুইস ব্যাংকে জমা করা অর্থের পরিমাণ বেড়েই চলেছে। ব্যবসায়ীরা আমদানি-রপ্তানির দাম কারসাজি করেও প্রতি বছর পাচার করছে হাজার হাজার কোটি টাকা।
অনেক বাঙালি কর্মসংস্থান ও শিক্ষালাভের জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছেস এবং তারা উপার্জিত অর্থের একটা অংশ নিজেদের জীবনধারণের জন্য রেখে বাকিটা দেশে পাঠিয়ে দেন। তারাও এখন বলতে শুরু করেছেন, বিষয়টি বাঙালি হিসেবে তাদের জন্য বিব্রতকর। অনেক দিন ধরে তারা ঐসব দেশে বসবাস করছেন, অথচ তারা অনেক কষ্ট করে সেখানে টিকে আছেন। অন্যদিকে দেখা যায়, অনেক বাঙালি হুট করে এসে দামি বাড়ি-গাড়ি কিনছেন। তারা তাদের স্ত্রী-ছেলে-মেয়েদের ঐসব দেশে পাঠিয়ে দেন, মাঝেমধ্যে নিজেরা গিয়ে বিলাসী জীবনযাপন করেন।
বাঙালিদের এ ধরনের উন্মাদনা নতুন কিছু নয়। নিজে কী, নিজের পরিচয় কী হওয়া উচিত, নিজের জন্য কী ভালো- এমন চিন্তা বাঙালি সবসময় কমই করেছে। এ মাটিতে জন্মগ্রহণ করেও মাটিকে আপন করে নিতে বা নিজের মনে করতে বাঙালি সবসময় দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ও হীনমন্যতায় ভোগে। এক সময় হিন্দু সমাজব্যবস্থায় এমনটা লক্ষণীয় ছিল, যারা উচ্চ বর্ণের ব্রাহ্মণ অর্থাৎ যারা কনৌজ-মিথিলা বা উত্তর ভারত থেকে এসেছে, তারাই সমাজে বেশি সম্মানিত। যে কারণে উত্তর ভারত থেকে আসা প্রমাণিত করার প্রতিযোগিতা বাংলায় লক্ষ্য করা যায়। ইংরেজ আমলে এই বংশ পরিচয় চরম আকার ধারণ করে। বর্তমানের ফটোকপির দোকানের মতো কলকাতায় গড়ে ওঠে অনেক বংশতালিকা লিখে দেওয়ার দোকান। ঐসব দোকানে গিয়ে ৩/৪ পুরুষের নাম বলতে হতো। তারপর তারা বংশতালিকা তৈরি করে দিত। বেশি টাকা দিলে উত্তর ভারতের সাথে মিলিয়ে বড় বংশ আর কম দিলে অপেক্ষাকৃত ছোট বংশ।
তবে, আধুনিক নানা ধরনের নৃতাত্ত্বিক গবেষণায় এই ধরনের প্রচলিত ধারণার বিতর্ক অনেকটা নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। নৃতাত্ত্বিক গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলার ব্রাহ্মণদের খুবই কম উত্তর ভারতীয় জনগোষ্ঠীর বৈশিষ্ট্যের সাথে মিল রয়েছে। তাদের বেশির ভাগ বৈশিষ্ট্য বাংলার স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সাথে মিল দেখা যায়। খোদ ব্রাহ্মণদের যখন এই অবস্থা তখন অন্যান্য জনগোষ্ঠীর অবস্থা কেমন তা একটা চিন্তার বিষয়।
এ ক্ষেত্রে মুসলমানদের অবস্থাও বেশ খারাপ। বাজারে প্রচলিত গৎবাঁধা ব্যাখ্যাগুলোর একটি পূর্ব বাংলার সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ মুসলমান হয়েছে অভিবাসনের কারণে। অর্থাৎ ইরান, তুরান (মধ্য এশিয়া) ও আরব থেকে এসে মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়েছে। তবে, সম্প্রতিকালে হাড়গোড় ও অন্যান্য আধুনিক নৃতাত্ত্বিক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় দেখা গেছে, প্রায় ৯০ শতাংশের বেশি বাঙালি মুসলিমদের শারীরিক বৈশিষ্ট্য তাদের প্রতিবেশী হিন্দু ও বাংলার স্থানীয় অন্যান্য জনগোষ্ঠীর সাথে সিংহভাগ মিলে যায়। ইরান, তুরান (মধ্য এশিয়া) ও আরবের জনগোষ্ঠীর সাথে তাদের খুব কমই মিল রয়েছে।
তবে দুর্ভাগ্য যে, আমাদের অনেকে এক সময় নিজেদের ইরান-তুরান–আরব-বাগদাদের পীর-ফকির, রাজাবর্গ ও তাদের অনুচর ও সিপাহীদের বংশধর প্রমাণে মহাব্যস্ত ছিলেন। এমনকি, নিজেদের পূর্বপুরুষ, ভাষা ও সংস্কৃতি গ্রহণের ক্ষেত্রে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে পড়েছিলেন তারাও।
আশা করা হয়েছিল ১৯৭১ সালের পর ‘বাঙালি’ ছাড়া অন্য কিছু ভাবার প্রবণতা শেষ হবে এবং বাঙালি নিজের উন্নয়ন ও মঙ্গলের কথা চিন্তা করবে, কিন্তু সেটা হয়নি। বিশেষ করে উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্তের চরিত্রে পরিবর্তন আসেনি। বাঙালির মধ্যে এখন উন্মাদনা কাজ করছে, ইউরোপ-আমেরিকাসহ প্রভৃতি দেশে সেটেল্ড হওয়া। বাঙালিরা এখন মনে করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইংল্যান্ডসহ পশ্চিমা দেশে বা অন্য কোনো দেশে বসবাস করা বা আসা-যাওয়া অনেক সম্মানের ও আভিজাত্যের ব্যাপার। যাদের ঐসব দেশের নাগরিকত্ব, সার্টিফিকেট ও ব্যবসা আছে, তারা সমাজে অনেক সম্মানিত। তারা রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন পায় আবার ভোটে পাশও করে। তাদের কাছে বরফাচ্ছন্ন পরিবেশ, ম্যাপল গাছ, ম্যাকেঞ্জি আর অটোয়া নদী অনেক গৌরবের। তাদের কাছে কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, সোনালু আর কদম কোনো ফুলের মধ্যে পড়ে না। পদ্মা, মেঘনা, রূপসা, কোনও নদীর মধ্যে পড়ে না!
আমরা যদি এ দেশের মেধাবীদের ও সম্পদ ধরে রাখতে না পারি, তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ যে অন্ধকার তাতে সন্দেহ নেই। আজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কেন এত উন্নত! কারণ তারা শুধু নিজেদের মেধাবীদের ও সম্পদ ধরে রাখেনি; তারা এমন ব্যবস্থা করেছে যেন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে মেধাবীদের সেখানে যেতে হয়। যেমন ইলন মাস্কের বাড়ি দক্ষিণ আফ্রিকায় কিন্তু তার মেধার ‘ফসল খায়’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
২০২০ সালে তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছিলেন, কানাডায় অর্থপাচারের ২৮টি ঘটনার তথ্য তারা পেয়েছেন, যেগুলোর মধ্যে সরকারি কর্মচারীই বেশি (বিবিসি বাংলা, ১৯ নভেম্বর ২০২০)। এই ২৮টি ঘটনার সবার তথ্যই সরকারের কাছে আছে কিন্তু তাদের ধরা সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশে একটি আইনও আছে যে, কোনো নাগরিক, বাসিন্দা এবং সরকারি কর্মচারী বছরে ১২ হাজার ডলারের (বর্তমান রেটে ১৩ লাখ ১৭ হাজার টাকার) বেশি অর্থ দেশের বাইরে নিতে পারেন না। বাংলাদেশের আইনে করপোরেশনের বিদেশে তহবিল স্থানান্তরেও নানা বিধিনিষেধ রয়েছে। তাছাড়া বিষয়টি দেখার জন্য বেশ কয়েকটি দায়িত্বশীল সংস্থাও দেশে রয়েছে। তাহলে প্রশ্ন থেকে যায়- কেন এমনটা হচ্ছে?
এমতাবস্থায়, দেশ থেকে অর্থ পাচার হওয়া ও চলে যাওয়া ঠেকাতে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থাগুলোর আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, বিদেশে সম্পদ নিয়ে যাওয়া ও সেটেল্ড হওয়ার উন্মাদনা থেকে বাঙালিদের সরে আসতে হবে। লাখ লাখ বাঙালি আসলে কী জন্য বা উদ্দেশে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিল, তার মর্মার্থ যেন আমরা উপলব্ধি করতে পারি সেটাই হোক স্বাধীনতা দিবসের চেতনা।
লেখক: গণমাধ্যমকর্মী
এনএইচ//