শ্বেতপত্র যেন দীর্ঘশ্বাস না বাড়ায়
মনজুরুল আলম মুকুল || রাইজিংবিডি.কম
‘একটু ফ্যান দেও গো মা’- পঞ্চাশের আকালে এমন হৃদয়বিদারক শব্দে ভরে উঠেছিল শহরের অলিগলি, গৃহস্থের আঙিনা। কিন্তু কে দেবে? সেই ফ্যানটুকু দেওয়ার সচ্ছলতা ছিলই-বা কজন গৃহস্থের? ১৯৪৩ সালে বাংলাজুড়ে এমন মহাদুর্ভিক্ষ এসেছিল। যা ‘পঞ্চাশের আকাল’ নামে পরিচিত।
ইতিহাসবিদদের ধারণা, সেই দুর্ভিক্ষে মৃত্যুর সংখ্যা বিশ লাখের বেশি, কারও কারও মতে পঞ্চাশ ছাড়িয়েছিল। বাজারে কোথাও চাল ছিল না। খাবারের আশায় গ্রামের মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে শহরে চলে যায়। যারা শহরে গিয়েছিল তারাই বেশিরভাগ অনাহারে মারা যায়। গ্রামের মানুষ বেঁচেছিল শামুক, গুগলি, ঘাস ও বিভিন্ন গাছের পাতা আর কচু শাক খেয়ে। ভাতের বিকল্প হিসেবে মানুষ বজরা, বুনো আলু ও বিভিন্ন গাছের মূল এমনকি গরু-ছাগলের খাবার খেয়ে বেঁচে ছিল!
ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলে বাঙালি নিয়মিত ও ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের কবলে পড়েছে। ব্রিটিশ শাসনের সেরা সময় ধরা হয় ১৮৮১ থেকে ১৯২০ সাল পর্যন্ত। অথচ, এই সময়ে ভারতীয়দের অনাহারে ও অতিরিক্ত মৃত্যুর পরিমাণ ছিল ১৬১ মিলিয়ন বা ১৬ কোটি ১০ লাখ!
১৭৭০ সালের ভয়াবহ দুর্ভিক্ষে বাংলার প্রায় সমগ্র জনসংখ্যার প্রায় এক তৃতীয়াংশ মুছে যায়। অর্থাৎ, তিন কোটির মধ্যে এক কোটি মানুষ মারা যায়। সময়টি বাংলা ১১৭৬ সাল হওয়ায় এই দুর্ভিক্ষ ‘ছিয়াত্তরের মন্বন্তর’ নামে পরিচিত। এ সময় কৃষক গরু ও বীজধান খেয়ে ফেলতে বাধ্য হয়; পুত্র-কন্যা বিক্রি করা শুরু করে।
বাঙালির ভাতের কষ্ট, পেটের টানের ইতিহাস দীর্ঘদিনের। বাঙালি সারা জীবন দু’মুঠো ভাতের জন্য সংগ্রাম করেছে বা সন্ধানে ছুটেছে। এ নিয়ে রয়েছে অনেক শোকগাথা ও কষ্টের গল্প। অষ্টাদশ শতাব্দীর বিশিষ্ট কবি ও সাধক রামপ্রসাদ সেন (১৭২৩–১৭৭৫) এ কারণেই বুঝি লিখেছেন: ‘চাই না মাগো রাজা হতে, রাজা হবার সাধ নাই মাগো, দু’বেলা যেন পাই মা খেতে’।
তবে, কৃষিপ্রযুক্তির উন্নতি, ব্যবসা বাণিজ্যের সম্প্রসারণ ও আর্থিক সচ্ছলতার কারণে নব্বইয়ের দশকের পর থেকে এ দেশের অধিকাংশ মানুষ খাদ্যাভাবের সমস্যা থেকে অনেকটা বের হতে শুরু করে। তারপরও ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশে অতিদরিদ্র মানুষের সংখ্যা ৪ কোটি ১৭ লাখ। ২০২৪ সালের বিশ্ব ক্ষুধা সূচকের তালিকায় আমাদের অবস্থান নিচের দিকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী বর্তমানে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ প্রায় ১৬.১৪ লাখ কোটি টাকা ও মাথাপিছু ঋণ ৯৫ হাজার ১৯ টাকা।
নিজেদের আয়-রোজগারের সঙ্গে মিল রেখে সমাজ-সংসার রক্ষা করতে গিয়ে সাধারণ মানুষের জীবনে প্রতিদিন অনেক কষ্টের গল্প তৈরি হচ্ছে। দেশের অনেক মানুষের কাছে মাছ-মাংসসহ প্রাণিজ প্রোটিন সোনার হরিণ, নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। ঠিক এমন সময়ে কিছু কথা শুনে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়তে হয়!
সম্প্রতি আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরতে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি গঠিত হয়। কমিটি তিন মাসে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি, বিভিন্ন দলিলপত্র পর্যালোচনা, বৈশ্বিক প্রতিবেদন ও নানা অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করেছে।
চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেড় দশক ধরে বাংলাদেশে একটি ‘চোরতন্ত্র’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল, যার মাধ্যমে দেশ থেকে ২৩৪ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ ২৮ লাখ কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে। প্রতিবছর পাচার করা অর্থের পরিমাণ ছিল গড়ে ১৬ বিলিয়ন ডলার। ২০১০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে যে উচ্চ প্রবৃদ্ধি দেখানো হয়েছে তা অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকের সঙ্গে মেলে না। দেশের উন্নয়ন প্রকল্পে মোট ব্যয়ের ৪০ শতাংশ ব্যয় তছরুপ বা লুটপাট করা হয়েছে।
শ্বেতপত্র কমিটি বলেছে, দেশের ব্যাংক খাত কৃষ্ণগহ্বরের মধ্যে ঢুকে গেছে। বিগত ১৫ বছরে দেশের ব্যাংক খাতে যে মন্দ ঋণ তৈরি হয়েছে, তা দিয়ে ১৪টি মেট্রোরেল বা ২৪টি পদ্মা সেতু করা যেত।
এ ধরনের শ্বেতপত্র ও দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগ আর পাল্টা অভিযোগ এ দেশে নতুন নয়। বিশেষ করে যখন কোনো নতুন সরকার আসে, তখন বিগত সরকারের দুর্নীতি তুলে ধরে এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এই ধারা সেই পাকিস্তান আমল থেকে চলে আসছে। ১৯৫৪ সালে নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত প্রাদেশিক যুক্তফ্রন্ট সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। ১৯৫৮ সালে আইয়ুব খান সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন। একই ধরনের অভিযোগে তাকেও অভিযুক্ত হতে হয়েছিল।
স্বাধীনতার পরও এই ধারা অব্যাহত থাকে। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ক্ষমতা গ্রহণের পর পূর্বের আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতির কথা তুলে ধরেন। দুর্নীতিবাজ আখ্যা দিয়ে জেনারেল এরশাদ বিচারপতি আব্দুস সাত্তারকে সরিয়ে ক্ষমতা গ্রহণ করেন। তিনি দুর্নীতিকে ‘জাতীয় শত্রু’ আখ্যা দিয়ে এর বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণাসহ সামরিক আদালত গঠন করেছিলেন।
দুর্নীতির রেকর্ড ভঙের অভিযোগে খালেদা জিয়া সরকার ১৯৯১ সালে এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধে শ্বেতপত্র প্রকাশ করে। দুর্নীতির মামলায় এরশাদ সাহেবকে জেলও খাটতে হয়। ১৯৯২ সালে বিএনপি সরকার সংসদে একটি আইন পাস করে। যে আইনে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার বিষয় উল্লেখ ছিল। ১৯৯৬ সালে আ.লীগ ক্ষমতায় এসে খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে ১২টি দুর্নীতির মামলা দায়ের করে।
২০০১ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় এসে বিগত আ.লীগ সরকারের দুর্নীতি-সংক্রান্ত ৭৯৩ পৃষ্ঠার শ্বেতপত্র প্রকাশ করে এবং ১৮টি দুর্নীতির মামলা করা হয়। ২০০৮ সালে আ.লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ক্ষমতায় আসার পর চারদলীয় জোট সরকারের অনেক নেতার বিরুদ্ধে অসংখ্য দুর্নীতির মামলা করে এবং অনেককে জেলও খাটতে হয়। অর্থাৎ আমরা দেখতে পাচ্ছি, এ ধরনের অভযোগ-পাল্টা অভিযোগ চলছেই। এবং এর সত্যতাও রয়েছে! দুঃখজনক এই যে, দুর্নীতির অভিযোগ থেকে কোনো দলই মুক্ত হতে পারছে না। জাতির জন্য এটি কম দুর্ভাগ্যের বিষয় নয়।
আওয়ামী-দুর্নীতির টাকা বিদেশে পাচার এবং ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু কাজটি কতটা সম্ভব এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যসহ যে ১২ জন শ্বেতপত্র তৈরির কাজে যুক্ত ছিলেন তারা সবাই দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও গবেষক। ফলে এই শ্বেতপত্রকে গতানুগতিক ভেবে তাদের তথ্য-উপাত্তগুলো উড়িয়ে দেওয়ার কোনো অবকাশ নেই। অন্যদিকে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চরম অগোছালো অবস্থায় ক্ষমতা গ্রহণ করেছে। বিভিন্ন দল, সংগঠন, সম্প্রদায় ও মানুষের দাবি দাওয়ার মুখে তাদের কাজ করতে হচ্ছে। বলাবাহুল্য এতে তাদের সংস্কার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। এমন অবস্থায় আওয়ামীলীগের পাচার করা দুর্নীতির বিপুল পরিমাণ অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনা খুব কঠিন। নির্বাচনের পর আগামীতে যারাই ক্ষমতায় আসুক, তাদেরও এ কার্যক্রম চলমান রাখতে হবে। কারণ আমরা অতীতে দেখেছি, দেশে সরকার বদল হলেই অনেক কিছু বদলে যায়। দুর্নীতিবাজরা পার পেয়ে যায়। তাদের অবৈধ ধনসম্পদ এক সময় বৈধ হয়ে যায়। এগুলো আটকাতে হবে।
দেশে অনেক রকমের অপকর্ম-দুর্নীতি হয়েছে, কিন্তু সাধারণ মানুষ বিষয়গুলো সম্পর্কে তেমন অবহিত ছিল না। কিন্তু বর্তমান সময়ে উন্নত প্রযুক্তি, সামাজিক মাধ্যম আর গণমাধ্যমের কারণে সাধারণ মানুষের কাছে অনেক কিছু প্রকাশ্য বা দৃশ্যমান। বেনজীর আহমেদ, তাকসিম এ খান, মতিউর, হারুন-অর-রশীদ, এস আলম গ্রুপ, সালমান এফ রহমান, সাইফুজ্জামান, আজিজ, পি কে হালদার, হলমার্কসহ অনেক কেলেঙ্কারির কথা আমরা শুনেছি, গণমাধ্যমে পড়েছি। সাধারণ মানুষের মনেও এ নিয়ে অনেক প্রশ্ন আছে। বিষয়গুলো এড়িয়ে যাওয়ার অবকাশ নেই। কারণ ব্লুমবার্গ, পানামা পেপারস ও প্যান্ডোরা পেপারস, গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটি (জিএফআই), ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ (বিআইডিএস), বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির ন্যায় বিভিন্ন সংস্থা ও দেশি-বিদেশি গণমাধ্যম বিভিন্ন সময়ে এ দেশের কিছু মানুষের অবৈধ ধনসম্পদ ও অর্থপাচারের রিপোর্ট বা খবর প্রকাশ করেছে।
এটা অস্বীকার যাবে না, সাম্প্রতিক সময়ে এ দেশের কিছু মানুষের যেন ‘গরিবের ঘোড়া রোগ’ দেখা দিয়েছে। তারা অঢেল ধনসম্পদ ও টাকা-পয়সার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। খুব দ্রুত সময়ে বিলনিয়ার বা পৃথিবীর অন্যতম একজন শীর্ষ ধনী হওয়ার স্বপ্নে তারা বিভোর! তাদের চাহিদার কোনো শেষ নেই।
এ ধরনের অনেকে মনে করে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইংল্যান্ডসহ পশ্চিমা দেশে বা অন্য কোনো দেশে বসবাস করা বা আসা-যাওয়া অনেক সম্মানের ও আভিজাত্যের ব্যাপার। যাদের ঐসব দেশের নাগরিকত্ব, সার্টিফিকেট ও ব্যবসা আছে, তারা সমাজে অনেক সম্মানিত। এখন যেন একটা হিড়িক পড়ে গেছে, কীভাবে ঐসব দেশে স্থায়ী হওয়া যায়। তাই দুর্নীতি করে হোক, কোনো অপকর্ম করে হোক বা অন্য যে কোনও উপায়ে বাংলাদেশ থেকে টাকা নিয়ে যেতে হবে।
বিষয়টি এমন, ইংরেজরা এক সময় জাহাজ ভর্তি করে এদেশ থেকে ধনসম্পদ নিয়ে গেছে। পরবর্তীতে পাকিস্তানিরাও। আর এখন আমরা নিজেরাই নিজেদের সম্পদ বিদেশে পাচার করছি, যাকে বলা হয় ‘Self colonization’ অর্থাৎ নিজেরাই দাসে পরিণত হওয়া।
বৈশ্বিক নানা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে টাকা পাচার হয়ে চলে গেছে কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, সুইজারল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভারত, থাইল্যান্ডসহ নানা দেশে। বারমুডা, কেম্যান আইল্যান্ডের মতো দ্বীপদেশগুলোয়ও অফশোর বিনিয়োগের স্বর্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশিদের। কানাডায় গড়ে উঠেছে বেগমপাড়ার মতো অভিজাত এলাকা, যেখানে এ দেশের লোকেরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। তারা তাদের স্ত্রী-ছেলে-মেয়েদের ঐসব দেশে পাঠিয়ে দিয়েছে, মাঝেমধ্যে নিজেরা গিয়ে বিলাসী জীবনযাপন করে। এসব ব্যক্তিদের আয়ের উৎস বাংলাদেশ। বিষয়টি এমনও নয় যে, বেগমপাড়ার মতো অভিজাত এলাকায় শুধু একটি বিশেষ দলের লোক বাস করে। রয়েছে অনেক দল ও মতাদর্শের লোক। তবে সবার কর্মকাণ্ড একই ধরনের।
বিষয়টি এমনও নয়, একটি দলের লাখ লাখ নেতাকর্মী সবাই এই কর্মকাণ্ডে জড়িত। তবে এটা কোনো মতেই অস্বীকার করার উপায় নেই, কিছু লোক একটি দলের ব্যানারে বা পৃষ্ঠপোষকতায় এসব অপকর্ম করেছে। সব থেকে বড় কথা দেশে বিভিন্ন সময়ে এমন ঘটনা ঘটলেও বিগত ১৫ বছরে বেশি ঘটেছে বা রেকর্ড ছাড়িয়েছে।
বিশেষ দল বা ব্যক্তি বা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ঊর্ধ্বে থেকে বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে তদন্ত করা এবং তদন্ত সাপেক্ষ দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা এখন সময়ের দাবি। প্রধান লক্ষ্য থাকবে, কীভাবে এই বিপুল সম্পদ ফিরিয়ে এনে এবং উদ্ধার করে দেশের উন্নয়ন কাজে লাগানো যায়। এমন আইন করা ও সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা বিশেষ প্রয়োজন, যেন কেউ এ দেশের সম্পদ পাচার করতে সাহস না পায়।
এ দেশের মানুষ আসলে কী জন্য বা উদ্দেশে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিল সেই মর্মার্থ আমাদের উপলব্ধি করতে হবে। আমরা যেন তাদের আত্মার অভিশাপে অভিশপ্ত না হই, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
লেখক: গণমাধ্যমকর্মী