ঢাকা     বুধবার   ০৮ জানুয়ারি ২০২৫ ||  পৌষ ২৫ ১৪৩১

ফেলানী হত্যাকাণ্ড প্রতিবেশীসুলভ আচরণে বাধা

কাজল রশীদ শাহীন  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৫৩, ৭ জানুয়ারি ২০২৫  
ফেলানী হত্যাকাণ্ড প্রতিবেশীসুলভ আচরণে বাধা

বাংলাদেশ রাষ্ট্র কি ফেলানীর কথা ভুলে গেছে? যদি ভুলে যায়, তাহলে এই রাষ্ট্র- রাষ্ট্র হিসেবে দাঁড়াতে পারবে না। মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়ানোর যে শক্তি ও সাহসের কথা বলা হয়, সেই শক্তি ও সাহস নিয়ে দাঁড়াতে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই ফেলানীর কথা মনে রাখতে হবে। কারণ, প্রতিবেশী দেশ ভারত সেদিন যৌক্তিক কারণ ছাড়াই, বিচারিক কোনো প্রক্রিয়া ছাড়াই ফেলানী নামের নিরপরাধ একটা মেয়েকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। কাঁটাতারে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঝুলিয়ে রেখেছে একজন নিষ্পাপ কিশোরীর মৃতদেহ। যার মধ্যে দিয়ে কেবল ফেলানীকে নয়, বাংলাদেশ রাষ্ট্রটাকেই কাঁটাতারে ঝুলিয়ে দিয়েছে ভারত। 

একটা স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্য এর চেয়ে বড়ো বেদনার আর কী হতে পারে? কাঁটাতারের এই অভিশাপ থেকে মুক্ত হতে হবে আমাদের। এবং সেই সময় এখনই। ভারত-বাংলাদেশে সম্পর্ককে এখনই যদি ন্যায্যতার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত করা না যায়, তা হলে উভয়ের মধ্যে ক্ষতাক্ত অভিজ্ঞতা কেবলই বাড়বে, যা সজ্জন প্রতিবেশীর পরিচয় দিতে চাইলে কোনো দেশেরই কাম্য হতে পারে না।

ফেলানী হত্যার ১৪ বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে আজ। বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ির অনন্তপুর সীমান্তে ফেলানী খাতুন নিহত হন। ভারতীয় সীমান্তবাহিনী নির্মমভাবে ফেলানীকে হত্যা করে। চার ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে সীমান্তের কাঁটাতারে ঝুলে থাকে ওর নিষ্পাপ নিথর দেহ। সেই থেকে ফেলানীর বাবা-মা অপেক্ষায় আছেন এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার, ক্ষতিপূরণ পাওয়ার আশায়। কিন্তু সেসবের কোনোটাই মেলেনি। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক হত্যাকাণ্ডও বন্ধ হয়নি। বরং বেড়েছে। ২০২৩ সালে ৩১ জন সীমান্ত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে।

ফেলানীর মতো ঘটনা ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে হামেশাই ঘটে, এবং সেটা বৃহৎ প্রতিবেশী ভারতের তরফেই। বিভিন্ন গবেষণা ও পরিসংখ্যানে এটা স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে যে, পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি সীমান্ত হত্যার ঘটনা ঘটে এই সীমান্তে। এমনকি যেসব দেশ যুদ্ধরত অবস্থায় রয়েছে তাদেরকেও ছাড়িয়ে গেছে এ ঘটনা।  এ চিত্র থেকে যে কোনো মূল্যে বেরিয়ে আসতে হবে, এবং বড়ো প্রতিবেশী হিসেবে দায়িত্বটা বর্তায় ভারতের ওপরই। কিন্তু দেশটি এ ব্যাপারে যে খুব বেশি আগ্রহী তা দৃশ্যমান নয় মোটেই।

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটা কথা বেশ জোর দিয়ে বলা হয়- দেশ দুটি একে অপরের পরীক্ষিত বন্ধু। ভারতের বিজেপি সরকারের তরফে তো বটেই, বিগত ১৫ বছর বাংলাদেশে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষেও। কিন্তু বাস্তবে এ কথার সত্যতা মেলেনি। বন্ধু রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক কেমন হয় সেই পরীক্ষায় ভারত উত্তীর্ণ হতে পারেনি, হয়তো চায়ওনি। দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত বৃহৎ রাষ্ট্র; ক্ষমতাধর। আঞ্চলিক শক্তিতে তারা এগিয়ে। এই শক্তিকে তারা কতোটা কাজে লাগাতে পেরেছে সেটা বিশেষ আলোচনার দাবি রাখে। দেখা যাচ্ছে, দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ ছাড়া আর কোনো রাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের হার্দিক সম্পর্ক নেই। ভুটান ছাড়া অন্য দেশগুলোর সঙ্গে তাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এখন তলানিতে গিয়ে পৌঁছেছে। পাকিস্তানকে চিরশত্রু বানিয়ে রেখেছে। নেপালের সঙ্গে দূরত্ব এখন স্পষ্ট। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি হওয়ার কথা থাকলেও তা এখনও দৃশ্যমান নয়। মালদ্বীপের ক্ষমতায় এখন চীনঘেঁষা রাজনৈতিক দল। এই অবস্থায় একমাত্র ব্যতিক্রম ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সেই ব্যতিক্রমিতা যতটা মুখে মুখে দাবি করা হতো বা হয়, বাস্তবের সঙ্গে তার ছিল যোজন যোজন ফারাক।

বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের নামে ভারত প্রকৃত অর্থে ‘দাদাগিরি’ আচরণ করে আসছে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সকল ক্ষেত্রে তারা নিজেদের দিকটা যেভাবে দেখেছে, বাংলাদেশের প্রশ্নে ঠিক সেভাবে তো ভাবেইনি, উপরন্তু ন্যায্যতার জায়গাটাকেও আমলে নেয়নি। বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে তারা নামমাত্র শুল্কে ট্রানজিট সুবিধা নিয়েছে। মোংলা বন্দর ব্যবহারের সুযোগকে কাজে লাগিয়েছে। কিন্তু বিনিময়ে সেই অনুযায়ী কিছুই দেয়নি। উপরন্তু এতো সুবিধা পাওয়ার পরও সীমান্তে ভারতীয় বাহিনী তথা বিএসএফ-এর বাংলাদেশী হত্যা বন্ধ হয়নি। বরং বেড়েছে। সম্পর্ক যদি বন্ধুত্বপূর্ণ করতেই হয়, তা হলে কাজে-কর্মে ও আচরণে তার প্রকাশ ঘটানো বাঞ্ছনীয়। বন্ধু সবসময় সমানে সমানে হয় না। সমানে সমানে হলে সেখানে আর বন্ধুত্ব থাকে না। থাকে অর্থনৈতিক হিসাব-নিকাশ। এ কারণে বন্ধুত্বে সবার ওপরে থাকে মর্যাদার প্রশ্ন, আত্মসম্মান রক্ষার গুরুত্ব। এ দুটো অক্ষুন্ন রেখেই বন্ধুত্ব করতে হয়, একসঙ্গে চলতে হয় অনেক দূর অবধি। এখন বন্ধুত্বের কথা বলে কেউ যদি প্রাণ সংহার করে, তা হলে তো সেটা শেয়াল মোরগের গল্পের বাস্তব এক উদাহরণ হয়ে দাঁড়াল।

ভারতের মনে রাখা উচিত, ভারত বাংলাদেশের মাঝে কাঁটাতারের দেয়াল থাকলে সম্পর্কের বয়স কিন্তু কাঁটাতারের সমান বয়সী নয়। এ সম্পর্ক হাজার বছরের পুরনো। একদা আমরা এক পরিবারের ছিলাম। একান্নবর্তী পরিবারের অংশীজন থাকা মানুষেরা সময়ের প্রয়োজনে আলাদা হয়েছে বলেই কি তারা অতীত ভুলে যাবে। অতীত ভুলে গিয়ে কি সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নির্মাণ করা যায়? ভারত যদি কেবল আঞ্চলিক পরাশক্তি নয়, বৈশ্বিক পরাশক্তি হয়ে উঠতে চায়; তা হলে সবার আগে তাকে প্রতিবেশীদের আস্থায় নিতে হবে। প্রতিবেশীর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে যথাযথভাবে মূল্যায়ন করতে হবে। সেই জায়গায় ভারতের অবস্থান কেমন তা বিশেষ বিবেচনার দাবি রাখে।

আমরা জানি, ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর এই দেশটি তা নিয়ে বিশেষ গর্বও অনুভব করে। একথা বিশেষভাবে স্মরণে রাখা প্রয়োজন যে, এসব গর্ব তখনই ফলপ্রসূ হবে যখন দেশটি প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রেও গণতান্ত্রিক আচরণকে প্রাধান্য দেবে। গণতন্ত্র যে সাম্যের কথা বলে, ন্যায্যতার কথা বলে, মানবিক মর্যাদার কথা বলে; সেসবের প্রতিফলন যেন প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রেও চর্চিত হয়, তা না হলে বিষয়টা ‘কাজীর গরু কেতাবে আছে গোয়ালে নেই’ এই অবস্থাকে হাজির করবে। গণতন্ত্রে এসব প্রত্যাশিত নয়। গণতান্ত্রিকবোধ ও মন-মানসিকতা এসবকে সমর্থন করে না।

ভারত-বাংলাদেশ যেহেতু বিবিধ অর্থেই একে অপরের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পৃক্ত। এ কারণে দুই-দেশের একে অপরের কাছ থেকে অনেক কিছু নেওয়ারও আছে। সংস্কৃতিগত দিকে আমরা নানাভাবে উভয়ের কাছেই ঋণী। রবীন্দ্রনাথ যে বলেছিলেন, ‘দিবে আর নিবে, মিলাবে আর মিলিবে’; এই ভাবনা বা দার্শনিকতা কেবল অপর বা সাগরপারের দূরের জন্য নয়, নিকটজন-প্রতিবেশীর ক্ষেত্রেও সমান প্রযোজ্য। ইতিহাস-ঐতিহ্য-শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি-স্থাপত্য-প্রত্নতত্ত্ব’র মতো বিষয়গুলোতে দুই দেশের পারস্পরিক নির্ভরশীলতার জায়গা রয়েছে। এসব বিষয়ে গভীরতর অনুসন্ধান-গবেষণা আর মূল্যায়ন-বিশ্লেষণ-পর্যালোচনা যা কিছুই করা হোক না কেন, তার কোনোটাই একপাক্ষিকভাবে করা সম্ভব নয়। তেমনটা হলে তাতে খামতিই দৃশ্যমান হবে। আবার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনীতি, পর্যটন শিল্পের মতো বিষয়গুলোতেও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জায়গাটা গুরুত্বপূর্ণ। সম্পর্ক যদি আস্থা ও নির্ভরতার না হয়, তা হলে এসব ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী কোনো সুফল পাওয়া সম্ভব নয়।
এসব বিবেচনায় ফেলানী হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বিচার হওয়া জরুরি। বেদনার হলো, এ থেকে ভারত তেমন কোনো উপলব্ধির জায়গায় যেতে পেরেছে বলে মনে হয় না। যদি হতো, তাহলে তারা এই হত্যাকাণ্ডের জন্য দুঃখ প্রকাশের পাশাপাশি বিচার নিশ্চিত করতো। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারতের সহযোগিতা, সহমর্মিতাকে আমরা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণে রাখি, রেখে চলেছি। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, বাংলাদেশ দিনের পর দিন অন্যায়, অযৌক্তিক, অন্যায্য সিদ্ধান্ত মেনে নেবে। বিশেষ করে সেসবে যদি হয় একটি স্বাধীন, সার্বভৌম রাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্য সমূহ অবমাননার, অস্তিত্ব সংকটের। 

ফেলানী হত্যাকাণ্ডের ১৪ বছর পেরিয়ে গেছে তবুও বিশ্বব্যাপী আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত হয়নি। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর তরফে এই হত্যাকাণ্ডের বিচার ফৌজদারি আদালতে করার দাবি জানানো হয়েছিল। কিন্তু সেটা করা হয়নি। এটা কি বিশ্বাস করা যায়, একটা বাহিনীর ভেতর থেকে গঠিত আদালত তার কোনো সদস্যকে সত্যিকারার্থে বিচারের মুখোমুখি করবে? ফেলানী হত্যাকাণ্ডের বিচারে আমাদের নিষ্ঠুর এই রঙ্গ দেখতে হয়েছে।

সীমান্তে হত্যার ব্যাপারে ভারতের পক্ষে সবসময় বলা হয়, তারা অপরাধীদের হত্যা করে। প্রশ্ন হলো, তারা যে অপরাধী তা বিএসএফ কিসের ভিত্তিতে নিশ্চিত হয়? দেখামাত্রই কি তারা অপরাধ শনাক্ত করে ফেলে। ফেলানী খাতুন, স্বর্ণা দাস এরা কী ধরনের অপরাধ করেছে? এরা সীমান্তে কী অপরাধ সংঘটনের ক্ষমতা রাখে? এরা কি এমন করতে পারে যা ভারত রাষ্ট্রের জন্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে? এসব প্রশ্নের সদুত্তর নেই। কেবল অপরাধ-ঝুঁকি-গরু পাচারের বিষয়গুলোকে আলটপকা যুক্তি হিসেবে হাজির করা হয়। গরু পাচারের প্রসঙ্গে বলা যায়, যেসব গরু পাচার হয় সেগুলোর বেশিরভাগই তো আসে হরিয়ানা, পাঞ্জাব থেকে। দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে এসব গরু যে পাচারের উদ্দেশ্যেই নেওয়া হয়, তা কে না জানে? তা হলে তখন সেগুলো আটকানো হয় না কেন? বরং সেগুলোকে নিরাপদে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা তো তারাই করেন। তারপর সীমান্তে এসে ভাগ বাটোয়ারায় কম হলে বিএসএফ তার ঝাল মেটায় ফেলানী, স্বর্ণাদের ওপর। আমরা মনে করি, সীমান্তে ভারত যে আচরণ করে তা কোনো প্রতিবেশী রাষ্ট্র করতে পারে না। 

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক যেহেতু দীর্ঘদিনের, ফলে সীমান্তে এই সম্পর্কের রেশ ধরে তৈরি হয়েছে নানাবিধ কর্ম পরিসর। সামাজিকভাবে তৈরি হয়েছে উৎপাদনমুখী আয় নির্ভর স্বাবলম্বিতার সুযোগ-সুবিধা। আর আত্মীয়তার বন্ধন তো রয়েছেই। এখন চাইলেই কি এসব ঝটকা টানে উপড়ে ফেলা যাবে? ভারত যদি মনে করে, কাঁটাতার দিয়ে, গুলি করে এসব দমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা সফল হবে, তা হলে সেটা সুবিবেচনাপ্রসূত কোনো সিদ্ধান্ত হবে না। প্রতিবেশীসুলভ তো নয়ই।   

ফেলানী হত্যাকাণ্ডের সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার এর প্রতিবাদ জানায়নি। কিন্তু এখন নতুন এক বাস্তবতায় দাঁড়িয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। এখনও যদি ফেলানী হত্যাকাণ্ডের বিচার নিষ্পত্তি না হয়, খুনীর শাস্তি না হয়, প্রাপ্য ক্ষতিপূরণ না মেলে তা হলে বুঝতে হবে আমরা বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটিকে যে মেরুদণ্ডের ওপর দাঁড়ানোর কথা বলছি, যে উদ্যম ও শক্তি ২০২৪ এর গণ অভ্যুত্থান সংঘটিত করেছে, সেসবকে সদর্থক অর্থে কাজে লাগাতে পারছি না। 

ফেলানী হত্যাকাণ্ডের গভীরে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের প্রকৃত বাস্তবতা নিহিত আছে। ফলে, এই হত্যাকাণ্ড যেমন তখনকার বাস্তবতার চিত্র হাজির করছে, বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে কী করা হচ্ছে, সীমান্তে হত্যাকাণ্ড শূন্যে নামিয়ে আনতে কী তৎপরতা গৃহীত হচ্ছে, তার ওপরই নির্ভর করবে কেমন হবে আজ ও আগামীর ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক।
 

লেখক: সাংবাদিক ও গবেষক

তারা//


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়