ঢাকা     রোববার   ০৫ জানুয়ারি ২০২৫ ||  পৌষ ২১ ১৪৩১

১৫ বছরের গোপন প্রেম, অভিনয়ের দ্যুতি, কীর্তির কীর্তিতে মুগ্ধ ভক্তরা

বিনোদন ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:০৪, ৩ জানুয়ারি ২০২৫   আপডেট: ১১:১৬, ৩ জানুয়ারি ২০২৫
১৫ বছরের গোপন প্রেম, অভিনয়ের দ্যুতি, কীর্তির কীর্তিতে মুগ্ধ ভক্তরা

১৯৯২ সালের ১৭ অক্টোবর ভারতের তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ে জন্মগ্রহণ করেন কীর্তি সুরেশ। বাবা-মা, বোনের সঙ্গে সেখানেই তার বেড়ে ওঠা। চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনার পর পরিবারসহ কেরালার তিরুঅনন্তপুরমে চলে যান।

স্কুলের পড়াশোনা শেষ করার পর ফ্যাশন ডিজাইনিং বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি নেওয়ার জন্য চেন্নাইয়ের একটি কলেজে ভর্তি হন কীর্তি সুরেশ। স্নাতক হওয়ার পর ফ্যাশন ডিজাইনিং বিষয়ে যুক্তরাজ্য, স্কটল্যান্ড থেকে প্রশিক্ষণও নেন তিনি।

 

কীর্তি সুরেশের বাবা জি সুরেশ কুমার দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম প্রযোজক। সুরেশ কুমারের সহপাঠি ছিলেন দক্ষিণী সিনেমার পরিচালক প্রিয়দর্শন এবং মালায়লাম সিনেমার অভিনেতা মোহনলাল। তিনজনের ভালো বন্ধুত্ব ছিল। কীর্তির মা-ও অভিনেত্রী। শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন কীর্তির মা। তাই শৈশব থেকেই অভিনয়ের প্রতি কীর্তির আগ্রহ।

 

মাত্র সাত বছর বয়সে একাধিক দক্ষিণী ধারাবাহিকের পাশাপাশি দক্ষিণী সিনেমায়ও অভিনয় করেন কীর্তি। ‘পাইলটস’, ‘কুবেরান’-এর মতো একাধিক মালায়লাম সিনেমায় শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় করেন তিনি। ২০০৪ সালে মা মেনকা সুরেশ, বোন রেবতীর সঙ্গে ‘ভেত্তম’ নামে একটি মালায়লাম সিনেমা প্রযোজনা করেন কীর্তি।

 

পড়াশোনায় ক্ষতি হবে— এই ভাবনা থেকে কীর্তি সুরেশকে অভিনয় থেকে দূরে সরানোর সিদ্ধান্ত নেন তার বাবা-মা। ১১ বছর বড় পর্দা থেকে বিরতি নেওয়ার পর আবারো অভিনয় শুরু করেন কীর্তি। স্কুলজীবনে সাঁতার শেখেন কীর্তি। সাঁতার প্রতিযোগিতায় যোগদান করে বিজয়ীও হন। কলেজের গণ্ডি পেরোনোর আগেই আবার অভিনয় শুরু করেন। তৃতীয় বর্ষে পড়াকালীন কীর্তিকে বড় পর্দায় অভিনয়ের প্রস্তাব দেন প্রিয়দর্শন। ২০১৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘গীতাঞ্জলি’ সিনেমায় দ্বৈতচরিত্রে অভিনয় করেন কীর্তি সুরেশ। পড়াশোনা সামলে শুটিং করেন এই অভিনেত্রী।

 

‘রজিনীমুরুগান’, ‘নেমো’, ‘রিং মাস্টার’, ‘মহানতি’-এর মতো একাধিক হিট সিনেমা উপহার দেন কীর্তি সুরেশ। ‘মহানতি’ সিনেমার জন্য ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন তিনি। মালায়ালাম ভাষার পাশাপাশি তামিল, তেলুগু সিনেমায় অভিনয় করেও জনপ্রিয়তা পান। গত বছরের শেষ লগ্নে মুক্তি পায় কীর্তি অভিনীত ‘বেবি জন’ সিনেমা। এর মাধ্যমে বলিউডে তার অভিষেক হয়েছে। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন বলিউড অভিনেতা বরুণ ধাওয়ান। বলিউডে পা রেখেই সেভাবে সাড়া ফেলতে না পারলেও কীর্তির কীর্তিতে মুগ্ধ ভক্তরা।

 

গত ডিসেম্বর মাসে ভারতের গোয়ায় পরিবার ও ঘনিষ্ঠজনদের নিয়ে দীর্ঘ দিনের প্রেমিক অ্যান্টোনি থাটির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন কীর্তি। অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত নন অ্যান্টোনি। কীর্তির স্বামী পেশায় ব্যবসায়ী। জানা যায়, ২০০৯ সালে অ্যান্টোনির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান কীর্তি। সেই সময় কীর্তি স্কুলে পড়তেন। আর অ্যান্টোনি ছিলেন কলেজ শিক্ষার্থী। দীর্ঘ ১৫ বছর ডুবে ডুবে জল খেলেও তা নিয়ে কখনো প্রকাশ্যে কিছু বলেননি কীর্তি। তবে এ অভিনেত্রীর ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা এ খবর জানতেন। প্রিয় মানুষকে নিজের করে পেয়ে বিয়ের আসরে কেঁদে ফেলেন কীর্তি।

ঢাকা/শান্ত


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়