ঢাকা     মঙ্গলবার   ০১ এপ্রিল ২০২৫ ||  চৈত্র ১৮ ১৪৩১

নিজেকে শাস্তি দিতেই অভিনয়কে বিদায় জানান সারা

বিনোদন ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:২৬, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫   আপডেট: ১০:৩৮, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
নিজেকে শাস্তি দিতেই অভিনয়কে বিদায় জানান সারা

১৯৮৫ সালের ডিসেম্বরে কুয়েতে জন্মগ্রহণ করেন সারা লরেন। দেশভাগের পর তার দাদা সপরিবারে রাজস্থান থেকে কুয়েতে চলে যান। সারার বাবা-মা দু’জনেরই জন্ম পাকিস্তানে। সারা যখন কিশোরী, তখনই তার বাবা মারা যান। তারপর মাকে নিয়ে লাহোরে পাড়ি জমান। ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ের প্রতি তার আগ্রহ।

করাচি এবং দিল্লিতে একাধিক মঞ্চনাটকে অভিনয় করেন সারা লরেন। ২০০২ সালে ছোট পর্দায় অভিনয় শুরু করেন। ২০১২ সাল পর্যন্ত একের পর এক উর্দু ধারাবাহিকে অভিনয় করতে দেখা যায় তাকে। ছোট পর্দার পাশাপাশি বড় পর্দায়ও অভিনয় করেছেন সারা। ২০০৪ সালে উর্দু ভাষার ‘মাহনুর’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে।

 

অভিনয়ের পাশাপাশি মডেলিংও করেছেন সারা লরেন। পাকিস্তানের এই মডেল-অভিনেত্রী বলিউড নির্মাতাদেরও নজর কাড়েন। ২০০৭ সালে মুক্তি পায় সানি দেওল অভিনীত ‘কাফিলা’ সিনেমা। হিন্দি ভাষার এ সিনেমায় ছোট চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পান সারা।

 

২০১০ সালে মুক্তি পায় বলিউডের ‘কাজরার’ সিনেমা। এটি পরিচালনা করেন পূজা ভাট। এ সিনেমার প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন সারা। বলিউড গায়ক, অভিনেতা হিমেশ রেশমিয়ার সঙ্গে জুটি বেঁধে সিনেমাটিতে অভিনয় করেন তিনি। এরপরই তার ক্যারিয়ার অন্যদিকে মোড় নেয়। মুকেশ ভাট প্রযোজিত ‘মার্ডার থ্রি’ সিনেমা ২০১৩ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়। সিনেমাটিতে রণদীপ হুদা, অদিতি রাও হায়দারির সঙ্গে দেখা যায় সারাকে। এরপর বলিপাড়ায় রাতারাতি জনপ্রিয়তা লাভ করেন।

 

‘মার্ডার থ্রি’ সিনেমায় অভিনয়ের পর একাধিক সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব পেতে শুরু করেন সারা লরেন। কিন্তু সব চরিত্রই ছিল একই ধরনের। এক সাক্ষাৎকারে সারা বলেছিলেন, “আমাকে কেউ বার ড্যান্সার, কেউ আইটেম গার্ল চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দিতেন। তার বাইরে কিছুই পেতাম না।”

 

অন্য এক সাক্ষাৎকারে সারা লরেন জানিয়েছিলেন, পাকিস্তানের এক তরুণের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন সারা লরেন। সেই তরুণও বিনোদনজগতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ‘মার্ডার থ্রি’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য সারাকে ভারতে পাড়ি দিতে হয়। ভালোবাসার মানুষকে এ কথা না জানিয়ে ক্যারিয়ার গড়তে ভারতে চলে যান। এরপর সারার প্রেমিক অন্য মেয়েকে বিয়ে করে ফেলেন।

 

‘মার্ডার থ্রি’ ছাড়াও ‘বরখা’, ‘ফ্রড সাঁইয়া’, ‘ইশক ক্লিক’-এর মতো একাধিক হিন্দি সিনেমায় অভিনয় করেন সারা। তারপরও অভিনয় জগত থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। এক সাক্ষাৎকারে সারা লরেন বলেছিলেন, “ক্যারিয়ার গড়তে গিয়ে প্রচুর ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাই নিজেকে শাস্তি দিতে অভিনয়জগৎ থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিই।”

 

খ্রিষ্টান ধর্মে দীক্ষিত হয়ে নিজের নাম বদলে রাখেন মোনা লিজা হোসেন। ২০২২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ইশরত মেড ইন চায়না’ শিরোনামে উর্দু ভাষার সিনেমায় সর্বশেষ অভিনয় করতে দেখা যায় সারাকে। তারপর আর বড় পর্দায় অভিনয় করেননি এই অভিনেত্রী।

ঢাকা/শান্ত


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়