'ক্ষমতায় থেকেও বিএনপি জিয়া হত্যার বিচার না করা রহস্যজনক'

খালেদা জিয়া দু'দফা ক্ষমতায় থেকেও জিয়া হত্যার বিচার না করা 'রহস্যজনক' বলে মন্তব্য ক‌রে‌ছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

শনিবার (৩০ মে) দুপুরে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত মতবিনিময়কালে 'জিয়ার মৃত্যুবার্ষিকীতে বিএনপি মাজারে যায়, কিন্তু হত্যার বিচার চায়না' - এ বিষয়ে মন্তব্য চাইলে মন্ত্রী একথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া দুই দফায় দশ বছর প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, আরও একবার বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে একমাসের বেশি ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছিলেন। এটি সত্যিই রহস্যজনক যে জিয়াউর রহমান হত্যার বিচার তিনি করলেন না। সেকারণে জনগণের মনেও এটি প্রশ্ন যে জিয়া হত্যার বিচার করলে থলের বিড়াল বেরিয়ে যাবে, এজন্যই কি তিনি বিচার করেননি।

তথ্যমন্ত্রী এ সময় বলেন, সরকারের সুদক্ষ ব্যবস্থাপনার কারণেই এখনও আশেপাশের দেশ ও ইউরোপ-আমেরিকার চেয়ে আমাদের দেশে করোনায় আক্রান্তদের মৃত্যুহার অনেক কম। কিন্তু রুহুল কবির রিজভী সাহেবসহ বিএনপি নেতারা যেভাবে কথাবার্তা বলছেন, তাতে মনে হয়, তারা বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার উপদেষ্টার দায়িত্ব পেয়েছেন।

বিএনপিকে আশপাশের দেশসহ বিশ্বের দিকে তাকানোর অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, পাকিস্তানে করোনা সংক্রমণের হার আমাদের চেয়ে বেশি। ভারতে সংক্রমণ চীনকে ছাড়িয়ে গেছে। আর বেলজিয়ামে সংক্রমিতদের মৃত্যুহার ১৫ শতাংশ, বৃটেনে ১৪,  যুক্তরাষ্ট্রে ৬, ভারতে ৩ দশমিক ২, পাকিস্তানে ২ এর বেশি। আর আমাদের দেশে ১ দশমিক ৩৬ শতাংশ। আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা যদি ভালো না হতো, তাহলে মৃত্যুহার ভারত-পাকিস্তানের মতো বা তার চেয়ে বেশি হতো। প্রধানমন্ত্রীর সার্বক্ষণিক মনিটরিং ও সংশ্লিষ্ট সবার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই আমরা মৃত্যুহার কমিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছি।

'বিএনপিকে অনুরোধ জানাবো, মিথ্যাচার না করে জনগণের পাশে এসে দাঁড়ান, আর আমাদের দুয়ার খোলা রয়েছে, প্রয়োজনে আমাদের সঙ্গে আপনারা একযোগে জনগণকে সহায়তা করার জন্য কাজ করতে পারেন' -বলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্ব ও  সময়োপযোগী বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত সব শঙ্কা-আশঙ্কা মিথ্যা প্রমাণ করেছে।

তিনি বলেন, 'করোনা থেকে সুরক্ষার জন্য সরকারি ছুটি ঘোষণার পর থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ইতিহাসের বৃহত্তম ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করেন। সরকারের ব্যবস্থাপনায় ছয় কোটি মানুষ ত্রাণ ও আরও এক কোটি মানুষ নানা সহায়তা পেয়েছেন। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ১ কোটি ২০ লাখ পরিবারকে ত্রাণ দেওয়া হয়েছে, যা অভাবনীয় এবং অন্য কোনো রাজনৈতিক দল তা করেনি । যেকারণে গত দু'মাসের বেশি প্রায় সবকাজ বন্ধ থাকার পরও পরম সৃষ্টিকর্তার অনুগ্রহ আর আমাদের চেষ্টায় একজন মানুষও অনাহারে মৃত্যুবরণ করেনি।

আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ড. রোকেয়া সুলতানা, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন ও উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান এসময় উপস্থিত ছিলেন।


ঢাকা/পার‌ভেজ/এসএম