ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ০২ জানুয়ারি ২০২৫ ||  পৌষ ১৮ ১৪৩১

‘বরিশালের ঘটনায় জড়িতদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৫৩, ২০ আগস্ট ২০২১   আপডেট: ১৮:৩৯, ২০ আগস্ট ২০২১
‘বরিশালের ঘটনায় জড়িতদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের (ফাইল ফটো)

আওয়ামী লীগ সর্বদাই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর, এ দাবি করে ক্ষমতাসীন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগে দলীয় পরিচয়ের আড়ালে কোনো অপরাধী কোনোদিন প্রশ্রয় পায়নি, পাবেও না। বরিশালের ঘটনায় যারাই জড়িত থাকুক, তাদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।’

শুক্রবার (২০ আগস্ট) এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছেন এবং অনেকেই গ্রেপ্তার হয়েছে।’

আরো পড়ুন:

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘বিএনপির আমলে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের দুঃসহ স্মৃতি জাতি এখনও ভোলেনি।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে বিএনপির পৃষ্ঠপোষকতায় সন্ত্রাসের সর্বগ্রাসী রূপ দেশবাসী দেখেছে। বিএনপি যতবারই রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেছে, ততবারই তাদের পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী। তাদের হাত ধরেই এদেশের মাটিতে সন্ত্রাসের বিষবৃক্ষ মহীরুহে পরিণত হয়েছিল, যার সর্বশেষ সংস্করণ ছিল উগ্র জঙ্গি মৌলবাদী সন্ত্রাস।’

বর্তমান সরকার সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেনি, বরং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিএনপির পৃষ্ঠপোষকতায় পরিপুষ্ট সন্ত্রাস ও দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতির বিস্তার প্রতিরোধে কাজ করছে বলেও দাবি করেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের সংবিধান ও সেনা আইন লঙ্ঘনের মধ্য দিয়ে সেনা ছাউনিতে বিএনপির প্রতিষ্ঠা করেছিল, যা ছিল সম্পূর্ণভাবে বেআইনি।’

রাজনীতির নীতিকে নির্বাসনে দিয়ে বিএনপি সন্ত্রাসের মাধ্যমে দেশের জনগণকে শাসন করতে চেয়েছিল, অভিযোগ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘১০ ট্রাক অস্ত্র এনে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের চারণভূমিতে পরিণত করতে চেয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৪ সালে এই আগস্ট ২১ তারিখে গণতান্ত্রিক কাঠামোর সকল শিষ্টাচার লঙ্ঘন করে বিরোধী মতকে নিশ্চিহ্ন করার লক্ষ্যে এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তারেক রহমানের প্রত্যক্ষ মদদে নারকীয় গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। ২০০৫ সালে ১৭ আগস্ট সারা দেশের ৫ শতাধিক স্থানে বোমা হামলা চালানো হয়।’

তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক সংকট করোনা মহামারির মধ্যেও শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও সুদক্ষ পরিচালনার কারণে বাংলাদেশ তুলনামূলক ভালো অবস্থানে আছে। এমনকি পাকিস্তানি গণমাধ্যমেও শেখ হাসিনা সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করে সেদেশের বিশেষজ্ঞগণ তাদের শাসকগোষ্ঠীকে বাংলাদেশ থেকে শিক্ষা নেওয়ার পরামর্শ দেন। এমন পরিস্থিতিতে কেবল সবকিছুতে পাকিস্তানিপ্রেম ভাবাদর্শের মানুষই এমন তুলনা করতে পারেন।’

বিবৃতিতে তিনি শোকের মাস আগস্টে শোককে শক্তিতে পরিণত করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করার আহ্বান জানান।   

পারভেজ/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়