ঢাকা     শনিবার   ০৬ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২২ ১৪৩১

দেশের ভাগ্য নষ্ট করতে দেওয়া হবে না: প্রধানমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৩৪, ১৬ আগস্ট ২০২৩   আপডেট: ২২:৩৬, ১৬ আগস্ট ২০২৩
দেশের ভাগ্য নষ্ট করতে দেওয়া হবে না: প্রধানমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী ও শোক দিবস উপলক্ষে আ.লীগ আয়োজিত স্মরণসভা। ছবি: সংগৃহীত

কোনো খেলা খেলে বাংলাদেশের ভাগ্য কেউ নষ্ট করতে যেন না পারে, সেই বিষয়ে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, যে স্বপ্ন নিয়ে আমার বাবা দেশ স্বাধীন করেছিলেন, সেই স্বপ্ন পূরণে আমরা অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছি। এখন আমাদের বাংলাদেশ হবে আধুনিক বিজ্ঞান প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন স্মার্ট বাংলাদেশ। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ। ইনশাল্লাহ এটা আমরা গড়ে তুলবো।

বুধবার (১৬ আগস্ট) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

পড়ুন: ১৫ আগস্টের সঙ্গে জিয়া ওতপ্রোতভাবে জড়িত : প্রধানমন্ত্রী

বিদেশে পালিয়ে থাকা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকার কাজ করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখনো কয়েকটা খুনি বিভিন্ন জায়গায় আছে। আমরা আনার চেষ্টা করছি। সব থেকে অবাক লাগে-যেসব দেশে খুনিদের আশ্রয় দিয়ে রাখা হয়েছে, তারা যখন আমাদের কাছে এসে মানবাধিকার, নির্বাচন, সমঝোতার কথা বলে…বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে খুব উতালা হয়ে পড়েছে।’

এ সময় তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘আমার প্রশ্ন, ২০০১ সালের নির্বাচনের পর যখন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন চললো, কত মানুষকে হত্যা করেছে, হাত কেটেছে, চোখ তুলে নিয়েছে, ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দিয়েছে; তখন তাদের নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা হয়নি কেন। সে নির্বাচনে তো জোর করে আমাদের হারানো হলো।’

‘৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি যখন ভোটারবিহীন নির্বাচন করেছিলো তখন তাদের সেই নির্বাচনী চেতনা কোথায় ছিলো। আর জিয়াউর রহমানের যে নির্বাচন কই তার বিরুদ্ধে তো কোনো কথা বলেনি। এরশাদ ৪৮ ঘণ্টা ভোটের রেজাল্ট বন্ধ করে ঘোষণা দিয়েছিলো সেটা নিয়ে তাদের কোনো উদ্বেগ তো আমরা দেখিনি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘হঠাৎ এবারের নির্বাচন নিয়ে তারা খুব বেশি উতালা হয়ে পড়লো।  আর নির্বাচনের দাঁড়ি, কমা সেমিকোলন কোথায়, কিভাবে হবে তা নিয়ে সবচেয়ে বেশি….এবং একের পর এক তাদের লোক আসা শুরু করেলো। কেন? কারণটা কি? কারণ বিএনপি। বিএনপি এখন তাদের চোখের মনি।’

‘যে বিএনপি এত মানুষ হত্যা করেছে, জাতির পিতাকে হত্যার সাথে জড়িত, যে বিএনপি  কয়দিন আগেও আগুন দিয়েছে। অগ্নিসন্ত্রাস করে মানুষ হত্যা করলো ২০১৩ তে, ১৪-তে, ১৫-তে। কিছুদিন আগেও পুলিশের ওপর আক্রমণ। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর। তো পুলিশ কি বসে বসে মার খাবে? এই দেশে তারা এত ধ্বংষযজ্ঞ চালালো আজকে তাদের নিয়ে মাতামাতি, তাদের সঙ্গে বসতে হবে! অনেক বলেছি।’

তিনি বলেন, ‘জানি খুনি, তবু শুধু বাংলাদেশের মানুষের মুখের দিকে তাকিয়ে এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের জন্য দেশের জন্য কাজ করেছি। আজকে যখন এত বেশি নির্বাচন নিয়ে কথা, যখন আমরা আইন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছি। আর খালেদা জিয়ার মতো আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশনার তো না। এক কোটি তেইশ লাখ ভুয়া ভোটার নিয়ে তারা নির্বাচন করার চেষ্টা করেছে, তখন এসব চেতনা আমরা দেখি নাই। এত কথাও আমরা শুনি নাই।’

‘আমার যেটা মনে হয় বাংলাদেশের উন্নয়নটা তাদের পছন্দ না। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা এটাই পছন্দ না। আজকে গণতন্ত্রের কথা বলে, গণতন্ত্র কি? আমি আমেরিকায় যখন গিয়েছিলাম তখন স্টেট ডিপার্টমেন্টের সাথে কথা বলে জিজ্ঞেসা করেছিলাম যে, আমি একটা মনোগ্রাম দেখে আসলাম। যেখানে লেখা অফ দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল, ফর দ্য পিপল। আর আমি একটা দেশ থেকে এসেছি, যেখানে সরকার অফ দ্য আর্মি, বাই দ্য আর্মি, ফর দ্য আর্মি। তো আপনারা তাদের সাপোর্ট দেন কিভাবে? আপনাদের গণতন্ত্র কি আটলান্টিকের পাড় পর্যন্তই থাকে। আটলান্টিক পার হলেই কি আপনাদের গণতন্ত্রের সংজ্ঞা বদলে যায়?’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যে বিএনপি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিতি। যাদের হাতে আমার বাবা-মা হত্যার রক্তের দাগ, তাদের জন্য তারা উতালা হয়ে পড়েছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে হাজার হাজার নেতাকর্মী হত্যা করেছে। বারবার এইভাবে আমাদের মুত্যুর মুখোমুখি করেছে। আজকে তাদের নিয়ে ক্ষমতায় বসাতেই হবে।’

‘এদের উদ্দেশ্য এখানে নির্বাচন না। এদের উদ্দেশ্য গণতন্ত্র না। এরা একটা জিনিসই করতে চায়, আজকে গণতন্ত্রের যে ভিত্তিটা আমরা মজবুত করেছি, জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছি, বাংলাদেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নতি হচ্ছে, মানুষ যে আজকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে, আজকে দারিদ্র্যের হার ৪৮ থেকে ১৮ ভাগে নামিয়ে এনেছি। হতদরিদ্র ২৫ থেকে ৫ ভাগে নামিয়ে এনেছি। বাংলাদেশের এই উন্নয়নের পথে এরা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে চায়। এটা হলো বাস্তবতা।’

তিনি বলেন, ‘ভৌগলিক অবস্থানের দিক থেকে ভারত মহাসাগর অপরদিকে প্রশান্ত মহাসাগর…এই ভারত মহাসাগরে কিন্তু আমাদের বে অব বেঙ্গল। এর গুরুত্ব অনেক বেশি। প্রাচীন যুগে এই জায়গা থেকে কিন্তু সকল ব্যবসা বাণিজ্য চলে। এই জায়গাটা আমাদের ভারত মহাসাগরে যতগুলো দেশ আছে, কারো সঙ্গে কোনো দ্বন্দ্ব নেই। সম্পূর্ণ নিস্কণ্ঠক একটা যোগাযোগ পথ। এই জলপথটা হচ্ছে আন্তর্জাতিকভাবে সবচেয়ে নির্বিঘ্নে পণ্য পরিবহন হয়। আজকে আমাদের গণতন্ত্রের নাম নিয়ে, নির্বাচনের নাম নিয়ে এদেশে এমন একটা অবস্থা সৃষ্টি করতে চায়, যাতে করে এই ভারত মহাসাগর, বঙ্গোপসাগর, এই জায়গাটাকে ব্যবহার করা।’

‘এটাকে ব্যবহার করে বিভিন্ন দেশকে আক্রমণ করা, এই দেশগুলোকে ধ্বংস করা। এটাই হচ্ছে কারো কারো উদ্দেশ্য। এই উদ্দেশ্য নিয়েই তাদের নানা ধরনের তালবাহানা এটা দেশবাসীকে বুঝতে হবে। আমাদের কিছু আঁতেল আছে। জানি না এটা তারা চিন্তা করে কি না। সেগুলো না করেই তারা এদের সাথে তাল মিলায় দুটো পয়সার লোভে। কাজেই এই বিষয়ে আমাদের যেমন সতর্ক থাকতে হবে তাছাড়া অন্যান্য দেশের…আমি বলবো ভারত মহাসাগরের এই অঞ্চলের দেশগুলি তারা এই ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন আছে বলে আমি বিশ্বাস করি।”

পার্বত্য চট্টগ্রাম অশান্ত করতে চক্রান্ত চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই এলাকাটাকে নিয়ে নানাভাবে খেলার একটা চক্রান্ত। পার্বত্য চট্টগ্রামে যেখানে ২০ বছর ধরে সংঘাত ছিলো আমি সরকারে আসার পর শান্তি ফিরিয়ে আনি। সেখানেও আবার অশান্তি সৃষ্টির প্রচেষ্টা।’

‘কিন্তু যেহেতু আমি জানি, আমি বুঝি, সে কারণে কিভাবে আমাকে ক্ষমতা থেকে সরাবে আর তাদের কিছু কেনা গোলাম পদলেহনকারী আছে, তাদেরকে বসিয়ে এই জায়গাটাকে নিয়ে খেলবে সেটা ভালোভাবে আমি বুঝতে পারি। আমি দেশবাসীকে বলবো, যারা দেশপ্রেমীক সবাইকে এই ব্যাপারে সতর্ক থাকবে হবে।”

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের এতটুকু ক্ষতি করে ক্ষমতায় যাওয়া এই চিন্তা আমি করি নাই। তা হলে ২০০১ সালে যখন গ্যাস বিক্রির প্রস্তাব এসেছিলো মুখেই যদি বলতাম গ্যাস বিক্রি করবো আমার ক্ষমতায় আসার কোনো ব্যাপারই ছিলো না। দেশের স্বার্থ বেঁচে দেশের সম্পদ অন্য কারো হাতে তুলে দিয়ে আমাকে ক্ষমতায় যেতে হবে এই রকম ক্ষমতা লোভী আমার বাবাও ছিলেন না, আমিও না।’

‘যখন দেশের উন্নয়ন করছি, মানুষের মাথা ব্যথা শুরু হয়ে গেলো। ২০০৯ সালে নির্বাচনে আমরা জয়ী হয়ে এসেছি। ২০১৪ সালে বিএনপি অগ্নিসন্ত্রাস করেছে। স্কুল পুড়িয়েছে, গাড়ি পুড়িয়েছে। ৩ হাজার মানুষ শুধু আগুনেই পুড়েছে। ৫শ মানুষ আগুনে পুড়ে মারা গেছে। আহতরা মানবেতর জীবনযাপন করছে। এরপরও কিভাবে মানুষ বিএনপির পেছনে দাঁড়ায় সেটাই আমার প্রশ্ন।”

জনগণের প্রতি প্রশ্ন রেখে সরকারপ্রধান বলেন, ‘এই পোড়া মানুষগুলোর আর্তনাদ কেউ কি দেখে না। যারা পেট্রোল বোমা মেরে জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে মারতে পারে তারা কি মানুষ? এদের ভেতর কি কোনো মনুষ্যত্ব আছে? জনগণের অর্থ সম্পদ লুট করে বিদেশে পাচার করে। ধরা তো আমেরিকার এফবিআইয়ের হাতেই পড়েছে। এফবিআই তদন্ত করতে গিয়েই তো খালেদা জিয়া, তারেক রহমানের দুর্নীতি বের করেছে। তারা তো সাক্ষীও দিয়েছে।’

এ সময় বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে বর্তমানে প্রতিটি ক্ষেত্রে দেশের এগিয়ে যাওয়ার বর্ণনা করেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচন চায় না। কারণ তারা জানে কাকে নিয়ে নির্বাচন করবে। তাদের দুই নেতা একজন এতিমের অর্থ আত্মসাতের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত, আরেকজন মানিলন্ডারিং, দশ ট্রাক অস্ত্র মামলা, খুন, গ্রেনেড হামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক। মুচলেকা দিয়ে দেশ থেকে পালিয়ে গেছে আর কোনোদিন রাজনীতি করবে না। আর লন্ডন থেকে বলে টাকা কত লাগবে লোক নিয়ে আসেন। দেশের মানুষের টাকা চুরি করে নিয়ে গেছে বিদেশে। তারাই এখন জনগণের ভাগ্য নিয়ে খেলতে চায়।’

‘তারা জানে নির্বাচন করে তারা কোনেদিন ক্ষমতায় যেতে পারবে না। কিন্তু নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এবং নির্বাচন যাতে না হয় সেজন্য যত চক্রান্ত করার সেটিতে তারা লিপ্ত। পঁচাত্তর থেকে চক্রান্ত হয়েছে। দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে খেলেছে। একমাত্র এদেশের মানুষ যখন নৌকায় ভোট দিয়েছে স্বাধীনতা পেয়েছে, পেট ভরে ভেতে পাচ্ছে, বিদ্যুৎ পেয়েছে,  রাস্তাঘাট পেয়েছে, কর্মসংস্থান হচ্ছে, মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হচ্ছে জাতির পিতা যা চেয়েছিলেন।”

১৫ আগস্টের স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভাবতেই পারিনি এরকম আঘাত আসবে। ১৩ তারিখও মা বাবার সাথে কথা হয়। ঘটনা ঘটার পর যখন জানতে পারি আমরা আপনজন স্বজন হারিয়েছি। বিদেশি রিফিউজি হয়ে থাকতে হয়েছে। আমরা আপনজন হারিয়েছি। বাংলাদেশের মানুষ কি হারিয়েছিলো?’

‘বাবা সারাজীবন এদেশের মানুষের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। এদেশের মানুষকে সুখী জীবন দেবেন, তাদের অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান-শিক্ষা-চিকিৎসা দিয়ে এ দেশের মানুষকে উন্নত জীবন দেবেন বলে নিজের জীবনকে উৎসর্গ করে গেছেন। যুদ্ধ বিধ্বস্ত ধ্বংষস্তুপের ওপর দাঁড়িয়ে দেশকে উন্নত দেশের দিকে ধাবিত করেন, ঠিক এই সময়ে আঘাতটা আসে।’

সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, কার্যনির্বাহী সদস্য তারানা হালিম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি প্রমুখ।

আলোচনা সভাটি আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ ও উপ-প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন।

/পারভেজ/সাইফ/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়