সরকারকে মোকাবিলা করে বিজয়ী হতে হবে: জামায়াত
জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ আজ এক কঠিন সময় অতিবাহিত করছে। দেশে আজ গণতন্ত্র নেই, জনগণের কথা বলার অধিকার নেই। সরকার তার সামগ্রিক ব্যর্থতায় দেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। এখন সময় এসেছে, জান-মালের কুরবানির বিনিময়ে হলেও জুলুমবাজ সরকারের সাথে মোকাবিলা করে বিজয়ী হতে হবে।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে আয়োজিত রুকন (সদস্য) সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, রুকন (সদস্য) ভাইদের পিছনে থাকার কোনো সুযোগ নেই। দেশের এই ক্রান্তিকাল উত্তরণে সাহাবায়ে কেরামের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে জামায়াতে ইসলামীর প্রত্যেক রুকনকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও প্রচার সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ।
আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির যথাক্রমে আব্দুস সবুর ফকির ও হেলাল উদ্দিন।
উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি যথাক্রমে দেলওয়ার হোসাইন, কামাল হোসাইন, ড. আ. মান্নান। কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিশে শুরা সদস্য যথাক্রমে অধ্যাপক মোকাররম হোসাইন, ফরিদ হোসাইন, মাওলানা আবু ফাহিম, ইঞ্জিনিয়ার শেখ আল আমিন, আবু সাদিক, অ্যাডভোকেট এস এম কামাল উদ্দিন, ড. মোবারক হোসাইনসহ মহানগরীর কর্মপরিষদ ও মজলিসে শুরার সদস্যরা।
তিনি বলেন, আমাদের শীর্ষ নেতাদের হত্যা করে কুচক্রি মহল ভেবেছিল জামায়াত শেষ হয়ে যাবে কিন্তু মহান আল্লাহর মেহেরবানীতে জামায়াত আরও শক্তি সঞ্চার করে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। একইভাবে সরকার রাষ্ট্রীয় শক্তি প্রয়োগ করে ফ্যাসিষ্ট কায়দায় আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর জানাজা রাজধানীতে করতে না দিয়ে এদেশের তৌহিদী জনতার অন্তরে আঘাত হেনেছে। যা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং ধর্মীয় ও সাংবিধানিক অধিকারের পরিপন্থী। অপরদিকে আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতৃবৃন্দ জুলুমের শিকার হয়ে কারাগারে বন্দী রয়েছেন। অবিলম্বে আমরা তাদের মুক্তি দাবি করছি।
মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, জামায়াতের রুকন হিসেবে আমরা আল্লাহ তায়ালার দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য বাইয়াত বা শপথ গ্রহণ করেছি। এই শপথের কর্মী হিসেবে আমাদের দুজন সাবেক আমিরে জামায়াতসহ শীর্ষ নেতৃবৃন্দ মজলুম অবস্থায় শাহাদাতের মর্যাদা নিয়ে দুনিয়া থেকে চলে গেছেন। এভাবে অসংখ্য শাহাদাতের নজির আমাদের সামনে রয়েছে। তাই দ্বীন কায়েমের প্রচেষ্টায় জামায়াতের রুকনদের আরও ত্যাগ ও কুরবানীর নজরানা পেশ করে ময়দানে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে।
মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, আল্লাহর রাসূল সা. এর যুগেও দ্বীন ইসলাম প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে পরিপূর্ণভাবে নির্মূল করে দেওয়ার জন্য নানামুখি ষড়যন্ত্র অব্যাহত ছিলো। দেশ ও বিদেশের কুচক্রি মহলের মূল টার্গেট হচ্ছে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী মূল্যবোধকে দমিয়ে রাখা। জামায়াতে ইসলামীর রুকনদের এ বিষয়ে সজাগ ও সচেতন থেকে ভূমিকা পালন করতে হবে।
নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে জামায়াতে ইসলামীর গণভিত্তি রচনার জন্য সংগঠনের রুকনেরাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এজন্য টার্গেট ভিত্তিক সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তিদেরকে জামায়াতে শামিল করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
/নঈমুদ্দীন/এসবি/