ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ০৪ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২০ ১৪৩১

‘বিশ্ববরেণ্য নেতাদের বিবৃতি খতিয়ে না দেখলে চরম মূল্য দিতে হতে পারে’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:০৭, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩   আপডেট: ২০:০৭, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
‘বিশ্ববরেণ্য নেতাদের বিবৃতি খতিয়ে না দেখলে চরম মূল্য দিতে হতে পারে’

ডক্টর মো. ইউনূসের পক্ষ নি‌য়ে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, ইউনূসের বিচার চলছে। আমাদের এ প্রসঙ্গে কথা নেই। বারাক ওবামা, হিলারি ক্লিন্টন, বান কি মুনসহ বিশ্ববরেণ্য ১৭৫ জন নেতা এবং নোবেল বিজয়ীরা ডক্টর ইউনূসের পক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন। তাদের বিচার-বুদ্ধি বা সততা সম্পর্কে কোনো সন্দেহ বা কটাক্ষ করা হাস্যকর। তারা বিচার বিভাগীয় হয়রানির কথা বলেছেন, এটি সংশ্লিষ্টদের খতিয়ে দেখতে হবে। বিশ্ববরেণ্য নেতাদের বিবৃতি খতিয়ে না দেখলে জাতিকে চরম মূল্য দিতে হতে পারে।

বৃহস্প‌তিবার (৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে জাতীয় যুব সংহতি সভাপতি এইচ এম শাহরিয়ার আসিফ এর রোগমুক্তি কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল শেষে তি‌নি এসব কথা ব‌লেন।

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ব‌লেন, তা‌দের বিবৃ‌তি বিশ্ব সমাজে আমাদের হেয় প্রতিপন্ন হতে হবে। এজন্য হয়তো, জাতিকে চড়া মূল্য দিতে হবে। বিশ্ববরেণ্য ঐ সব মানুষের বিচার, বুদ্ধি, বিবেক ও সততা নিয়ে কটাক্ষ করা বিশ্বে আমাদের হাস্যকর করে তুলছে। আমরা যদি মনে করি উট পাখির মতো মাথা গুঁজে বালুতে কিছু লুকিয়েছি, আমি কাউকে দেখিনি তাই কেউ আমাকেও দেখছে না। উট পাখির মতো মনে করলে চলবে না, সবাই আমাদের দেখছেন।

২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ নিউইয়র্ক টাইম পত্রিকা প্রতিবেদন করেছে, নীরবে ধংস করা হচ্ছে একটি দেশের গণতন্ত্র, কাঠগড়ায় মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ। নিউইয়র্ক টাইমসের সেই প্রতিবেদনেও বিচারিক হয়রানির কথা বলা হয়েছে জা‌নি‌য়ে জিএম কা‌দের ব‌লেন, প্রতিবেদনে গণতন্ত্রহীনতার কথা বলা হয়েছে। গণতন্ত্র ধংস করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে বর্তমান সরকার কাজ করছে। নিউইয়র্ক টাইমসকে বিশ্বের এক নম্বর গণমাধ্যম বলা হয়ে থাকে। তাদের যেকোনো প্রতিবেদন সারা বিশ্বে গ্রহণযোগ্য। দেশের মানুষ, সরকার ও বিরোধীদলের সাথে কথা বলে নিউইয়র্ক টাইমস এই প্রতিবেদনটি করেছে। সারা বিশ্ব যে পত্রিকাকে গ্রহণযোগ্য মনে করে, আমরা তাকে মূল্য না দিলে তাতেও আমাদের খেসারত দিতে হতে পারে। সংশ্লিষ্টদের বিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিত।

তি‌নি ব‌লেন, গণতন্ত্র ধংস করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে, সকল ক্ষমতা এক ব্যক্তির হাতে ন্যস্ত করা হয়েছে। এটাকে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি, না হলে জাতি হিসেবে বড় ধরনের মাশুল দিতে হবে।

সরকার নির্বাচনের আগে বড় বড় পদে অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিব ও উপসচিব পদে প্রচুর পদোন্নতি দিয়েছে। এতে আপত্তি নেই জা‌নি‌য়ে জাপা চেয়ারম‌্যান ব‌লেন, গণমাধ্যম বলছে, সরকার একটি শ্রেণিকে সুযোগ-সুবিধা দিতেই পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে। তাদের কোনো কাজ নেই, নিজেদের কাজই করবে তারা। দেশে এমনিতেই অর্থের অভাব, সরকার যে রাজস্ব আদায় করছে তাতে হচ্ছে না। বিশেষজ্ঞদের মতে, এত  পদোন্নতিতে সার্ভিস আরও খারাপ হবে। লোকজন বেশি হওয়ায় কাজ আরও খারাপ হবে। সরকারের উদ্দেশ্য সৎ নয়, উদ্দেশ্য হচ্ছে নির্বাচনে জিততে হবে। সরকার পদন্নোতি দিয়ে জনগণের পয়সায় নির্বাচন প্রভাবিত করতে চায়।

দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, জহিরুল ইসলাম জহির, উপদেষ্টা সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম ওমর, খলিলুর রহমান খলিল, ভাইস চেয়ারম্যান আহসান আদেলুর রহমান এমপি, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ইয়াহ ইয়া চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব মো. আমির হোসেন ভূঁইয়া, বেলাল হোসেন, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল পরিচালনা করেন জাতীয় যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক আহাদ ইউ চৌধুরী শাহীন। মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফেজ ক্বারী ইসাহুরুল্লাহ আসিফ।

উপস্থিত ছিলেন সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মো. হেলাল উদ্দিন, হুমায়ুন খান, ওলিউল্লাহ মাসুদ, সুলতান মাহমুদ, এমএ রাজ্জাক খান, গোলাম মোস্তফা, ইঞ্জিনিয়ার এলাহান উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক মো. হেলাল উদ্দিন, আজহারুল ইসলাম সরকার, মাহমুদ আলম, সমরেশ মণ্ডল মানিক, দ্বীন ইসলাম শেখ, কেন্দ্রীয় নেতা শফিউল ইসলাম দুলাল, রেজাউল করিম রেজা, মখলেছুর রহমান বস্তু, লে. কর্নেল তসলিম উদ্দিন, জিয়াউর রহমান বিপুল, সোলায়মান সামী অ্যাডভোকেট মো. নজরুল ইসলাম খান, ইব্রাহীম খান জুয়েল, শাহ ইমরান রিপন, ছাত্র সমাজ এর সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম খান, হকার্স এর সাধারণ সম্পাদক রাশেদ নিজাম, মটর শ্রমিক এর সদস্য সচিব মো. আব্দুর রহিম, যুব সংহতির নেতাদের মধ্যে জাফর আহমেদ রাজু, আবু সাঈদ প্রমুখ।

/নঈমুদ্দীন/এসবি/

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়