ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

নির্বাচন কোন পথে চলবে তা জনগণ নির্ধারণ করবে: গণতন্ত্র মঞ্চ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:১৮, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩  
নির্বাচন কোন পথে চলবে তা জনগণ নির্ধারণ করবে: গণতন্ত্র মঞ্চ

দেশে দমন, নিপীড়ন, গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এবং সরকারের পদত্যাগ, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বি‌ক্ষোভ সমাবেশ ও পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।

বুধবার বিকা‌লে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সিনিয়র সহ- সভাপতি তানিয়া রবের সভাপতিত্বে ও জেএসডি'র সাধারন সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহামুদ স্বপনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুমসহ গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা।

সভাপতির বক্তব্যে তানিয়া রব বলেন, গণতন্ত্র মঞ্চ এই অবৈধ সরকারের পতনের লড়াই করছে একই সাথে বাংলাদেশের পুলিশ-প্রশাসন, সাংবিধানিক কাঠামো, আইন-কানুন কোন পথে চলবে সেই সংস্কার করতে চাই। জনগণকে এই লড়াইয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এই সরকার পরপর দুইবার মানুষের ভোটের অধিকার ক্ষুণ্ন করেছে এবার আর সে সুযোগ নিতে পারবেন না। এই সরকার মিথ্যাবাদী, আজকে রিজার্ভের যে পরিস্থিতি তাতে ৫ মাস পরে মানুষের খাবার পাবে না। মিডিয়ার প্রতি বলেন আপনারা পাতি (টাকা) চিনেন, সরকারের কাছ থেকে পাতির প্রত্যাশা করেন সেটা না করে সঠিক চিত্র তুলে ধরুন। গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা কখনও লুটপাট করেনি। আগামীর বাংলাদেশকে পরিচালনা করতে আমরা প্রস্তুত।

সাইফুল হক বলেন, আমাদের রিজার্ভ হ্রাস পেয়েছে, ভিসানীতি কার্যকর হয়েছে তাতেই রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। এখন যদি গার্মেন্টস এর ওপর নিষেধাজ্ঞা আসে তবে কি পরিস্থিতি হবে? সরকার ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পরেও এখন কেন পাহারা দিতে হবে? তার কি অন্যায় করছে? এখন যে পরিস্থিতি তাতে আপনার উচিত হবে আমেরিকা থেকে ফিরে সংবাদ সম্মেলন করে পদত্যাগ করে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করুন। অন্যথায় আপনার বিদায় হবে ভয়ানক ও দুঃখজনক।

জোনায়েদ সাকি বলেন, সরকার নাকি সভা সমাবেশে বাধা দেয় না, কিন্তু শ্রমিক সংগঠনগুলো হলো বুকিং নেওয়ার পরেও বিভিন্ন অজুহাতে আমাদেরকে বাধার সৃষ্টি করে। দেশে কোন গণতন্ত্র নেই। সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য একতরফা নির্বাচনের নীলনকশার ষড়যন্ত্র করছে আমরা জনগণকে সাথে নিয়ে তা প্রতিহত করবো। আমাদের এ কর্মসূচি সরকারের পতন ও গণতন্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আমাদের বিজয় অনিবার্য।

শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, আমেরিকাতে বসে ঘোষণা করছেন, জনগণকে নিয়ে আমেরিকাকে স্যাংশন দিবেন। আপনার সাথে কি জনগণ আছে? আপনি অবৈধভাবে জোর করে ক্ষমতায় থাকতে চাচ্ছেন। আপনার কারণে আজকে এই স্যাংশন। আপনি দেখতে থাকুন অক্টোবর মধ্যে আপনাকে ক্ষমতা থেকে টেনে নামিয়ে ছাড়বো।

হাসনাত কাইয়ুম বলেন, বাংলাদেশের বিচারপতিরা এতটা নির্লজ্জ পর্যায়ে আছেন, নিজের মর্যাদা, দেশের ভাবমূর্তি ও ঐতিহ্যকে বিতর্কিত করতেও দ্বিধাবোধ করেন না। আমাদের অর্থনৈতিক বেহাল অবস্থায় নিয়েও লুটপাট থামেনি, দেশের এ পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ সরকারকে এক মুহূর্ত ক্ষমতায় রাখার সুযোগ নাই।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়সার, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সিরাজ মিয়া, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জুলহাস নাইন বাবু।

/নঈমুদ্দীন/এসবি/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়