নির্বাচনে সব দলকে আনার দায়িত্ব সরকারের: এম এ আউয়াল

প্রগতিশীল ইসলামী জোটের চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য এম এ আউয়াল বলেছেন, যেহেতু সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে, তাই সরকারের মূল দায়িত্ব হচ্ছে, সব দলকে এক ছাদের তলায় নিয়ে আসা। সবার অংশগ্রহণে গণতন্ত্রের অবয়ব আরও সুন্দর হয়। যাতে করে যেকোনো পরিস্থিতি ও চক্রান্ত মোকাবিলা করা সহজ হয়।

বুধবার (১১ অক্টোবর) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত ’সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষায় করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত অব্যাহত আছে, উল্লেখ করে এম এ আউয়াল বলেন, ‘ন্যূনতম ছাড়ের ভিত্তিতে রাজনীতিতে বিভাজন কমিয়ে আনা দরকার। প্রগতিশীল, অসাম্প্রদায়িক, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের স্বদেশ গড়তে হলে স্থায়ী নির্বাচন ব্যবস্থার কোনো বিকল্প নেই। আর এক্ষেত্রে প্রধান দায়িত্ব সরকারের।’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নতি, আর উন্নত জীবনের যে প্রগতি নির্মাণ করেছেন, সেই নির্মাণকে আরও শক্তিশালী উপায়ে এগিয়ে নিতে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। সুষ্ঠু নির্বাচনকল্পে প্রধানমন্ত্রী যেসব প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন, তার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশে উন্নতির নতুন দিকদর্শন উন্মোচিত হয়েছে।’

ইসরায়েলের হামলায় আক্রান্ত ফিলিস্তিনে ত্রাণ পাঠানোর দাবি জানিয়ে এম এ আউয়াল বলেন, প্রগতিশীল ইসলামী জোটের পক্ষ থেকে জোর দাবি করছি, সরকার যেন অবিলম্বে ফিলিস্তিনের যুদ্ধকবলিত মুসলিম ভাই-বোনদের কাছে বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের সহযোগিতা পৌঁছে দেয়। সরকারের পক্ষে যা যা সম্ভব, সবগুলো উপায় অবলম্বন করে অবিলম্বে ত্রাণ পাঠানো হোক।

আসন্ন দুর্গাপূজায় কোনো ধরনের নাশকতা যেন না হয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সেদিকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান এম এ আউয়াল।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন—প্রগতিশীল ইসলামী জোটের কো-চেয়ারম্যান হাফেজ মাওলানা হারিছুল হক, অধ্যক্ষ খন্দকার এনামুল নাছির, মোহাম্মদ আতাউল্লাহ খান, মুফতি মাহাদী হাসান বুলবুল, মো. কামসুল আলম সুরমা, সুলতান জিসান উদ্দিন প্রধান, মাওলানা আতাউর রহমান আতিকি, মো. নাঈম হাসান, ডা. মোহাম্মদ সম্রাট জুয়েল, হাবিব উদ্দিন আহম্মেদ, মো. আনোয়ার হোসেন, অধ্যক্ষ মো. রফিকুল ইসলাম, ফয়েজ আহমেদ চৌধুরী, মো. আখতার হোসেন ও জোটের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট মো. নুরুল ইসলাম খান।