ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

হরতালে নেতাকর্মীদের রাজপথে থাকার আহ্বান আ.লীগের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:২৭, ২৮ অক্টোবর ২০২৩   আপডেট: ২০:২৮, ২৮ অক্টোবর ২০২৩
হরতালে নেতাকর্মীদের রাজপথে থাকার আহ্বান আ.লীগের

বিএনপির ডাকা হরতালে রাজপথে থাকতে দলের নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে দক্ষিণ গেটের সামনে ‘বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও অব্যাহত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে’ শান্তি সমাবেশে বক্তব্যে তারা এ আহ্বান জানান।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, বিএনপি নিজেরা নিজেরা মারামারি করে, পুলিশের ওপর হামলা করে; ১৫ মিনিটে নয়া পল্টন সাফ। এই ধরনের নেতাকর্মী নিয়ে আওয়ামী লীগকে মোকাবিলা করা সম্ভব না। ছাত্রলীগ ছেড়ে দিলেই তো তারা পালানোর পথ পাবে না। বেশি বাড়াবাড়ি করবেন না।

সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দি বলেন, বিএনপি নিজেরাই মারামারি করে অনুষ্ঠান থেকে পালিয়ে গেছে। তারা হরতালের ভয় দেখিয়ে আমাদের কাবু করার চেষ্টা করছে। এই হরতাল আমরা মানি না। এসময় নেতাকর্মীদের হরতালের বিরুদ্ধে রাজপথে থাকার আহ্বান জানান তিনি।

আজকের হামলার মধ্যে বিএনপি তাদের সন্ত্রাসী চরিত্রে ফিরে গেছে মন্তব্য করে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, আগামী নির্বাচন পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াতকে মোকাবিলা করতে হবে। সেজন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।

সমাবেশে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, যাদের পায়ের তলায় মাটি নাই, তারা-ই সকালে-বিকেলে বলে ‘ঈদের পরে, রোজার পরে, বৃষ্টির পরে, শীতের পরে সরকার পতনের আন্দোলন হবে। আজ পর্যন্ত তারা শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটাতে পারেনি এবং পারবেও না।

বিএনপি ঘোষিত হরতাল প্রত্যাখ্যান করে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রস্তুত রয়েছে। সমাবেশ শেষে বাসায় যাওয়ার সময় ‘হরতাল মানি না, মানবো না’ স্লোগান দিতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য আবদুর রহমান বলেন, বিএনপি পরবর্তী কর্মসূচি আনার জন্য আমেরিকার ক্লাবে ঢুকেছে। ডিম পাড়ে হাঁসে, খায় বাঘডাশে। এ হাস শুধু ধান খায় না, শামুকও খায়। ওরা যাদের বন্ধু হয়, তাদের শত্রুর প্রয়োজন নেই।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আপনারা খবর পেয়েছেন, বিএনপি পালিয়ে গেছে। জামায়াত পালিয়ে গেছে। তারা প্রধান বিচারপতির বাড়ি ও পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালিয়েছিল। পুলিশের ওপর হামলা করে একজনকে হত্যা করেছে। এরপর পুলিশ এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছিল। এখন সেখানে শুধু কাক আছে কাক। আর আকাশে কিছু চিল উড়ছে, আর কিছু নেই।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, বিএনপি আবারও প্রমাণ করেছে তারা সন্ত্রাসী দল। এরা কখনো শান্তি চায় না। আজকে পরিষ্কারভাবেই ঘোষণা করতে চাই, তারা দেশের শান্তি নষ্ট করে অশান্তি করতে চায়। তাদের রাজপথেই মোকাবিলা করা হবে।

নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বিএনপি হরতাল দিয়েছে। সেটি শান্তিপূর্ণ হলে আপত্তি নেই। কিন্তু অশান্তি সৃষ্টি করলে কোনও ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা তাদের প্রতিহত করবো। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত আমরা মাঠে থাকবো। সেজন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, বিএনপি-জামায়াত আজ আমাদের আঘাত করেছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকেরা রাজপথে নেমেছে। আমরা রোববার পাড়া-মহল্লায় দুর্গ গড়ে তুলবো। হরতাল প্রতিহত করা হবে।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, গত ১৫ বছরে আজকের মতো গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি এর আগে আমরা পালন করি নাই। আজকে তারা ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি পালন করেছে। আমরা শান্তি সমাবেশ করছি।

সংঘাত করলে যুবলীগ ঘরে বসে থাকবে না মন্তব্য করে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, বাংলাদেশের যুব সমাজ কোনও অনির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতায় বসতে দেবে না। তরুণ সমাজ কোনও অনির্বাচিত সরকার চায় না। তাই বিএনপিকে আহ্বান করবো, নির্বাচনে আসুন। আগামী নির্বাচন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হবে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচির পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, মুক্তিযুদ্ধ সম্পাদক মৃনাল কান্তি দাস, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আবদুস সবুর, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, উপপ্রচার সম্পাদক সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম, কেন্দ্রীয় সদস্য ইকবাল হোসেন অপু, আনিসুর রহমান, সাহাবুদ্দিন ফরাজী, গোলাম কবির রাব্বানী চিনু, তারানা হালিম, সানজিদা খানম, মোহাম্মদ এ আরাফাত, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ্র, মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শবনম পারভীন শিলা, যুব মহিলা লীগের সভাপতি ডেইজী সরোয়ার, সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণের নেতাদের মধ্যে নুরুল আমিন রুহুল এমপি, ডা. দিলীপ রায়, হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, আবদুস সাত্তার মাসুদ, মিরাজ হোসেন, আক্তার হোসেন, হাবিব হাসান এমপি, মিজানুর রহমান মিজান, খসরু চৌধুরী প্রমুখ।

পারভেজ/এনএইচ

সম্পর্কিত বিষয়:

ঘটনাপ্রবাহ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়