রওশনের স্বাভাবিক জ্ঞান নেই, কিছু লোক বিভ্রান্ত করছে: চুন্নু

এককভাবে ৩০০ আসনে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত জানিয়ে জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, তিনি (রওশন) আমাদের পৃষ্ঠপোষক। কিন্তু দলীয় কোনও সিদ্ধান্তে তার এখতিয়ার নেই। উনি অসুস্থ, উনার স্বাভাবিক জ্ঞানটা নেই। উনাকে কিছু লোক বিভ্রান্ত করছে। ওনার দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে কেউ কেউ ব্যক্তি স্বার্থে ওনাকে ব্যবহার করছেন।

রোববার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর বনানী অফিসের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

ইসিতে রওশন এরশাদের চিঠি দেওয়ার বিষয়ে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, উনি (রওশন) ইসিতে মহাজোটের হয়ে নির্বাচনের জন্য চিঠি দিয়েছেন। এ বিষয়ে আমি ওনাকে ফোন দিয়েছিলাম। তাকে জিজ্ঞেস করেছি কেন দিয়েছেন। উনি বলেছেন, এটা আমি এমনি দিয়ে দিয়েছি। একটা পত্রিকায় লেখা দেখলাম, রওশন ম্যাডাম চিঠিতে সই করেননি। প্রকৃতপক্ষে উনার অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে কিছু লোক ব্যক্তি স্বার্থে এসব কাজ করাচ্ছেন।

তিনি বলেন, আমরা জনগণের দাবি প্রাধান্য দিচ্ছি। সঠিকভাবে যদি ভোট হয় আমরা এককভাবে ৩০০ আসনে প্রার্থী দিতে চাই। আমরা জোট, মহাজোট ইত্যাদি করতে চাই না। সঠিকভাবে ভোট হলে আমরা যদি একটি আসনও না পাই, কোনও আপত্তি নেই। যে দল আসন বেশি পেয়ে সরকার গঠন করবে, আমরা তাদের সহযোগিতা করবো।

তফসিল ঘোষণা ইসির রুটিন কাজ জানিয়ে চুন্নু বলেন, এটার সঙ্গে আমাদের নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়ার সম্পর্ক নেই। নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়ার বিষয়টা নির্ভর করে পরিবেশের ওপর।

‘এখন আমরা দ্বিধায় আছি। নির্বাচনে যাবো কি না, যাওয়া ঠিক হবে কি না, জনগণের কী অবস্থা। এ সংশয় থেকে বের হতে পারিনি। যার কারণে নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে সময় লাগছে’- যোগ করেন দলটির মহাসচিব।

বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে মানুষ জিম্মি অবস্থায় আছে জানিয়ে চুন্নু বলেন, এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে মানুষ চেষ্টা করছে। সব দল নির্বাচন করতে পারলে এ সমস্যা হতো না। আমরা সরকারকে বার বার বলেছি একটা পরিবেশ তৈরি করুন, আলোচনায় সবাই আসুক। কিন্তু সরকার আহ্বান করলো না, যারা আন্দোলন করছে তারাও ছাড় দিয়ে কথা বললো না।

‘আমরা সরকার পদত্যাগ করে চলে যাক, এটা চাই না। আবার সরকারকে বাধ্য করবো, এটাও চাই না। আমরা মাঝামাঝি পথে চাই, যে সংবিধানের আলোকে একটা পথ বের করা হোক যাতে সবাই নির্বাচনে আসে। ভোটাররা ভোট দিতে পারবে এ আস্থা আমাদের নেই। আস্থা পেলেই আমরা ভোটে যাবো’- বলেন মুজিবুল হক চুন্নু।