ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

আসছে বিএনপির নতুন কর্মসূচি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৩৩, ১৮ জানুয়ারি ২০২৪  
আসছে বিএনপির নতুন কর্মসূচি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হবে ৩০ জানুয়ারি। অধিবেশনের প্রথম দিন কর্মসূচি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। ওই দিন হরতাল-অবরোধ বা সংসদ ভবন ঘেরাওয়ের মতো কর্মসূচি দেওয়া হতে পারে বিএনপির পক্ষ থেকে। এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মাঠের কর্মসূচিতে ফিরতে চায় দলটি।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এসব বিষয়ে আলোচনা হয় বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী। দিনটি পালনে আজ বৃহস্পতিবার ও আগামীকাল শুক্রবার দুই  দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি। দলের নেতারা মনে করছেন, জন্মদিনের কর্মসূচির মাধ্যমে বর্তমান বিপর্যস্ত রাজনৈতিক অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর পথ খুঁজে পাবে বিএনপি।

স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে নেতারা বলেন, জিয়াউর রহমানের জন্মদিনের কর্মসূচিই হতে পারে স্বাভাবিক রাজনৈতিক কার্যক্রম শুরুর প্রথম ধাপ। এর মাধ্যমে সারা দেশে নেতাকর্মীরা আত্মগোপন অবস্থা থেকে বের হয়ে স্বাভাবিক কার্যক্রম করার সুযোগ পাবেন। ফলে দলের প্রতিষ্ঠাতার জন্মদিনের কর্মসূচি ভালোভাবে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।

গত ৭ জানুয়ারি একতরফা ও পাতানো নির্বাচনে করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে বলে অভিযোগ করে আসছে বিএনপি। আগের সংসদের মতো এই সংসদকেও বিএনপি অবৈধ বলছে। এর বিরুদ্ধে বিএনপি ও যুগপতের মিত্ররা এক বছরের বেশি সময় ধরে আন্দোলন করে আসছে। তাদের আন্দোলনের মধ্যেও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। এমন প্রেক্ষাপটে স্থায়ী কমিটির এই ভার্চুয়াল বৈঠক হয়।

বৈঠক সূত্র জানায়, বিএনপি এখন ধীরে ধীরে নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মাঠের আন্দোলনে ফিরতে চায়। এ বিষয়ে স্থায়ী কমিটির নেতারা তাদের মতামত তুলে ধরেন। কেউ কেউ ঢাকায় দ্রুততম সময়ে সমাবেশ করার পরামর্শও দেন। তাদের মতে, সমাবেশের মাধ্যমে নেতাকর্মীদের আবার একত্র হওয়ার সুযোগ তৈরি হবে। তবে অন্য নেতাদের মতে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ নেতাকর্মীরা এখনো সবাই জামিন পাননি। এ অবস্থায় সমাবেশ দিলে সেটি ঘিরে ফের গ্রেপ্তার অভিযান শুরু হতে পারে। এজন্য নেতাকর্মীদের জামিন হওয়া পর্যন্ত বড় ধরনের সমাবেশে না যাওয়ার পক্ষে মত দেন তারা।

বৈঠক সূত্র জানায়, আন্দোলনের অংশ হিসেবে দ্রুত সরকারবিরোধী কর্মসূচিতে যাবে বিএনপি। যদিও জোরালো কর্মসূচি দেওয়ার সম্ভাবনা কম। মাঝে মাঝে ইস্যুভিত্তিক হরতাল দেওয়া হলেও ধারাবাহিক বড় কর্মসূচি দেবে না দলটি। বরং এখন জনসম্পৃক্ত কর্মসূচির ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে। এর অংশ হিসেবে রমজান মাস সামনে রেখে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে কিছু কর্মসূচি থাকতে পারে। কর্মসূচিসহ পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে ইতোমধ্যে যুগপৎ আন্দোলনে যুক্ত শরিক দলগুলোর সঙ্গে একদফা আলোচনা করেছে বিএনপি। সবশেষ গত শনিবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে দলটির হাইকমান্ডের বৈঠক হয়। আজ ও কালকের মধ্যে আবার শরিক দলগুলোর সঙ্গে বিএনপি আলোচনা করতে পারে বলেও একাধিক সূত্রে জানা গেছে।

/মেয়া/এসবি/

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়