‘দেশ পরিচালনায় সরকারের নৈতিক বৈধতা নেই’
![‘দেশ পরিচালনায় সরকারের নৈতিক বৈধতা নেই’ ‘দেশ পরিচালনায় সরকারের নৈতিক বৈধতা নেই’](https://cdn.risingbd.com/media/imgAll/2024January/saiful-2401261336.jpg)
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক (ফাইল ফটো)
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, গত তিনটি জাতীয় নির্বাচনি তামাশার মধ্যে দিয়ে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দেশকে ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ের মধ্যে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। ভোটের নিয়মতান্ত্রিক পথে সরকার পরিবর্তনের পথ বন্ধ করে দেশকে অনিবার্য বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। কর্তৃত্ববাদী শাসনকে নিরঙ্কুশ করতে গিয়ে সরকার ও সরকারি দল সব সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ভঙ্গুর ও অনুগত প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সংহতি মিলনায়তনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির দুই দিনব্যাপী সভার প্রথম দিনে তিনি এসব কথা বলেন।
সাইফুল হক বলেন, বাস্তবে এক লুটেরা মাফিয়াতন্ত্র দেশকে আজ দখল করে ফেলেছে। ভোটের নামে দেশের জনগণকে গত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে ধারাবাহিকভাবে যে অপমান করা হয়েছে, সমকালীন বিশ্বে এরকম উদাহরণ পাওয়া দুষ্কর।
তিনি বলেন, নজিরবিহীনভাবে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনি তামাশা প্রত্যাখ্যান ও বর্জন করে দেশের মানুষ সরকার ও সরকারি দলের বিরুদ্ধে গণঅনাস্থা জানিয়েছে। এটা বিরোধী দলসমূহের রাজনৈতিক বিজয়।
‘৭ জানুয়ারির গণঅনাস্থার পর বাস্তবে সরকার গঠন ও দেশ পরিচালনায় সরকারি দলের আর কোনো রাজনৈতিক ও নৈতিক বৈধতা নেই। জনম্যান্ডেটহীন এই সরকারকে প্রলম্বিত করারও কোনো অবকাশ নেই। এখন এই গণঅনাস্থাকে রাজপথে গণসংগ্রাম আকারে বিস্তার ঘটানোই বিরোধী দলসমূহের প্রধান রাজনৈতিক কর্তব্য।’
বিগত আন্দোলনের অভিজ্ঞতা নিয়ে দ্রুত আন্দোলন পুনর্গঠনে এগিয়ে আসতে সকল বিরোধী দল ও জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন—বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আবু হাসান টিপু, আনছার আলী দুলাল, মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, শহীদুল আলম নান্নু, রাশিদা বেগম, এপোলো জামালী, সজীব সরকার রতন, নির্মল বড়ুয়া মিলন, মীর রেজাউল আলম, কেন্দ্রীয় সংগঠক আইয়ুব আলী, নীলুফার ইয়াসমিন, আবুল কালাম আজাদ, সাবিনা ইয়াসমিন, কবি জামাল সিকদার প্রমুখ।
সভায় গৃহীত এক প্রস্তাবে যশোরের শার্শা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বিজিবি সদস্য রইশুদ্দিনের নিহত হওয়ার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানানো হয়েছে। প্রস্তাবে এ ঘটনায় বাংলাদেশ সরকার ও বিজিবির পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় প্রতিবাদ না করায় বিস্ময় প্রকাশ করা হয় এবং বলা হয়, অনুগত পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা ও জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা যাবে না।
সভার শুরুতে দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের শহিদ ও ইজরায়েলি আগ্রাসনে গণহত্যার শিকার ফিলিস্তিনিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
নঈমুদ্দীন/রফিক
আরো পড়ুন