ঢাকা     শুক্রবার   ২০ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ৫ ১৪৩১

‘ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে একুশের চেতনাকে ভুলুন্ঠিত করা হয়েছে’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৩৮, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  
‘ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে একুশের চেতনাকে ভুলুন্ঠিত করা হয়েছে’

বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেছেন, একুশের মর্মবাণী হচ্ছে মাথা নত না করা। অধিকার ও দেশের মালিকানা নিজেদের রাখা। অথচ ক্ষমতাসীন সরকার মানুষের বাক স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, ভোটাধিকারহরণসহ নানাভাবে অধিকারহীন করে একুশের স্বপ্নকে ভুলুন্ঠিত করেছে। জাতির এই দুঃসময়ে হারানো গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনার সংগ্রামে প্রেরণা জোগাবে ভাষা আন্দোলনে একুশের শহিদদের আত্মদান।

বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের পক্ষে  পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব বলেন।

ডা. জাহিদ বলেন, একুশের অম্লান চেতনা জনগণের মৌলিক অধিকার হরণকারী নিষ্ঠুর স্বৈরাচারী শক্তিকে রুখতে উদ্বুদ্ধ করবে। অধিকার আদায় এবং অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে ভাষা শহিদরা আমাদের প্রেরণার উৎস। মহান ২১ ফেব্রুয়ারি আমাদের জাতিসত্তার বিকাশে এবং একটি স্বাধীন জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠার প্রথম সোপান হিসেবে কাজ করেছে। ২১ ফেব্রুয়ারি শুধু মাতৃভাষা প্রতিষ্ঠার দিনই নয়, আমাদের স্বাধিকার, স্বাধীনতা ও মুক্তির প্রথম সংগ্রামের দিন। মাতৃভাষার জন্য জীবন উৎসর্গ করে তারা আত্মত্যাগের যে গৌরবদীপ্ত দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন, পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে তা আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে।

আরো পড়ুন:

কাদের গনি চৌধুরী বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের মানবাধিকারের চিরন্তন ধারক ও বাহক। একুশ আমাদের মুক্তির চেতনা। এ চেতনা আজ বাংলাদেশের সর্বত্র অনুসৃত হচ্ছে না। মানুষের মৌলিক ও গনতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়ে বর্তমান সরকার একুশের চেতনার রঙকে বর্ণহীন ও ফিকে করে দিয়েছে। জাতির মধ্যে তৈরি করছে বিভেদের দেয়াল, যা মহান একুশ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সম্পূর্ণ পরিপন্থী। তাই এই সোনার বাংলার ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সচেতন করে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য একুশের চেতনাকে সর্বদা জাগিয়ে রাখতে হবে। কোনোভাবেই তা ম্লান হতে দেওয়া যাবে না।

ভাষা শহিদদের ত্যাগের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, তাদের আত্মত্যাগের ধারাবাহিকতায় গণতান্ত্রিক ও স্বাধিকার আন্দোলনের পথ বেয়ে আমরা অবতীর্ণ হয়েছি স্বাধীনতা যুদ্ধে। প্রতিষ্ঠা করেছি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। সেই চেতনা নস্যাৎ করে একদলীয় শাসনের জগদ্দল পাথর আজ জনগণের কাঁধের ওপর চাপানো হয়েছে। কখনো ভোটারবিহীন নির্বাচন, কখনো মধ্যরাতের নির্বাচন, আবার কখনো ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে জনগণকে প্রতারিত করা হয়েছে। গণতন্ত্রকে সমাহিত করে এই দুঃশাসন দীর্ঘায়িত করতে অবৈধ শক্তির জোরে সাজানো মিথ্যা মামলায় আজ দেশের সবচেয়ে জননন্দিত নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ বিরোধীমতের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে অন্যায়ভাবে বন্দি করে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করা হয়েছে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. লুৎফর রহমান, ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, ডা. মেহেদী হাসান, ইঞ্জিনিয়ার মোসলেম উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার সাখাওয়াত হোসেন, ডা. একরামুল রেজা টিপু, ডা. শামসুল আলম, ডা. হুমায়ূন কবির, ডা. আল আমিন, ডা. হুমায়ুন কবির, অধ্যক্ষ সেলিম মিয়া, ইঞ্জিনিয়ার মাহমুদুল হাসান, ইঞ্জিনিয়ার নাজিম উদ্দীন, ইঞ্জিনিয়ার সুলতান হোসেন শিশির, বিপ্লবুজ্জামান বিপ্লব, হাফিজুর রহমান প্রমুখ।

/মেয়া/এসবি/

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়