মানহানির অভিযোগ, জিএম কাদেরকে টেপার লিগ্যাল নোটিশ
জিএম কাদের ও সাহিদুর রহমান টেপা
জাতীয় পার্টির চেয়রম্যানের পদ থেকে আগেই বহিস্কৃত জিএম কাদের দল থেকে কাউকে অব্যাহতির এখতিয়ার রাখেন না দাবি করে ৫০ কোটি টাকার মানহানির অভিযোগ এনে জাপা একাংশের চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা।
বৃহস্পতিবার টেপার পক্ষে তার আইনজীবী গাজী রবিউল ইসলাম সাগর এই নোটিশ পাঠান।
গতকাল বিকেলে নোটিশ জিএম কাদেরের বনানীস্থ চেয়ারম্যান কার্যালয় ও জাতীয় পার্টির কাকরাইল কার্যালয়ে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলে জানান সাহিদুর রহমান টেপা।
তিনি বলেন, জিএম কাদের ও মুজিবুল হক চুন্নু দল থেকে বহিষ্কৃত। নতুন কাউন্সিলে কাউন্সিলরদের সর্বসম্মতিতে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্ত্রী বেগম রওশন এরশাদকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়। আমি দলের কো-চেয়ারম্যান। সেটা জানার পরও জিএম কাদের দল থেকে আমাকে অব্যাহতি দিতে পারেন না। কারণ তিনি তো দলের চেয়ারম্যানই নন। তিনি আমাকে অব্যাহতির কথা বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রচার করে জনস্মুখে আমার মানহানী করেছেন। তিনি দ্রুত ক্ষমা চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার না করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবো।
এর আগে জাপা (কাদের) দলটির যুগ্ম-দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের দলীয় গঠনতন্ত্রে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা এম এ কুদ্দুস খান, যুগ্ম-মহাসচিব রাহগীর আল মাহি সাদ এরশাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদা রহমান মুন্নি, প্রাদেশিক বিষয়ক সম্পাদক খোরশেদ আলম খুশু, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এস এম আল জুবায়ের, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন দে, শারফুদ্দিন আহমেদ শিপু, শারমিন পারভীন লিজা, যুগ্ম প্রচার সম্পাদক শেখ মাসুক রহমান ও যুগ্ম-মহিলাবিষয়ক সম্পাদক শাহনাজ পারভীনকে দলীয় সব পদ-পদবি থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, দলটির পদ পদবি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আগেই জিএম কাদেরের নেতৃত্ব পরিহার করে জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও সাবেক বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ এর নেতৃত্বে পৃথক জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়েছেন এসব নেতা। কাউন্সিলে সাদ এরশাদ, সাহিদুর রহমান টেপা কো-চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। বাকি নেতারা বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
/নঈমুদ্দীন/এসবি/
আরো পড়ুন
