ঢাকা     শনিবার   ০৬ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২২ ১৪৩১

সরকারি লোকদের লুটপাটের খবর বের হচ্ছে: রিজভী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:১৯, ১৬ মে ২০২৪  
সরকারি লোকদের লুটপাটের খবর বের হচ্ছে: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, বর্তমান ডামি সরকার দেশটিকে একটি লুটপাটের দেশ বানাতে চাচ্ছে। দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি পাচার করেছে আওয়ামী লীগের নেতা ও তাদের ঘনিষ্টজনরা। দুবাইয়ে অত্যন্ত দামি ৩৯৯টি বাড়ির খবর পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাজধানীর শান্তিনগর এলাকায় চলমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে লিফলেট বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, সরকারি লোকজনের ৬৪৩টি সম্পদের খবর গণমাধ্যমে ছাপা হয়েছে। এ সম্পদের মালিক তারা-যারা ব্যাংক লুটপাট করেছে, দেশের সম্পদ লুট করেছে, ফ্লাইওভার, পদ্মা সেতুর নামে টাকা লুট করেছে। এই টাকা দিয়েই যে তারা দুবাইয়ে বাড়ি বানাচ্ছে, সেই সংবাদ এখন আর লুকানো যাচ্ছে না। সরকারের লোকদের লুটপাটের খবর একের পর এক বের হতে শুরু করেছে।

চারদিক দিক সরকার ব্যর্থ হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়ে এখন গোটা জাতিকে ফতুর করার জন্য একর পর এক আর্থিক খাত, সামাজিক খাত লুট করছে। প্রত্যেকটি খাতে এখন প্রচণ্ড নৈরাজ্য বিরাজ করছে। একের পর এক ব্যাংক লুট হয়ে ব্যাংকগুলো ধ্বসে গেছে। মন্ত্রীদের নামে এমপিদের নামে ব্যাংক দিলেন। তারাইতো সব লুট করে ফেলছে। এখন সরকার ভালো ভালো ব্যাংকের সাথে সেগুলোকে মিশিয়ে দিতে চাচ্ছে।

তিনি বলেন, এভাবে তারা জনগণের টাকা, সম্পদ লুট করে বিদেশে পাচার করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক যারা লুটপাট করেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের ভিতরে কী হচ্ছে, সেটি মানুষকে জানতে দিচ্ছে না। সেখানে বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে- যাতে সাংবাদিকরা সেখানে প্রবেশ করতে না পারে। গত পরশু দিন বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি বিশাল অংকের টাকা কোড হ্যাক করে লুট করা হয়েছে বলে খবর বেরিয়েছে। এর কোনো ব্যাখ্যা বা উত্তর নেই তাদের কাছে। কারণ নিজেদের মানুষদেরকে অর্থ লুটের সুযোগ করে দিতে এ ব্যবস্থা করেছে সরকার।

বর্তমানে বাংলাদেশে টাকা নেই উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আমদানি করার জন্য প্রয়োজনীয় যে রিজার্ভ, যেটি দিয়ে ব্যবসা করা যায়, যেটি দিয়ে উন্নয়ন হবে- সে টাকা আজ শুন্যের দিকে। এর কী জবাব দেবে সরকার? এর জবাব তারা দিতে পারবেন না। কারণ সরকারের লোকেরাই এটি করেছে। দেশের মানুষ এতটাই অভাবে আছে যে, কোনো রকমে কয়েকটি শাকসবজি নিয়ে বাড়িতে যায়, তারা মাছ-মাংস-ডিম কিনতে পারে না। এক মন ধান বিক্রি করে এক কেজি মাংস কেনা যায়। এ হলো দেশের অবস্থা।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ডামি ভোটে নির্বাচিত দখলদার সরকারের জনগণের কোনো ম্যান্ডেট নেই। জনগণের ভোটের কোন দরকার হয় না তাদের। শেখ হাসিনা যাকে পছন্দ করবেন, তিনিই হবেন উপজেলা চেয়ারম্যান। এখানে নির্বাচনের নামে শুধু প্রহসন বা আনুষ্ঠানিকতা চলছে মাত্র। সুতরাং এ নির্বাচন বর্জন করুন। আপনারা যারা ঢাকায় আছেন আপনাদের আত্মীয় স্বজনদের এ নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি ডা. জাহিদুল কবির, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সাদরেজ জামান, বিএনপি নেতা জাকির হোসেন, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি তারেক উজ জামান তারেক, এজমল হোসেন পাইলট, হুমায়ুন কবির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান আউয়াল, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সাদেক আহসান, ঢাবি ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রাজু আহমেদ প্রমুখ।

/এমএ/এসবি/

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়