ঢাকা     মঙ্গলবার   ০২ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৮ ১৪৩১

‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাবে, উন্নয়ন থেমে থাকবে না’

কূটনৈতিক প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:০০, ৪ জুন ২০২৪   আপডেট: ১৫:২৪, ৪ জুন ২০২৪
‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাবে, উন্নয়ন থেমে থাকবে না’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যত ধরনের অপরাজনীতি হোক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাবে, উন্নয়ন অগ্রগতি থেমে থাকবে না। সকল ষড়যন্ত্র আমরা মোকাবিলা করেছি, ভবিষ্যতেও সব ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়া হবে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, দেশ এগিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের ভিত রচনা করে গেছেন বঙ্গবন্ধু। একটি বিধ্বস্ত দেশকে পরিচালনার সব উপকরণ ছিল বঙ্গবন্ধুর পরিকল্পনায়। তার যোগ্য কন্যা শক্ত হাতে দেশকে উন্নয়নের চূড়ান্ত শিখরে নিয়ে যাচ্ছেন।

মঙ্গলবার (৪ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু-বাংলাদেশ-উন্নয়নে জননেত্রী শেখ হাসিনা’ বিয়ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশ যখন উন্নয়ন, সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল, তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। আমরা যে সমুদ্রসীমা  অর্জন করেছি, এর পেছনেও বঙ্গবন্ধুর বিরাট ভূমিকা ছিল। তিনিই এই কমিটির সঙ্গে বাংলাদেশকে যুক্ত করেছিলেন। ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধুর করা চুক্তির বলেই ছিটমহলগুলো আমাদের অধিকারে আনা সম্ভব হয়েছে। আমরা এখন মহাশুন্যে স্যাটেলাইট স্থাপন করেছি, তার ভীতও বঙ্গবন্ধু রচনা করে গেছেন।

হাছান মাহমুদ আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর সময়ে দেশের প্রবৃদ্ধির হার ছিল ২২ শতাংশের বেশি। যা আমরা এখনো আর অর্জন করতে পারিনি। বঙ্গবন্ধুর সময়ে ১০ হাজার মেট্রিক টন অতিরিক্ত খাদ্যশস্য উৎপাদন হয়েছিল। কিন্তু বিপুল জনসংখ্যার এই দেশকে তিনি খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ ঘোষণা দেননি। একটি স্বাধীন দেশ পরিচালনার জন্য যেসব ভীত প্রয়োজন বঙ্গবন্ধু তার সবই চূড়ান্ত করে গেছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের সরকার জিরো টলারেন্স। আমাদের দুদক স্বাভাবিকভাবে কাজ করে, আমাদের বিচার ব্যবস্থাও স্বাধীনভাবে কাজ করে। সম্প্রতি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোলান্ড ট্রাম্প তাদের দেশের বিচার ব্যবস্থার ওপর চূড়ান্ত অনাস্থা এনে বক্তব্য রাখেন, আমি তখন নিউইয়র্কে ছিলাম। সেই বক্তব্য আমি শুনেছি। তার সেই বক্তব্য কতটা সঠিক হয়েছে, সেই সম্পর্কে মন্তব্য করছি না, তবে আমাদের দেশের চিত্র ভিন্ন। বর্তমান সরকার এবং বিচার বিভাগ স্বচ্ছতা নিয়ে কাজ করে। বিচার বিভাগ কিংবা অন্যান্য সরকারি সংস্থাগুলোর ওপর সরকারের কোনো প্রভাব নেই। দুদকসহ প্রতিটি সংস্থাই স্বাধীনভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমি সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছিলাম, তখন দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিব মন্তব্য করেছেন, এশিয়া মহাদেশে বাংলাদেশ অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করছে, এটি চলমান রয়েছে।

হাছান মাহমুদ বলেন, কিন্তু দেশের কিছুসংখ্যক নামধারী বুদ্ধিজীবী ও বিএনপি-জামায়াত উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। দেশের যেকোনো উন্নয়নের পথে তারা বাধার সৃষ্টি করে। পদ্মা সেতু এবং এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে যখন নির্মাণ করা হচ্ছিল, তখন তারা এর খরচ নিয়ে অপপ্রচার চালায়। দেশে কোনো উন্নতি হলেই, তারা শুধু এর মধ্যে কিন্তু খুঁজে। উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করার অপপ্রয়াস চালায়।

এ সময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের একটি বক্তব্য সমালোচনা করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দুর্নীতি ও দুঃশাসনের বরপুত্র হলো তারেক রহমান। তারেক রহমান ও কোকোর বিদেশে পাচার করা অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এমনকি বেগম জিয়াও দুর্নীতিগ্রস্ত। শেখ হাসিনার মহানুভবতায় তিনি জেলের পরিবর্তে বাসায় থাকতে পারছেন। ক্ষমতায় থাকাকালে হওয়া ভবন প্রতিষ্ঠা করে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিল বিএনপি। আর এই দুর্নীতিগ্রস্ত তারেক রহমান ও বিএনপির মুখপাত্র হলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। চোরের মায়ের বড় গলা, একটা কথা আছে, সেটা মির্জা ফখরুল ইসলামের বেলায় প্রযোজ্য।

বিএনপির দুঃশাসনের চিত্র তুলে ধরে হাছান মাহমুদ বলেন, আপনারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। চারবার এককভাবে চ্যাম্পিয়ন, একবার যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আপনাদের দলের ভাইস চেয়ারম্যানের দুর্নীতির আখড়া বানিয়েছিলেন দেশকে। হাওয়া ভবন, খোয়াব ভবন কতকিছু বানিয়েছিলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, অতীতেও দেশে এ ধরনের অপরাধনীতি ও অপতৎপরতা হয়েছে। সবকিছু শক্ত হাতে প্রতিহত করা হয়েছে। এখন দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাবে, উন্নয়ন অগ্রগতি থেমে থাকবে না।

/হাসান/সাইফ/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়