সব ব্যাংক এখন খালি: রিজভী

বাংলাদেশ ব্যাংক, সোনালী ব্যাংকসহ সব ব্যাংক এখন খালি বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।

তিনি বলেন, ব্যাংকে গিয়ে দেখবেন, শুধু চেয়ার টেবিল পড়ে আছে। বর্তমান সরকারের লোকজন দেশের সব আর্থিক প্রতিষ্ঠান শেষ করে দিয়েছে।

প্রতারণার শিকার হয়ে মালয়েশিয়াগামী শ্রমিক সোহেল তানভীরের আত্মহত্যার ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে সোমবার (১০ জুন) বেলা ১১টায় মতিঝিল সোনালী ব্যাংকের সামনে শ্রমিক দলের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। 

রিজভী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এখন দম বন্ধ করা পরিস্থিতির মধ্যে বসবাস করছে। একদিকে গুম-খুন-ক্রসফায়ার, অন্যদিকে ক্ষুধা। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া সরকারের মধ্যে চুক্তি হয়েছে, যারা মালয়েশিয়া যাবেন তাদের প্রত্যেকের খরচ লাগবে ৭৮ হাজার ৫০০ টাকা। অথচ দুষ্ট চক্র ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা করে নিয়েছে। একদিকে ছাড়পত্র হয়েছে, পাসপোর্ট হয়েছে, সকল প্রস্ততি শেষ হওয়ার পরও হাজার হাজার শ্রমিক মালয়েশিয়া যেতে পারেনি।

রিজভী বলেন, বাংলাদেশের এই যে চক্র তারা কারা? তারা সরকারের ঘনিষ্ঠ লোক। তারা দেশের ক্ষমতাশালী ব্যক্তি, তারাই এই চক্রের সঙ্গে জড়িত। জায়গা, জমি, গয়না, সহায় সম্বল বিক্রি করে যে ছেলেটি মালয়েশিয়া যেতে পারেনি সে ভৈরব ব্রিজ থেকে মেঘনা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। কারণ বাড়িতে গিয়ে তার তো কিছু করার ছিল না। জায়গা জমি বিক্রি করে নিঃস্ব হয়ে সে আত্মাহুতি দিয়েছে। এটিই হলো সরকারের উপহার। ১৬ বছর ধরে এভাবে তারা দেশের পুরো জনগণকে প্রতারিত করছে। এভাবে আমাদের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো শেষ করে দিয়েছে সরকার।

শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে ও  প্রচার সম্পাদক মনজুরুল ইসলাম মঞ্জুর পরিচালনায় এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভুইঁয়া, ব্যাংকিং বিষয়ক সম্পাদক লায়ন হারুনুর রশিদ, মালয়েশিয়া বিএনপির সভাপতি মোশাররফ হোসেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য একরামুজ্জামান বিপ্লব, শেখ শামীম, ড. মারুফ হোসেন, শ্রমিক দল নেতা সুমন, সবুজ, ফিরোজ আলম পাটোয়ারী। যুবদল নেতা মাসুম শান্ত, ছাত্রদল নেতা ডাক্তার তৌহিদুর রহমান আউয়াল, মাসুদুর রহমান, রাজু আহমেদসহ শ্রমিক দলের নেতাকর্মীরা।