পুলিশ কর্মকর্তা মাশরুফের শাস্তি দাবি
রাজধানীতে ইসলামী যুব আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল
পুলিশ কর্মকর্তা তাহসিন মাসরুফ হোসেন মাসফির শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহবিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম। তিনি বলেছেন, বনখেকো মোশাররফের ছেলে পুলিশ কর্মকর্তা মাশরুফ মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নিয়ে কটূক্তি করে মুসলমানদের হৃদয়কে রক্তাক্ত করেছে। নিজেকে মুসলিম দাবি করে ইসলামের নবীকে নিয়ে তার ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্যের কারণে তাকে চাকরি থেকে বহিষ্কার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
শুক্রবার (১২ জুলাই) বাদ জুমা বাইতুল মোকাররমের উত্তর গেটে ইসলামী যুব আন্দোলনের ঢাকা মহানগর শাখা আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি জানান।
ইসলামী যুব আন্দোলনের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আল আমীন সোহাগের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল মুফতি মানসুর আহমদ সাকী। আরও বক্তব্য রাখেন— সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা ইলিয়াস হাসান, এম এ হাসিব গোলদার, এইচ এম আবু বকর সিদ্দীক, শফিকুল ইসলাম, মুফতি হোসাইন মুহাম্মাদ কাওছার বাঙ্গালী, মুফতি হাফিজুল হক ফাইয়াজ প্রমুখ।
এর আগে ইসলামী যুব আন্দোলনের নেতাকর্মীরা বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। পল্টন মোড় হয়ে পুনরায় বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট সংলগ্ন ফটো জার্নালিস্ট প্রাঙ্গণে এসে মিছিল শেষ হয়।
বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও দলটির নেতাকর্মীরা মিছিলে অংশ নিয়ে সরকারের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে স্লোগান দেন।
সমাবেশে মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম বলেছেন, সরকার এখন ভারসাম্যহীন আচরণ করছে। ভারতের সাথে দেশের স্বার্থবিরোধী রেল ট্রানজিট দিয়ে আবারো তারা জনগণের মতের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। যে ভারত প্রতিনিয়ত সীমান্তে বাংলাদেশের বেসামরিক লোককে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করে, তাদের স্বার্থ রক্ষা করে সরকার নতজানু পররাষ্ট্রনীতির প্রমাণ দিয়েছে। এই চুক্তি অবিলম্বে বাতিল করে ভারতের সাথে অন্যান্য অমীমাংসিত চুক্তিগুলোর সুরাহা করতে হবে।
মুফতি মানসুর আহমদ সাকী বলেন, দেশ আজ ভালো নেই। রাজধানীসহ সকল শহরে বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সাথে সাথে কোটা প্রথা ফের চালু করে দেশের মেধা ধ্বংসের পাঁয়তারা শুরু করেছে সরকার। কোটা প্রথার যৌক্তিক সংস্কার করে সকল কোটা সর্বোচ্চ ৫ থেকে ১০ শতাংশের মধ্যে আনতে হবে। আমরা কোটাবিরোধী আন্দোলনে সমর্থন প্রকাশ করছি।
নঈমুদ্দীন/রফিক