ঢাকা     শনিবার   ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ৬ ১৪৩১

‘একাত্তরের পরাজিত শক্তির ষড়যন্ত্রে বিভ্রান্ত হচ্ছে কিছু শিক্ষার্থী’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:১১, ১৬ জুলাই ২০২৪   আপডেট: ২০:১১, ১৬ জুলাই ২০২৪
‘একাত্তরের পরাজিত শক্তির ষড়যন্ত্রে বিভ্রান্ত হচ্ছে কিছু শিক্ষার্থী’

একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও তাদের উত্তরসূরিদের ষড়যন্ত্রে বিভ্রান্ত হয়ে পথভ্রষ্ট কতিপয় শিক্ষার্থীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পবিত্র অঙ্গনে রাজাকারের স্লোগান ধৃষ্টতাপূর্ণ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও লাল-সবুজের পতাকাকে অস্বীকার করার শামিল।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।

তারা বলেন, ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন ও মুক্তি সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান অনবদ্য। স্বাধীন বাংলাদেশেও যে কোনও জাতীয় প্রয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই জাতির কণ্ঠস্বর হিসেবে গণ্য হয়।

‘কিন্তু আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি, দীর্ঘ তেইশ বছরের মুক্তি সংগ্রাম শেষে মহান মুক্তিযুদ্ধের বিনিময়ে স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা অগ্রগণ্য সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বুকে ‘‘তুমি কে, আমি কে; রাজাকার রাজাকার’’র মত ঘৃণ্য স্লোগান দিয়ে ত্রিশ লাখ শহিদের রক্ত ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের প্রতি চরম অবমাননা দেখানো হয়েছে, যা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি সাবেক শিক্ষার্থীর হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটাচ্ছে।’

তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যখন বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে, উন্নত রাষ্ট্রের পাশাপাশি নাগরিক সুবিধা যখন মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাচ্ছে; ঠিক তখনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পবিত্র অঙ্গনে ধৃষ্টতাপূর্ণ রাজাকার স্লোগান দিচ্ছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ এ ধরনের ধৃষ্টতাপূর্ণ ও রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক উচ্চারণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা মনে করি, এইসব আত্মস্বীকৃত রাজাকারদের এই স্বাধীন দেশে কোন ধরনের অধিকার থাকতে পারে না।

তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী হিসেবে সকল আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানাচ্ছি, স্বাধীনতাবিরোধীদের উত্তরসূরিদের ষড়যন্ত্রে পা না দিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার উপর আস্থা রেখে অতি শিগগির ক্লাস-পরীক্ষায় মনোযোগ দেওয়ার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে সমুন্নত রাখুন।

বিবৃতিতে স্বাক্ষরদানকারী নেতৃবৃন্দ হচ্ছেন- সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী (সাবেক সভাপতি), খলিলুর রহমান মোহন (সাবেক সভাপতি), গোলাম মোস্তফা সুজন(সাবেক সভাপতি), বাহাদুর বেপারী (সাবেক সভাপতি), সাজ্জাদ হোসেন (সাবেক সভাপতি), সাজ্জাদ হোসেন (সাবেক সভাপতি), দেলোয়ার হোসেন (সাবেক সভাপতি), শেখ সোহেল রানা টিপু (সাবেক সভাপতি), মেহেদি হাসান মোল্লা (সাবেক সভাপতি), আবিদ আল হাসান (সাবেক সভাপতি), সনজিত চন্দ্র দাস (সাবেক সভাপতি), আতাউর রহমান ডিউক (সাধারণ সম্পাদক),  অসীম কুমার উকিল (যুগ্ম-আহবায়ক), নুরুল ইসলাম সুজন (যুগ্ম-আহবায়ক), মমতাজ উদ্দিন মেহেদী (সাধারণ সম্পাদক), কামরুজ্জামান আনসারী (সাধারণ সম্পাদক), পংকজ দেবনাথ (সাধারণ সম্পাদক), একেএম আজিম (সাধারণ সম্পাদক), হেমায়েত উদ্দিন খান হিমু (সাধারণ সম্পাদক), সাজ্জাদ সাকীব বাদশা (সাধারণ সম্পাদক), ওমর শরীফ (সাধারণ সম্পাদক), মোতাহার হোসেন প্রিন্স (সাধারণ সম্পাদক)।

পারভেজ/এনএইচ


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়