রিমান্ডের নামে শারীরিক-মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (ফাইল ফটো)
গ্রেপ্তারকৃত বিএনপি নেতাদের রিমান্ডের নামে চোখ ও হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করে স্বীকারোক্তি আদায়ের চেষ্টা চলছে বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার (২৯ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে নিয়ে সরকার দ্বিমুখী নীতি অবলম্বন করছেন বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, একদিকে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে নিরীহ ছাত্রছাত্রী এবং কোটা সংস্কারের নেতাদের নির্যাতন করা হবে না, অপরদিকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার অব্যাহত রাখা হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, সাধারণ মানুষ, প্রতিবন্ধী শিশু ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার এমনকি চাকরিজীবীরা পর্যন্ত এ ধরনের অমানবিক কর্মকাণ্ড থেকে রেহাই পাচ্ছে না।
সব হত্যাকাণ্ডের দায় নিয়ে সরকারের পদত্যাগ করার দাবি জানিয়ে ফখরুল বলেন, নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করতে মানুষকে নির্বিচারে গ্রেপ্তার করছে সরকার। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসিরুদ্দিনসহ সারা দেশে গ্রেপ্তার নেতাদের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, সারা দেশে ৯ হাজারের অধিক নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে যারা প্রকাশ্যে সাধারণ ছাত্রদের বুকে গুলি চালিয়ে হত্যা করলো, তাদের একজনকেও গ্রেপ্তার করা হয়নি জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, গ্রেপ্তার বিএনপির সাবেক এমপি, মন্ত্রীসহ সিনিয়র নেতারা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাদেরকে সন্ত্রাসীদের মতো ৫-৭ দিন করে রিমান্ডে নির্যাতন করে স্বীকারোক্তি আদায়ের চেষ্টা চলছে।
বিএনপি মহাসচিবের দাবি, দেশটাকে আজ ত্রাসের রাজ্যে পরিণত করা হয়েছে। দিন দিন নিরীহ ছাত্রছাত্রীদের হত্যার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বলছে যে গুলি করে মানুষকে হত্যা করা হয় নাই অথচ শিশু আহাদ, সামীর থেকে শুরু করে বয়োজ্যেষ্ঠ পথচারী সবাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছে।
এমএ/ইভা