হেফাজত’র দাবি
সংখ্যালঘুর নিরাপত্তা বিঘ্নকরণে ভারতের ইন্ধন রয়েছে
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা বিঘ্নকরণে ভারতের ইন্ধন রয়েছে বলে দাবি করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। রোববার (১১ আগস্ট) এক বিবৃতিতে সংগঠনটির আমীর আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা সাজেদুর রহমান এ দাবি করেন।
তারা বলেন, বাংলাদেশে সব সময় সংখ্যালঘু নির্যাতনের বেনিফিশিয়ারি হয়েছে ভারত ও স্বৈরাচার হাসিনা। গণ-অভ্যুত্থানের মুখে হাসিনা ভারত পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে ভারতের কিছু মুসলিমবিদ্বেষী মিডিয়া ও রাজনীতিক বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ হচ্ছে, এমন গুজব ছড়িয়ে বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণা শুরু করেছে। সেটার প্রভাব হিসেবে এদেশের সংখ্যালঘুদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার হয়েছে। এসবের নেপথ্যে ভারতের ইন্ধন রয়েছে বলে আমরা মনে করি।
তারা বলেন, পলাতক শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে ভারত আবারও প্রমাণ করেছে, তারা হাসিনার মতো একজন ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারকে দেড় দশক বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ক্ষমতায় টিকে থাকতে সাহায্য করেছিল। ভারতের এমন বিতর্কিত ভূমিকা বাংলাদেশের জনগণকে ক্ষেপিয়ে তোলে এবং ভারত-বয়কটের প্রচারণা বাংলাদেশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
‘সংখ্যালঘুদের জানমাল ও উপাসনালয় রক্ষায় প্রতিটি এলাকায় স্থানীয় ছাত্র-জনতা দ্রুত এগিয়ে আসায় ভারতের চক্রান্ত ব্যর্থ হয়ে গেছে। ভারতের তুলনায় বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা অনেক বেশি সুবিধা ও নিরাপত্তা ভোগ করে। অপরদিকে, ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায় কী পরিমাণে রাষ্ট্রীয় নির্যাতন, বৈষম্য ও পরিকল্পিত দাঙ্গার শিকার হয়, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি বৈষম্যমূলক রাষ্ট্রীয় নীতি ও আচরণ পরিবর্তনে ভারতকে আমরা আহ্বান জানাই। আমাদের দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা আমরা আপামর জনগণই নিশ্চিত করছি। এক্ষেত্রে ভারতের নাক গলানো এবং বাংলাদেশকে অস্থির করে তুলতে ভারতীয় ইন্ধনের আমরা নিন্দা জানাচ্ছি’ যোগ করেন হেফাজতের দুই নেতা।
নঈমুদ্দীন/এনএইচ