গণঅভ্যুত্থানের সুফল ধরে রাখতে হবে: বুলবুল
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেছেন, যুবসমাজ যে কোনো দেশের মূল্যবান সম্পদ। জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতি যুবসমাজের সক্রিয় অংশগ্রহণের ওপর অনেকাংশেই নির্ভরশীল। যুবসমাজের মেধা, সৃজনশীলতা, সাহস ও প্রতিভাকে কেন্দ্র করেই জাতির ভবিষ্যৎ নির্ধারণ হয়। ফলে, যে কোনো পরিস্থিতিতে সাহসিকতা, হিকমত ও বুদ্ধিমত্তার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। গণঅভ্যুত্থানের সুফল দেশবাসীর কাছে পৌঁছে দিতে ছাত্র-জনতার পাশাপাশি যুবসমাজকে রাজপথে বলিষ্ঠ ভূমিকা অব্যাহত রাখতে হবে।
বুধবার (১৪ আগস্ট) ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুব ও সেচ্ছাসেবক বিভাগীয় থানা প্রতিনিধি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারি ও যুব বিভাগের দায়িত্বশীল মুহাম্মদ কামাল হোসাইনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন—কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন। আরও উপস্থিত ছিলেন—কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য ও ঢাকা মহানগর সহকারী সেক্রেটারি দেলওয়ার হোসেন ও ড. আবদুল মান্নান, ঢাকা মহানগর কর্মপরিষদের সদস্য শামসুর রহমান, ড. মোবারক হোসেন, আব্দুস সালাম প্রমুখ।
দেশে চলমান রাজনৈতিক সঙ্কটের কথা উল্লেখ করে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, দেশ ও জাতি এক গভীর ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এমতাবস্থায় দেশ ও জাতির সত্যিকার মুক্তির জন্য যুবকদেরকে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চালাতে হবে। অন্যথায়, আমাদের মুক্তি মিলবে না।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, পৃথিবীর ইতিহাস যুবসমাজের হাত ধরেই নির্মিত হয়েছে। বাংলাদেশের যত বড় বড় অর্জন, সেগুলোও যুবসমাজের পরিশ্রমের ফসল। হাজি শরীয়তুল্লাহ, শহিদ তিতুমিরের মতো প্রাণচঞ্চল যুবকদের হাতেই এসেছে আমাদের বড় বড় অর্জন। তাই, জাতির এই ক্রান্তিকালে ঘরে বসে থাকার কোনো সুযোগ নেই, বরং সত্যের পতাকা উড্ডীন ও আমাদের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য নতুন করে শপথ গ্রহণ করতে হবে।
নঈমুদ্দীন/রফিক