ঢাকা     শুক্রবার   ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ১২ ১৪৩১

আ.লীগ ও জাপা‌কে নি‌ষিদ্ধ কর‌তে হ‌বে

শেখ হাসিনার ‘ফাঁসি দাবি’ গণঅধিকার পরিষদের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:০৩, ১৫ আগস্ট ২০২৪   আপডেট: ২২:০৯, ১৫ আগস্ট ২০২৪
শেখ হাসিনার ‘ফাঁসি দাবি’ গণঅধিকার পরিষদের

গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হি‌সে‌বে সা‌বেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দায়ী করে তার ফাঁসি দা‌বি ক‌রে‌ছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। আ.লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগকে নিষিদ্ধ করাসহ শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের দা‌বি‌তে বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) দলটির অস্থায়ী কার্যালয়ের সাম‌নে গণঅবস্থান কর্মসূচিতে তি‌নি এ দা‌বি জানান।

নুরুল হক নুর বলেন, ছাত্র-জনতার ওপর আ.লীগ যে গণহত্যা চালিয়েছিল, এই গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে, তাকে ফাঁসি দিতে হবে। হামলাকারীদের পরিচয় চিহ্নিত করে সব অপরাধীদের বিচার করতে হবে। ছাত্রলীগ, যুবলীগ ছাত্র-জনতার ওপর নৃশংস যে হত্যা চালিয়েছে, তার জন্য বিশ্বের কাছে এই সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে নিষিদ্ধের দাবি তুলতে হবে।

‘মনে রাখতে হবে আ.লীগের কোনও অপরাধী ছাড় পাবে না। ইতোমধ্যে অনেকেই ধরা পড়েছে, আরও অনেকেই ধরা খাবে; একজনও ছাড় পাবে না। সালমান এফ রহমান ও আনিসুর রহমানকে আটক করেছে এক ব্যবসায়ী হত্যাকাণ্ডের মামলায়। ধানমন্ডির সেই হত্যাকাণ্ডের কোনও প্রমাণ নেই, এতে করে এসব মামলায় সহজে খালাস পেতে পারে। তাই প্রমাণসহ গঠিত হত্যাকাণ্ডগুলোর বিষয়ে মামলা করতে হবে’ যোগ ক‌রেন তি‌নি।

জাপা‌কে নিষিদ্ধ করার দা‌বি

নুরুল হক নুর ব‌লেন, শুধু আ.লীগ‌কে নি‌ষিদ্ধ কর‌লে হ‌বে না, সুবিধাবাদী দল জাতীয় পার্টিকেও নিষিদ্ধ করতে হবে। এই দালাল পার্টি সব সময় জনগণের বিপক্ষে গিয়ে আওয়ামী লীগের কাছ থেকে সুবিধা নিয়েছে। এই জাতীয় পার্টি বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার রাখে না। এই ভাইরাস পার্টি যেন দেশে আগামীতে রাষ্ট্রের কোন আলাপ-আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে না পারে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এই দালালদের কোনও ঠাঁই নেই।

গণঅধিকার প‌রিষ‌দের একাংশের এই সভাপ‌তি ব‌লেন, দেশে ইতোমধ্যে নব্য দখলদারের দেখা মিলেছে। মানুষের বাড়িঘর দখল করছে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল করছে, এক সাইনবোর্ড নামিয়ে আরেক সাইনবোর্ড লাগাচ্ছে। এই দখলদারিত্বের জন্য তো ছাত্র-জনতা জীবন দেয়নি। আমরা স্পষ্ট করে বলি, এসব চাঁদাবাজি চলবে না, এসব কিছু জনগণ মেনে নে‌বে না।

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেন, আ.লীগের অতীতের সমস্ত ইতিহাস বিলীন হয়ে গিয়েছে এই গণহত্যার মাধ্যমে। কেউ অপরাধ করার পর তার অতীত বিবেচনায় এনে মাফ করে দেওয়া যায় না। সুতরাং, ১৫ বছরের গুম খুন ও গণহত্যার দায়ে আ.লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে খুনিদের গ্রেপ্তার করতে হবে। প্রশাসনের যারা আ.লীগকে ক্ষমতায় রেখেছিল, দুর্বৃত্তায়ন করেছে, তাদের চাকরিচ্যুত করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান ও রবিউল হাসানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, জসিম উদ্দিন আকাশ, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, প্রচার সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, আইন সম্পাদক অ্যাড. শওকত, মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান সাধারণ সম্পাদক সুহেল রানা সম্পদ, ছাত্রনেতা নওয়াজ খান বাপ্পি প্রমুখ।

অবস্থান কর্মসূচির শেষে এক বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে দৈনিক বাংলা মোড়, পল্টন মোড়, কাকরাইল মোড় ঘুরে বিজয়নগর পানির ট্যাংকির মোড়ে এসে শেষ হয়।

নঈমুদ্দীন/এনএইচ


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়