ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় জামায়াত-নাগরিক মঞ্চ ঐক্যমত
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

দেশের চলমান পরিস্থিতিতে শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট করার জন্য জনগণের দুশমন ফ্যাসিবাদীরা নানামুখী অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে অভিযোগ করে যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় ছাত্র-জনতার সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে ভূমিকা পালন করতে ঐক্যমত পোষণ করেছে জামায়াতে ইসলামী ও নাগরিক মঞ্চ-এর নেতারা।
রোববার (১৮ আগস্ট) মগবাজারস্থ দলীয় কার্যালয়ে জামায়াতে ইসলামী ও নাগরিক মঞ্চ-এর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান, নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ও মাওলানা আবদুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল এবং নাগরিক মঞ্চের পক্ষ থেকে দেশপ্রেমিক নাগরিক পার্টির চেয়ারম্যান আহসান উল্লাহ শামীম, বাংলাদেশ ইসলামী জনতা পার্টির চেয়ারম্যান শেখ ওসমান গনি বেলাল, বাংলাদেশ ইসলামী জনতা পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন;
বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টির চেয়ারম্যান বজলুর রহমান আমিনী, নাগরিক মঞ্চের উপদেষ্টা মো: নজরুল ইসলাম, সুশীল ফোরামের সভাপতি মো: জাহিদ, সাধারণ সম্পাদক এস.এম. শহিদ উল্যা, দেশরক্ষা আন্দোলন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম সানোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ ইসলামী সমাজতান্ত্রিক দলের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার হাফিজুর রহমান, গ্রীন পার্টির চেয়ারম্যান রাজু আহম্মদ খান, মহাসচিব ডা: মশিউর রহমান, বাংলাদেশ মুসলিম সমাজের চেয়ারম্যান মো: মাসুদ হোসেন, মহাসচিব ডা: মো: মাছুম হোসাইন, দেশপ্রেমিক নাগরিক পার্টির মহাসচিব মো: আলতাফ হোসেন, বাংলাদেশ জনতা পার্টির চেয়ারম্যান মো: রফিকুল ইসলাম রানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, গণহত্যা ও অতীতের প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার, ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের সুরক্ষা, অর্থনীতি শক্তিশালী করা, বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা এবং দেশের বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে বলা হয়, ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবে অর্জিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের প্রত্যাশা পূরণে কাজ করে যাচ্ছে। দেশে সুশাসন, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এই সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে হবে। দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট করার জন্য জনগণের দুশমন ফ্যাসিবাদীরা নানামুখী অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। দেশকে অশান্ত করার যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করার জন্য ছাত্র-জনতার সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে ভূমিকা পালন করতে হবে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতদের সঠিক পরিসংখ্যান নির্ণয়ের জন্য সরকার একটি কমিটি গঠন করেছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিহতদের হত্যার নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
জাতীয় জীবনে এমন ঐতিহাসিক নজির স্থাপন করতে হবে যেন ভবিষ্যতে কোনো কুচক্রী গোষ্ঠী বা দল ফ্যাসিবাদী আচরণ করতে না পারে।
বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে একটি সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতির দেশ। ফ্যাসিবাদের দোসরদের গুপ্ত হামলা থেকে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের সুরক্ষার জন্য সকলকে প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয়ে হামলা ও অগ্নিকাণ্ড ঘটানোসহ নানা অপকর্মের সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে শাস্তি দিতে হবে।
বিগত সরকার সাড়ে পনেরো বছরে দেশের সাংবিধানিক প্রতিটি সেক্টর ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছিল। দেশ থেকে পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার ব্যবস্থা করতে হবে এবং দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার জন্য বৈদেশিক রেমিট্যান্সের গতি বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
নঈমুদ্দীন/সনি