বিমান ভ্রমণে সক্ষম হলেই খালেদা জিয়ার বিদেশযাত্রার বিষয়ে সিদ্ধান্ত
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বিমান ভ্রমণের উপযুক্ত হলেই তার বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে মেডিক্যাল বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন দলটির নবনিযুক্ত স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সকালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের স্থায়ী কমিটির নবনিযুক্ত দুই সদস্যকে নিয়ে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে যান।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, বেগম খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি অসুস্থ। ফ্লাই করার মতো পরিস্থিতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যাওয়া হবে।
তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরাচার পালিয়ে গেছে। দেশ নবতর স্বাধীনতা পেয়েছে। একবার আমরা ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস পেয়েছি। এবার ৫ আগস্ট নতুন প্রজন্ম দেখতে পেল। স্বাদ পেলো স্বাধীনতা কাকে বলে, কথা বলার স্বাধীনতা, বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতা কাকে বলে।
ডা. জাহিদ আরও বলেন, দেশে মানবাধিকার ছিল না। এক ব্যক্তির শাসন ছিল। সেখান থেকে আজ আমরা মুক্ত হয়েছি। গণতন্ত্রের যাত্রাপথের মুক্তিকে আমাদের সমুন্নত রাখতে হবে।
স্থায়ী কমিটির নবনিযুক্ত আরেক সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমি ৩২ বছর ধরে বিএনপির সদস্য। আমাদের নীতিনির্ধারণী ফোরামে স্থান দেওয়ার জন্যে খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আগামী দিনগুলোতে বিএনপি জিয়াউর রহমানের আদর্শ অনুসরণ করে বাংলাদেশকে ধীরে ধীরে উন্নতির শিখরে নিয়ে যাবে, এটাই আশা করি।
গণতন্ত্র ফেরানোর আন্দোলন ১৬ বছর আগে বিএনপি শুরু করেছিল, উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেষ পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা যোগ দিয়ে এই আন্দোলনকে বেগবান করে চূড়ান্ত লক্ষ্যে নিয়ে গিয়েছে। আজকে এই আন্দোলনে শুরু থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যতজন শহিদ হয়েছে, তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করি।
ছাত্র-জনতার আগস্ট বিপ্লবে দেশের সেনাবাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করে সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, আগস্ট বিপ্লবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শেষ মুহূর্তে এসে জনগণের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে স্বৈরাচারকে বিতাড়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। সেজন্য সেনাবাহিনী, সশস্ত্র বাহিনীর প্রত্যেকটি সদস্যকে আমি ধন্যবাদ জানাই। আশা করি, আগামী দিনেও এসব বাহিনী, যারা জনগণের অর্থে প্রতিপালিত, তারা সব সময়ে জনগণের সাথে থাকবে, কখনো স্বৈরাচারকে স্থান দেবে না।
এমএ/রফিক