ঢাকা     সোমবার   ২৪ মার্চ ২০২৫ ||  চৈত্র ১১ ১৪৩১

যে নৌকা চলে গেছে, তা ফিরিয়ে আনা যাবে না: আখতার

ঢাবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:২৭, ২২ মার্চ ২০২৫  
যে নৌকা চলে গেছে, তা ফিরিয়ে আনা যাবে না: আখতার

বক্তব্য প্রদান করছেন এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন

যে নৌকা ভেঙে বঙ্গোপসাগরে চলে গেছে, সেই নৌকাকে আর ফিরিয়ে আনা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন।

তিনি বলেছেন, “কোন সাধারণ ঘটনা বা নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের বিদায় হয়নি। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাদের বিদায় হয়েছে। সুতরাং, আমাদের পুনর্জন্ম হতে পারে। কিন্তু আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন হবে না। যে নৌকা ভেঙে বঙ্গোপসাগরে চলে গেছে, সে নৌকাকে আর ফিরিয়ে আনা যাবে না।”

শনিবার (২২ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে জাতীয় নাগরিক পার্টি ঢাকা মহানগরের আয়োজনে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

আরো পড়ুন:

বিক্ষোভ সমাবেশে এনসিপির যুগ্ম-আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব, মাহিন সরকার, আতিক মুজাহিদ, রফিকুল ইসলাম আইনি, মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, যুগ্ম-মুখ্য সংগঠক অ্যাডভোকেট তারিকুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য প্রদান করেন। 

আখতার হোসেন বলেন, “অনেকে ভালো আওয়ামী লীগের কথা বলেন। আমরা বলি, ‘লোম বাছতে গিয়ে যেমন কম্বল উজাড় হয়ে যায়, তেমনই আওয়ামী লীগের ভালো নেতৃত্ব বাছাই করতে গেলে আওয়ামী লীগ উজাড় হয়ে যাবে।’ আওয়ামী লীগের কোনো ভালো নেতৃত্ব নেই। আওয়ামী লীগ শাপলা, পিলখানা, ২৪ এর গণহত্যাসহ অন্যান্য গণহত্যা চালিয়েছে তার দায় স্বীকার করেনি। সুতরাং তাদের পক্ষে কেউ দাঁড়ানোর চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে আমরা সর্বাত্মক প্রতিরোধ গড়ে তুলব।”

আখতার হোসেন আরো বলেন, “আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে, ততবারই এ দেশের মানুষের জীবন হুমকির সম্মুখীন হয়েছে। ৭১ এর পরে তারা গণতন্ত্রকে কবর দিয়ে বাকশাল কায়েম করেছিল। এ দেশের মানুষের যে গণতন্ত্র চেয়েছিল, ১৪, ১৮ ও ২৪ এর নির্বাচনে সে গণতন্ত্রের মুখে চুনকালি মেখেছে। আমাদের চোখে সামনে যারা মারা গেছে, তাদের রক্তের শপথ, আমাদের শরীরে এক ফোটা রক্ত থাকতে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতে দেব না।”

তিনি বলেন, “অভ্যুত্থানের ৭ মাস হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকার এখনো আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কোনো বিচারিক কাজ শুরু করেনি। আমরা বলতে চাই, অবিলম্বে লীগের বিচার শুরু করতে হবে। শুধু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী না, দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার করতে হবে। আওয়ামী লীগের নামে কোনো সাংগঠনিক বা রাজনৈতিক কাজ করতে দেওয়া যাবে না। লীগের নিবন্ধন অল্প সময়ের মধ্যে বাতিল করতে হবে। না হলে ছাত্র-জনতা আবার রাজপথে এসে লড়াই করবে।”

রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার যে চার্টার দিয়েছে, আপনারা সে চার্টারে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের কথা উল্লেখ করুন। আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধকরণে বিষয়ে আপনাদের অবস্থান স্পষ্ট করুন।”

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়