ঢাকা     শুক্রবার   ০৮ নভেম্বর ২০২৪ ||  কার্তিক ২৪ ১৪৩১

রাঙামাটির চাকমাদের ঐতিহ্য ‘পিনন শাড়ি’ 

মেসবাহ য়াযাদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:১৫, ২৪ জুন ২০২১   আপডেট: ২০:৫৬, ২৪ জুন ২০২১
রাঙামাটির চাকমাদের ঐতিহ্য ‘পিনন শাড়ি’ 

রাঙামাটির প্রায় সব চাকমা পরিবারেই পারিবারিক ও জাতিগত ঐতিহ্য কাপড় বোনা। একসময় বাংলায় মসলিন রেশম বস্ত্রের পাশাপাশি চাকমাদের আলাম বস্ত্র শিল্পের বিভিন্ন ডিজাইনের নকশার জন্য শ্রেষ্ঠ নিদর্শন হিসেবে বিবেচিত হয়। ‘আলাম’কে ভিত্তি করে সেসব তাঁতে বোনা কাপড়ে নানা রকম ফুলের নকশা থাকে। 

কাপড়ে নকশা তোলার জন্য বিভিন্ন ফুলের ও রঙের বিন্যাস দেওয়া ডিজাইনসম্পন্ন টেমপ্লেট হচ্ছে ‘আলাম’। তবে আলামের নকশা প্রথম কে কবে তৈরি করেছিলেন, তা আজও অজানা। ১৮৮৩ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতায় আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে আলাম নকশা প্রদর্শন করে চাকমা রানি দয়াময়ী রায় পুরস্কৃত হয়েছিলেন।

চাকমা জনগোষ্ঠীর মেয়েদের ঐতিহ্যবাহী পোশাকের নাম হচ্ছে ‘পিনন-হাদি’। দুটি কাপড়ের সমন্বয়ে করা সেই পোশাকের কোমরে জড়ানো অংশটুকুর নাম পিনন আর আঁচল সদৃশ অংশটুকুকে বলা হয় হাদি। ফতুয়া কিংবা যে কোনো ধরনের টপসের সঙ্গে পরা হয়ে থাকে এটি। এই পিনন-হাদি’র রয়েছে নিজস্ব বৈশিষ্ট্য, স্বকীয় নকশা। জনপ্রিয়তার কারণে এই নকশার অনুকরণে বর্তমানে যে শাড়ি বোনা হয়, তার নামই ‘পিনন শাড়ি’। 

দিনে দিনে নানা নকশার চমৎকার সব উজ্জল রঙের এই পিনন শাড়ির দেখা পাওয়া যায়। শুধু তাঁতে বোনা সুতি পিনন নয়, বর্তমানে অত্যাধিক চাহিদার কারণে হাফসিল্ক, মার্সেলাইজড এবং সিল্ক পিনন শাড়িও তৈরি হচ্ছে। চাকমা মেয়েদের পিননের বাম পাশে লম্বালম্বি রঙিন ভারি নকশা-যার নাম ‘চাবুগি’। এই চাবুগি অংশটাই পিনন শাড়ি তৈরির সময়ে আঁচলে তোলা হয়। সেই শাড়িকে বলা হয় ‘চাবুগি পিনন শাড়ি’। চাবুগি পিনন শাড়ির উপরের দিকের পাড়ের তুলনায় নিচের দিকের পাড় ভারি নকশা এবং চওড়া করে বোনা হয়। 

রাঙামাটির এই পিনন-হাদি পোশাকের অনুকরণের ‘পিনন শাড়ি’ পাওয়া যাচ্ছে অনলাইন ভিত্তিক বুটিক শপ ‘মুদিতা’তে। অনলাইন ভিত্তিক এই বুটিক হাউজে রয়েছে প্রসিদ্ধ শাড়িসহ দেশের নানা অঞ্চলের কারুকাজ করা নকশীকাঁথা এবং তাঁতে বোনা বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় শাড়ি এবং চমৎকার সব পাঞ্জাবি।

ক্রেতা সন্তুষ্টির জন্য নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানালেন মুদিতার উদ্যোক্তা ফারহানা জেবীন। মুদিতা সবসময় ভালো মানের কাপড়, দৃষ্টিনন্দন ডিজাইন এবং তুলনামূলক কম লাভে পণ্য সরবরাহ করছেন বলেও জানালেন তিনি। মুদিতার কোনো পণ্য গ্রাহকের পছন্দ না হলে, সেটা কুরিয়ার সার্ভিস থেকে ফেরৎ দেওয়ার সুযোগও তারা রেখেছেন। 

জেবীন জানান, যে কোনো গ্রাহক চাইলে ক্যাশ অন ডেলিভারি সিস্টেমে মুদিতা থেকে পণ্য কিনতে পারেন।

মুদিতা’র ফেসবুক ঠিকানা-facebook.com/mudita.bd/

/মাহি/ 


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়