ঢাকা     সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ১০ ১৪৩১

মিশ্র ফলবাগানে প্রথম ফলনেই লাভবান দুই বন্ধু

তারিকুল ইসলাম, শেরপুর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৩৭, ১৩ মার্চ ২০২২   আপডেট: ১৩:৩৯, ১৩ মার্চ ২০২২
মিশ্র ফলবাগানে প্রথম ফলনেই লাভবান দুই বন্ধু

শেরপুরে ২৫ একর জায়গা লিজ নিয়ে মিশ্র ফল বাগান করে অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছেন দুই বন্ধু। প্রবাসী বোনের অনুপ্রেরণা ও আর্থিক সহযোগিতায় দুই বন্ধু চাকরি ও ব্যবসার ফাঁকে চিন্তা করেন এলাকায় কিছু করার। পরে ইউটিউব দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে শুরু করেন মিশ্র ফল বাগান। 

তারা ২০২০ সালে মাল্টা, পেয়ারা, লেবু, সৌদির খেজুর, বিভিন্ন জাতের বরই, আপেল, কমলা, আঙুর, ড্রাগন, বারোমাসি আম, লিচু, লটকন, পেঁপেসহ শতাধিক প্রজাতির ফলের চাষ করেছেন। তার মধ্যে এক বছরের মাথায় থাই পেয়ারা, পেঁপে আর আপেল কুলসহ বেশ কয়েক প্রকার ফল বিক্রি শুরু হয়েছে। প্রথম ধাপের ফল বিক্রিতেই তারা স্বাবলম্বী। আত্মপ্রত্যয়ী যুবক হলেন সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের সূর্যদী গ্রামের ব্যবসায়ী এমদাদুল হক বিদ্যুৎ ও পূবালী ব্যাংক কর্মকর্তা উদয় কুমার। তাদের এই সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে অন্যরাও মিশ্র ফলের বাগান করতে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

বাগানের মালিক এমদাদুল হক বলেন, আমাদের প্রবাসী বোনের কাছ থেকে আর্থিক সহযোগিতা নিয়ে বাগান করেছি। প্রথম বছরেই আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া শুরু করেছি। আমাদের ফলের বাগানের বয়স এক বছর হলেও বাগান থেকে ভালো সাড়া পাচ্ছি। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো আমাদের বাগানের ফল গাছে কোনো প্রকার কীটনাশক ব্যবহার করা হয় না এবং ফল বিক্রির সময় ব্যবহার করা হয় না কোনো ফরমালিন। তাই সাধারণ ক্রেতাদের কাছে এসব ফলের চাহিদা অনেক বেশি। আমাদের উৎপাদিত ফল শেরপুরের চাহিদা পূরণ করে জেলার বাইরেও বিক্রি হবে।

আরো পড়ুন:

উদ্যোক্তা উদয় কুমার বলেন, প্রতিদিন অনেকেই আমাদের বাগান দেখতে আসেন। এতে আমাদের ভালো লাগে। কেউ ফল কেনেন, আবার কেউ ফল বাগান করার সহায়তা চান। আমি চাকরির পাশাপাশি চিন্তা করি মানুষকে কীভাবে বিষমুক্ত ফল খাওয়ানো যায়। ফল চাষ ভালো হওয়ায় একটি নার্সারি করছি। বর্তমানে আমাদের ফলের বাগানে ২৫ জন শ্রমিক কাজ করছেন। আগামী কিছুদিনের মধ্যে নতুন প্রকল্পগুলো শুরু হলে আরও শ্রমিকের কর্মসংস্থান হবে। এই বছরে আমি ফল বিক্রির যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিলাম, তার চেয়ে বেশি ফল উৎপাদন ও বিক্রি করে ফেলেছি।

শেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডাক্তার মোহিত কুমার দে বলেন, আমরা ফলের বাগান নিয়মিত পরিদর্শন করে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। এখানে ফলের বেশি আবাদ হলে বিদেশি ফল আমদানি অনেকাংশে হ্রাস পাবে। আগে আমাদের ধারণাই ছিল না শেরপুরের সমতল ভূমিতে মাল্টা চাষ হবে। তবে তাদের স্বাফল্য উন্যদের উৎসাহিত করবে। আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা তাদের দেওয়া হবে। আশাকরি শেরপুর ফল চাষে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে।

/মাহি/

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়