ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

রক্তই মানবদেহের শক্তির উৎস

মোঃ আমিরুল ইসলাম প্রামাণিক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৫৫, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
রক্তই মানবদেহের শক্তির উৎস

মোঃ আমিরুল ইসলাম প্রামাণিক: পৃথিবীব্যাপী চিকিৎসক এবং হাসপাতালের সংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমনি রোগ এবং রোগীর সংখ্যারও উন্নতি হচ্ছে। চিকিৎসাখাতের আদিকাল এবং একাল পর্যালোচনা করলে এর সত্যতা পাওয়া যাবে। হয়তো আদিকালের মানুষ চিকিৎসার অভাবে কষ্ট পেতেন।  তবুও বলবো যে, আদিকালের মানুষ একালের মানুষদের মত এভাবে কষ্ট পেয়ে মরতেন না। বরং তারা অনেক কম রোগে ভুগতেন এবং দীর্ঘদিন বাঁচতেন। বিশুদ্ধ রক্তই ছিল যার মূল শক্তি। সুস্বাস্থ্যের জন্য এবিষয়ে আমাদের আরো যত্নবান হওয়া উচিত।

আমাদের সৃষ্টিকর্তা সর্বশক্তিমান। তিনিই একমাত্র অবিনশ্বর, আর যা কিছু সবই নশ্বর। তবে নশ্বর হলেও তাতে সৃষ্টিকর্তা যৎসামান্য শক্তি দিয়েছেন। এই শক্তির মাধ্যমে তিনি আমাদের অনশ্বর রেখেছেন। শক্তিটুকু ফুরিয়ে গেলেই আমরা নশ্বরে পরিণত হব। পুনরায় ফিরে পাব পরকালীন অনন্ত জীবন।

আমরা জানি যে পৃথিবীতে দু’ধরনের পদার্থ আছে। একটি জীব অপরটি জড়। জীবের যেমন জীবন আছে, তেমনি জড়েরও জীবন আছে। আছে শক্তিও। এটি বিজ্ঞানীদের ভাবনা, তাই এদিকে যাব না (কারো সন্দেহ হলে যে কেউ ইট-পাথরে কিংবা কাঠের গুড়িতে একটা ঘুষি মেরে পরীক্ষা করতে পারেন)। আর এ লেখার উদ্দেশ্য হলো আমরা যারা চাকরিজীবী তারা সবাই শিক্ষার আলোয় আলোকিত মানুষ। মানুষ সৃষ্টির সর্বশ্রেষ্ঠ জীব। সে কারণে ভাবনা থাকা স্বাভাবিক। পাঠকদের ভাবনা একটু বাড়াতে-কমাতে এই লেখার  প্রয়াস।

জীব হিসেবে মানব দেহের যে শক্তি আছে তার নাম জীবনীশক্তি। ইংরেজিতে যাকে বলে Vital Force. ।এই Vital Force এমন এক শক্তি যা মানব জীবন শাসন করে। একমাত্র অধিপতিও বলা যায় একে। এই শক্তির কোনো ব্যত্যয় ঘটলেই মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে। সবল থাকলে সুস্থ থাকে। এই শক্তি চোখে দেখা যায় না। এমনকি অণুবীক্ষণ দিয়েও নয়। সকল শক্তির বৈশিষ্ট্য একই। শুধু অনুভব করা যায় আর ফলাফল দেখা ও জানা যায়।

জীবনীশক্তির আলাদা কোনো সত্তা নেই। এটি জীবদেহে রক্তের সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়ে থাকে। যার জীবনীশক্তি যত সবল তিনি তত সুস্থ, শক্তিশালী এবং তত অধিক দিন বাঁচেন। দুর্বল হলেই সর্বনাশ। জীবনীশক্তিকে  সুস্থ রাখার অন্যতম উপায় হলো মন পবিত্র রাখা। পবিত্রতাই একমাত্র প্রতিষেধক, অন্যকিছু নয়। তাই মন যা চায় সব সময় তা করা উচিত নয়। আজকাল এরও চিকিৎসা নিয়ে নানান চিন্তা-ভাবনা চলছে।

সব রোগ নাকি মনের। আমার এক ডাক্তার দাদু (বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এবং এককালের ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেসিডিন বিভাগের চেয়ারম্যান মরহুম জি. এম. চৌধুরী) তাই বলতেন। এখন এসে কিছু অনুশীলনের মাধ্যমে জেনেছি যে, মনের পবিত্রতার সঙ্গে রক্তের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। বিশুদ্ধ রক্ত শুদ্ধ মন, দূষিত রক্ত পঙ্কিল মন। রক্তই মন এবং জীবনীশক্তিকে পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ করে। আজ থেকে প্রায় দু-আড়াইশ বছর আগে এনিয়ে তুলকালাম কাণ্ড ঘটে গেছে। সেকালে রক্ত দূষিত হলেই তা ছুরি দিয়ে কেটে শরীর থেকে বের করে দেয়ার ব্যবস্থা করা হতো। এমনকি শরীরে জোঁক লাগিয়ে শুষিয়ে রক্ত বের করে ফেলা হতো। চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে তা থেকে আজ আমরা মুক্ত। ঐ সময় কিন্তু রাজা-বাদশারাও রক্ষা পাননি বলে জানা গেছে।

এমনও কথা প্রচলন আছে  যে, পৃথিবীর ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলের মানুষের মধ্যে রক্তের, বিশেষ করে ব্লাড গ্রুপের তারতম্য রয়েছে। কোন অঞ্চলে একটা নির্দিষ্ট গ্রুপের লোক বেশি, আবার কোন গ্রুপের লোক কম। তাই তো অঞ্চলবিশেষে ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব, আচার-আচরণ, চিন্তা-ভাবনা, আবেগ-অনুভূতি, কাজ-কর্মে পার্থক্য দেখা যায়। এবিষয়ে ডাক্তার এবং গবেষকরা ভালো বলতে পারবেন। ডাক্তাররা খুব ভালো করেই জানেন যে, রক্ত কি জিনিস এবং তা থেকে কী কী হয়। যে কারণে ডাক্তারদের কাছে গেলে প্রথমেই রক্ত পরীক্ষা করতে দেন। এমনি এমনি নয়।

আমরা সাদামাটাভাবে চিন্তা করলেই তো পাই যে, পানির অপর নাম জীবন হলেও রক্ত কিন্তু তারও আগে। কারণ, আপনি যদি না-ই বাঁচেন, তাহলে পানি দিয়ে কি হবে? তাই নিজেদের স্বার্থে নিচের টেবিল থেকে সামান্য কিছু জেনে নিই যে রক্ত পরীক্ষা কেন গুরুত্বপূর্ণ এবং রক্তের নানা উপাদানের হেরফের হলে কী কী রোগ-ব্যাধিতে পড়তে হয়:

রক্ত পরীক্ষা (Blood Examination):



লেখক: জয়পুরহাটের অধিবাসী ও চাকরিজীবী




রাইজিংবিডি/ঢাকা/ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/হাসনাত/তারা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়