শীতে কোষ্ঠকাঠিন্য ঠেকাতে করণীয়
শীতকালে অনেকেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগেন। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ঠান্ডার মৌসুমে পানি কম পান করা, প্রচুর চা বা কফি পান করা, কম ব্যায়াম করা, ফাইবারযুক্ত খাবার কম খাওয়ার কারণেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বেশি দেখা যায়।
দীর্ঘদিন কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগলে সেখান থেকে কোলন ক্যানসারও হতে পারে। তাই শীতকালে জীবনযাপনের ব্যাপারে সচেতন হওয়া জরুরি।
* শীতেও পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেতে হবে। দিনের শুরুতে হালকা গরম পানিতে লেবু মিশিয়ে খেতে পারেন। সেই সঙ্গে নিয়মিত হাঁটুন। শরীরে পানির ঘাটতি পূরণে তরল জাতীয় খাবার খান।
* প্রতিদিন সকালে খালিপেটে হালকা গরম পানিতে ২-৩টি ভেজানো খেজুর খেতে পারেন। খেজুরে আছে এমন কিছু পুষ্টিগুণ, যা খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে।
* সকালে খালি পেটে কিংবা রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে পানিতে ভিজিয়ে ইসবগুলের ভুসি খেতে পারেন।
* সকালের নাস্তায় বা রাতে খই খেতে পারেন। খইয়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকায় এটি পেট পরিষ্কার করতে ভূমিকা রাখে।
* বাঁ দিকে পাশ ফিরে ঘুমালেও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমে।
* কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যায় প্রতিদিন পাকা পেঁপে, আপেল, আঙুর খেতে পারেন। এ ছাড়া প্রচুর পরিমাণ শাকসবজি, ডাল খেতে পারেন।
* কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যায় কিশমিশ খেতে পারেন। কিশমিশে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা কোষ্ঠকাঠিন্য সারাতে দারুণ কার্যকর। তবে পানিতে ভিজিয়ে রেখে কিশমিশ খাওয়া ভালো। কারণ, শুকনো খাবার খাওয়ার ফলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে।
* ভাজা খাবার বা ফাস্ট ফুড সীমিত করুন। এ ধরনের খাবার বেশি খেলেও কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। কারণ এই খাবারগুলোতে ফ্যাট বেশি এবং ফাইবার কম থাকে। এর ফলে হজম প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায়।
* দিনে ২ থেকে ৩ কাপের বেশি চা বা কফি না খাওয়াই ভালো।
* পেট পরিষ্কারের জন্য পর্যাপ্ত ঘুম দরকার। ঘুম ভালো হলেই অনেক সমস্যার সমাধান হয়।
তথ্যসূত্র: বোল্ডস্কাই
/ফিরোজ/