ঢাকা     শুক্রবার   ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ১২ ১৪৩১

দিনে কত পা হাঁটলে সুস্থ থাকা যায়

দেহঘড়ি ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৫৪, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩   আপডেট: ১৩:০৩, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩
দিনে কত পা হাঁটলে সুস্থ থাকা যায়

সুস্থ থাকার একটি ভালো উপায় হচ্ছে পায়ে হাঁটা। এখন শীত মৌসুম। অনেকেই হাতে-পায়ের ব্যথায় ভুগছেন। কেউ ভুগছেন সুগারের এসব সমস্যা থেকে রেহাই পেতে সকাল বিকাল হাঁটার অভ্যাস গড়ে তোলার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। তাছাড়া স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ নিয়ম করে হাঁটেন। কথা হচ্ছে কত পা হাঁটলে সুস্থ থাকা যাবে। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের পরামর্শ কী- চলুন বিস্তারিত জানা যাক।

চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলছেন, হাঁটা একটি সহজ এরোবিক এক্সারসাইজ। এই অভ্যাস একজন মানুষকে সুস্থ-সবল রাখতে সহায়তা দেয়। যাদের পায়ে হাঁটার অভ্যাস আছে তারা সুস্থ জীবনযাপন করতে পারেন। হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে সেরে যেতে পারে ক্রনিক অসুখও।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট স্টেপ বা পা মেপে হাঁটা ভালো। আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) –এর তথ্য মতে, প্রতিদিন অন্ততপক্ষে ১০ হাজার স্টেপ হাঁটলে সুস্থ জীবনযাপন করা সম্ভব। 

যাদের আর্থ্রাইটিসের ব্যথা রয়েছে, তারা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কত পা হাঁটবেন, তার একটি রুটিন তৈরি করে ফেলতে পারেন। 

হেঁটে শারীরিক উপকারিতা পেতে চাইলে একটু জোর গতিতে হাঁটতে হবে। মোট কথা,  হাঁটার সময় শ্বাস ফুলে উঠবে এবং ঘাম বের হবে; তবেই পাবেন উপকার। এই কৌশলকে বিজ্ঞানসম্মত ভাষায় ব্রিসক ওয়াকিং বলা হয়। 

গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত ব্রিসক ওয়াক করলে আলাদা করে শরীরচর্চা না করলেও চলে। এতেই  সুগার ও  প্রেশার ঠিক থাকে।

বিশেষজ্ঞদের কথায়, হেঁটে উপকার পেতে চাইলে দিনে আধা ঘন্টা হাঁটতেই হবে। নাহলে বিভিন্ন রোগে ভুগতে হবে। 

টানা আধা ঘন্টা হাঁটার অভ্যাস না থাকলে ধীরে ধীরে এই অভ্যাস গড়ে তুলতে পারন। প্রথম কয়েকদিন একটু কম সময় হাঁটুন। তারপর ধীরে ধীরে সময় বাড়িয়ে নিন।

দিনের যেকোন সময় হাঁটাতে পারেন। তবে সব থেকে ভালো সময় হচ্ছে সকাল। অল্প দূরত্বে কোথাও যেতে হলে হাঁটার অভ্যাস করুন। 

নিয়মিত হাঁটলে যেসব উপকার পাবেন

১. কমবে ওজন
২. সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকবে
৩. উচ্চ রক্তচাপ কন্ট্রোলে থাকবে
৪. কোলেস্টেরল ঠিক থাকবে
৫. শ্বাসকষ্টের সমস্যা দূর হবে
৬. পেশি শক্তি বাড়বে
৭. মন ভালো থাকবে

সুতরাং একটি ওয়াকিং রুটিন তৈরি করে ফেলুন। সুস্থ জীবনযাপনের দিকে এগিয়ে যান।

তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

/স্বরলিপি/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়