ঢাকা     শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ৮ ১৪৩১

কাশি হলে কখন ডাক্তার দেখাবেন

দেহঘড়ি ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৪২, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩   আপডেট: ১০:০৪, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩
কাশি হলে কখন ডাক্তার দেখাবেন

কাশি হলেই ওষুধ খাওয়া ঠিক নয়। বারবার কাশি কমানোর ওষুধ খাওয়ার ফলে শরীরে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। কাশি একক রোগ নয়। এটি কোনো না কোনো রোগের উপসর্গ। 

কাশি অনেক রোগের প্রতিরক্ষামূলক প্রতিফলন। তাই কাশির ধরন বুঝে চিকিৎসা নিতে হবে। কাশি হলে কখন, কোন পরিস্থিতিতে ডাক্তার ডাকবেন জেনে নিন গাইড লাইন।

মেডিকেল নিউজ টুডে-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বড়দের কাশি হলে যে কয়টি উপসর্গ দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে সেগুলো হচ্ছে- 

১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা তার বেশি জ্বর
কাশির সঙ্গে রক্ত পড়া
অবিরাম কাশি
বুকে ব্যথা
শ্বাস গ্রহণের সময় পাঁজরে ব্যথা অনুভব হওয়া
কাশির সময় ঠোঁট বা মুখ নীল হয়ে যাওয়া
কাশি না হলে শ্বাস নিতে সমস্যা হওয়া
শ্বাস গ্রহণের সময় তীব্র শব্দ হওয়া।

শিশুর ক্ষেত্রে কাশি ১০ দিনের বেশি স্থায়ী হলে অবশ্যই ডাক্তার দেখাতে হবে। কাশির সঙ্গে জ্বর থাকলে এটি জটিল রোগের উপসর্গ হতে পারে।

চিকিৎসকেরা বলছেন, কাশি একক কোনো রোগ নয়, অন্য রোগের উপসর্গ। ফলে শুধু কাফ সিরাপ খাইয়ে কাশির উপশম সম্ভব নয়। বরং আসল রোগ নির্ণয় করতে হবে।

চিকিৎসকেরা আরও বলছেন, প্রথমেই বুঝতে হবে যে কাশি সারানোর কোনো ওষুধ নেই। কাফ-সাপ্রেস্যান্ট ওষুধ বা ওপিওয়েড জাতীয় ওষুধ খাওয়া ঠিক নয়। কাশির কারণ আগে খুঁজে বের করতে হবে। সেই মতো চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।

যে-সব রোগে কাশির মতো উপসর্গ দেখা যায়, সেগুলো হচ্ছে:

রেসপিরেটরি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন: ভাইরাস বা ব্যাক্টিরিয়ার সংক্রমণ থেকে শিশুর কাশির প্রবণতা দেখা যায়। এ সময়ে বাচ্চার যথাযথ হাইড্রেশন বজায় রাখতে হবে ও চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ খাওয়াতে হবে।

ব্রঙ্কোস্প্যাজম: স্টেথো দিয়ে শুনে যদি বোঝা যায় যে, ব্রঙ্কোস্প্যাজম আছে, তাহলে ওরাল ব্রঙ্কোডায়লেটর দিতে হয়। এর মধ্যে লিভোস্যালবুটামল, স্যালবুটামল জাতীয় ওষুধ দেওয়া হয়। তবে এই কাশি বেশি দিন চললে, ইনহেলার তাড়াতাড়ি কাজ করে।

চাইল্ডহুড অ্যাজমা: অনেকদিন ধরে সকালে উঠেই যদি শিশুর কাশি হয়, সেটা কিন্তু চাইল্ডহুড অ্যাজমার প্রাথমিক লক্ষণ। তখন ইনহেলার দিতে হবে। আর এ ধরনের কাশির ক্ষেত্রে ইনহেলার খুব কার্যকর। এর কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। সেক্ষেত্রে ইনহেলার টার্গেট-ওরিয়েন্টেড কাজ করে। 

অ্যালার্জি: ধুলা, ফুলের রেণু, ধূপের গন্ধ, শুকনা মরিচের ফোড়ন ইত্যাদিতে অনেকের অ্যালার্জির আশঙ্কা থাকে। যা প্রাথমিকভাবে কাশি মনে হতে পারে।

মনে রাখবেন: শিশুকে ওষুধ খাওয়ানোর সময়ে ৫-১০ মিলি, যে পরিমাণই হোক, তা ওষুধের বোতলে ক্যাপে মেপে খাওয়াবেন। চামচে মেপে ওষুধ খাওয়া বা খাওয়ানো ঠিক না। চামচের আকার বিভিন্ন রকম হয়, এতে ওষুধের পরিমাপ কম বেশি হয়ে যায়।
 

/স্বরলিপি/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়