রোজায় এই সাত খাবার খান, শক্তি সঞ্চয় করুন
দেহঘড়ি ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম
সাধারণত মানুষ যেসব খাবার খায়, তা থেকে পুষ্টি শোষণ করতে কমপক্ষে আট ঘন্টা সময় নেয় শরীর। এরপর খাদ্য পুরোপুরি হজম হয়। খাদ্য হজম হওয়ার পরে শরীর যকৃৎ এবং মাংসপেশীতে সঞ্চিত গ্লুকোজ থেকে শক্তি নেওয়ার চেষ্টা করে। সুতরাং রোজায় আমাদের খাদ্য তালিকায় এমন খাবার থাকা উচিত যা আমাদের শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে, শক্তি সঞ্চয় করতে সহায়তা করবে। হেলথলাইনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এমন সাতটি খাবার সম্পর্কে জানা যাক।
সেদ্ধ ডিম: এই রোজায় প্রয়োজনীয় প্রটিনের যোগান পেতে সেহরিতে খেতে পারেন সেদ্ধ ডিম। চিকিৎসকেরা বলছেন, একটি সেদ্ধ ডিম থেকে প্রায় ৬.২ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। ডিমে থাকা খাদ্য উপাদান আমাদের বিপাকক্রিয়ার গতি বাড়াতে সহায়ক। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ডিম রফেক্ট খাবার। এটি প্রোটিন সমৃদ্ধ হওয়ার ফলে হজম হতে বেশি সময় লাগে। এতে ক্ষুধা কম লাগে আবার এই খাবার হজম করতে শরীর অতিরিক্ত শক্তি ব্যয় করায় ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। এ ছাড়াও মেটাবলিক রেট ভালো থাকে।
ডাল: ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার ডাল। রোজায় এই খাবার খেলে মেটাবলিজম বাড়বে। ডাল অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো।
ঝালজাতীয় খাবার: কাঁচা বা শুকনা মরিচ খেতে পারেন। এতে খাবার বিপাক প্রক্রিয়া ঠিক থাকবে। মরিচে থাকা ক্যাপসাইসিন বিপাকীয় প্রক্রিয়াকে সহজ করে। এটি শরীরের চর্বি পোড়ার গতি বাড়ায় এবং ক্ষুধা হ্রাস করে। ঝালজাতীয় খাবার প্রতিদিন অতিরিক্ত ৫০ ক্যালরি পোড়াতে সাহায্য করতে পারে।
আদা: ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে আদা। এই খাদ্য উপাদান শরীরের তাপমাত্রা কমিয়ে দেয়। বিপাক নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি হাই ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন বা ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায়। এ ছাড়া রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
সবুজ চা: ইফতারের আধা ঘণ্টা পরে এক কাপ সবুজ চা বা গ্রিন টি খেতেই পারেন। এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। এই চায়ের উপাদানগুলো বিশ্রামরত অবস্থায়ও চর্বির বিপাকে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে।
সবুজ শাকসবজি: রোজায় খাদ্য তালিকায় প্রচুর সবুজ শাকসবজি রাখতে পারেন। ভিটামিন সি যুক্ত এসব খাবার বিপাক প্রক্রিয়া ঠিক রাখবে। এতে শরীরে আয়রন শোষণ ক্ষমতা বাড়বে। সবুজ শাক সবজি ৩০০টির বেশি শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় ভূমিকা পালন করে।
বিশুদ্ধ পানি: মাত্র ৫০০ মিলি পানি পান করে মেটাবলিজম ৩০ শতাংশ এবং শক্তির ব্যয় ১০০ কিলোজুল পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। তাহলে বুঝতেই পারছেন পানি পান করা কত জরুরি। তবে মনে রাখতে হবে অতিরিক্ত পানি পান করা শরীরের জন্য মোটেও ভালো নয়।
/লিপি