ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ১২ ১৪৩১

জাপানিজদের স্বাস্থ্য ভালো থাকার দুই কারণ

দেহঘড়ি ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৩০, ১১ মে ২০২৪   আপডেট: ১১:৩৬, ১১ মে ২০২৪
জাপানিজদের স্বাস্থ্য ভালো থাকার দুই কারণ

নাগানো অঞ্চলের মানুষ নিয়মিত হাঁটে। ছবি: সংগৃহীত

একটা সময় জাপানে সব থেকে বেশি মৃত্যুহার ছিলো নাগানো অঞ্চলের মানুষের। দুইটি পদক্ষেপে সেখানকার মানুষের জীবনযাত্রা পাল্টে গেছে। বর্তমানে জাপানের মধ্যে এই অঞ্চলের মানুষের গড় আয়ু সব থেকে বেশি।

পাহাড়-পর্বত ঘেরা অঞ্চল নাগানো। এই অঞ্চলের বছরের বেশিরভাগ সময় শীত থাকে। বছরে ৬০ দিনের বেশি সময় ওই অঞ্চলে তুষার পড়ে। শীতকালে সেখানে খুব একটা শাক-সবজি উৎপাদন করা যায় না। এখানকার মানুষ গ্রীষ্মের ফলমূল ও শাক সবজি বিভিন্ন উপায়ে সংরক্ষণ করে রাখে। বিশেষ করে তারা ফলমূলের আচার বানিয়ে রাখে। আমরা যেমন বড়ই বা আমের আচার সংরক্ষণ করে থাকি, অনেকটা সে রকম। সারা বছর সেই আচার তাদের খাদ্য তালিকায় থাকে। বিশেষ করে শীতকালে ওই আচার বেশি খায়। এ ছাড়া জাপানের নাগানো অঞ্চলের মানুষেরা স্যুপ খায়। বলতে গেলে তিন বেলার খাবারেই স্যুপের উপস্থিতি থাকে। এসব খাবারে একটা সময় লবণের উপস্থিতি অনেক বেশি থাকতো।  

ডা. তাসনিম জারা বলেন, আমরা জানি যে, লবণ বেশি খেলে শরীরে রক্তচাপ বেড়ে যায়। ব্রেন স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে, এমনকি ব্রেনে রক্তক্ষরণ হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ে। নাগানো অঞ্চলের মানুষ এই সমস্যাগুলো জানার পর থেকে খাদ্যাভাস এবং জীবন যাপন পদ্ধতি পরিবর্তনে বিশাল ক্যাম্পেইন শুরু করে। তারা সুস্থভাবে বাঁচার উপায় খোঁজে। প্রথমেই ওরা ওয়াকিং রুট বা হাঁটার রাস্তা তৈরি করতে শুরু করে। রাস্তাগুলো এমন যে যেতে যেতে খুব সুন্দর সুন্দর দৃশ্য দেখা যাবে। পুরো রাস্তাটি ঘুরে আসতে আসতে প্রায় এক ঘণ্টা লেগে যাবে। সে সব রাস্তায় তারা একা, গ্রুপে কিংবা পরিবার পরিজন নিয়ে নিয়মিত হাঁটে।

আরো পড়ুন:

আচারে বা স্যুপে যাতে লবণের ব্যবহার কমানো যায় সেজন্যও শুরু হলো ক্যাম্পেইন। অনেক ভলান্টিয়ার কাজ শুরু করলো। প্রতিটি পরিবার থেকে যাতে একজন ভলান্টিয়ার থাকে সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখা হলো। যাতে কাজটি পরিবার থেকেই শুরু হয়। ক্যাম্পেইনের অন্যতম জায়গা ছিল সবজি বাজার। শুধু তাই না বেশি লবণ দেওয়া স্যুপ খাওয়ার পরে ব্লাড প্রেসার মেপে মেপে দেখা শুরু হলো যে, রক্তচাপ কীভাবে বাড়ে। এরপরে তারা ধীরে ধীরে সচেতন হয়ে উঠলো এবং খাবারে লবণের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে দিল।

নাগানো অঞ্চলের মানুষেরা চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পরেও নিজেদেরকে কাজে সম্পৃক্ত রাখে। বিশেষ করে ফার্ম করে যেখানে শাক-সবজি, ফল-মূলের আবাদের নিজেদেরকে যুক্ত রাখে। ৮০-৮৫ বছর বয়সেও তারা থাকে কর্মক্ষম।

শারীরিক পরিশ্রম এবং কম লবণযুক্ত খাবার গ্রহণ করে নাগানো অঞ্চলের মানুষের মতো সুস্থ থাকার চেষ্টা করে দেখতে পারেন।

/লিপি


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়