ঢাকা     শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ৮ ১৪৩১

দুধ পান করলে কী সত্যিই কাশি বাড়ে

দেহঘড়ি ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:২৭, ১০ জুলাই ২০২৪   আপডেট: ১৩:৫৮, ১০ জুলাই ২০২৪
দুধ পান করলে কী সত্যিই কাশি বাড়ে

ছবি: প্রতীকী

প্রচলিত নিয়ম হচ্ছে কারও কাশি হলে গরুর দুধ পান করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়। শ্বাসযন্ত্রের যেকোন রোগের ক্ষেত্রেই এই নিয়ম মানা হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় যাদের শ্বাসকষ্ট আছে তাদের দুধ বা দুধের তৈরি কোনো খাবার খেতে অনুৎসাহিত করা হয়। আসলেই কী গরুর দুধ পান করলে শ্বাসযন্ত্রের রোগ বাড়ে?

আমেরিকান কলেজ অফ নিউট্রিশনের জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, গরুর দুধ পান করার সঙ্গে কাশি বা শ্লেষ্মা বাড়ার উল্লেখযোগ্য কোনো কারণ নেই। 

পুষ্টিবিদ রেশমা বলেন— কেউ কেউ দুধ পান করার পরে কফ বা শ্লেষ্মা বৃদ্ধির উপসর্গগুলো অনুভব করতে পারেন। ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সংবেদনশীলতা এবং দুগ্ধজাত দ্রব্যের প্রতি হালকা অসহিষ্ণুতার কারণে এমনটা হতে পারে। দুধ পান করার ফলে সবার  শ্লেষ্মা বা কফ বাড়ে না। তবে যাদের হাঁপানি বা ব্রঙ্কাইটিসের মতো শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা রয়েছে তারা গলায় দুধের পরত অনুভব করতে পারেন।

আরো পড়ুন:

বৈজ্ঞানিক তথ্য হচ্ছে, বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রে দুধ পান করলে শ্বাসযন্ত্রের রোগ বা শ্লেষ্মা বেড়ে যায় না।

রেশমার পরামর্শ— ব্যক্তিগত সংবেদনশীলতা না থাকলে কাশি বা শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকলেও দুধ বা দুগ্ধজাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।

পালমোনোলজিস্ট ডা. খান্নার পরামর্শ— যাদের শ্বাসযন্ত্রের রোগ রয়েছে তাদের নিয়মিত ওষুধ সেবন করা উচিত। এবং বাইরে যাওয়ার সময় ফেস মাস্ক ব্যবহার করা উচিত। এই রোগীদের উচিত নিজেকে হাইড্রেট রাখা। এজন্য প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে হবে এবং তরল জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, যদি কফ হলুদ বা দুর্গন্ধযুক্ত হয় তাহলে রোগীর বুকের সংক্রমণকে নির্দেশ করে। এসব রোগীর উচিত দ্রুত একজন পালমোনোলজিস্টের পরামর্শ নেওয়া।

তথ্যসূত্র: ইণ্ডিয়া এক্সপ্রেস

/লিপি


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়