মাঙ্কিপক্সই এমপক্স
দেহঘড়ি ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম
ছবি: প্রতীকী
এমপক্স খুবই সংক্রামক একটি রোগ। এর আগে এই রোগ মাঙ্কিপক্স নামে পরিচিত ছিল। ১৯৭০ সালের দিকে এই সংক্রমণটি উদ্বেগ তৈরি না করলেও ২০২২ সালে ইউরোপের ১৫টি দেশে ছড়িয়ে পড়ে এবং মানুষের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়। সম্প্রতি এ রোগের নতুন ভ্যারিয়েন্ট খুবই দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এবং এর উচ্চমৃত্যু হার বিজ্ঞানীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি স্বল্প পরিচিত, বিরল এবং গুটি বসন্ত প্রজাতির একটি ভাইরাস। রোগটির প্রধান উপসর্গের মধ্যে রয়েছে, তীব্র জ্বর, মাথাব্যথা, মাংসপেশীতে টান, র্যাশ, শরীরে গুটিগুটি ফোস্কা এবং অবসাদ। এই রোগ ছোঁয়াচে হওয়ায় কোনো আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসলে এই রোগ হতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তির স্পর্শ ও শ্বাস-প্রশ্বাস থেকে এই ছড়িয়ে পড়ে।
মাঙ্কিপক্সের দুইটি প্রজাতি আছে—কঙ্গো এবং মধ্য আফ্রিকান। এর মধ্যে কঙ্গো প্রজাতির মাঙ্কিপক্স অধিক ক্ষতিকর।
বিএসএমএমইউ এর ভাইরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সাইফ উল্যাহ একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, সমস্যাটি প্রথমে সমকামীদের মধ্যে বেশি দেখা গিয়েছিল।
সংক্রামক রোগ বিশ্লেষক ডা. ফজলে রাব্বি চৌধুরীর ভাষ্য, মাঙ্কিপক্স হচ্ছে সেলফ লিমিটিং ডিজিজ। এই রোগ নিজেই হবে এবং দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে ভালো হয়ে যাবে। যেভাবে পক্স ভালো হয়ে যায়। পক্সের থেকে মাক্সিপক্সে ফুসকুড়িটা অনেক বেশি ওঠে। দেখতে খুব খারাপ দেখায়।
/লিপি