কেমোথেরাপির বিকল্প হতে পারে যে চিকিৎসা
দেহঘড়ি ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম
ছবি: প্রতীকী
‘ক্যান্সার’ এই একটি শব্দ মানুষের জীবন বদলে দিতে পারে। ক্যান্সার আক্রান্ত এক ব্যক্তির নাম বেন কুক। বেন লন্ডনে একটি সেলুন পরিচালনা করেন। তার ক্যান্সার শনাক্ত হওয়ার এক বছর পরেও তিনি কাজ থেকে একদিনের জন্য ছুটি নেননি। কারণ সার্জারির পরে তাকে কেমোথেরাপি নিতে হয়নি। সার্জারির পরে নতুন ধরনের রক্ত পরীক্ষায় দেখা গেছে তিনি পুরো ক্যান্সার মুক্ত।
সাধারণত ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের অস্ত্রোপচারের পর শিরার মধ্যে দিয়ে কেমোথেরাপি দেওয়া হয়। যাতে শরীরে থেকে যাওয়া সব ক্যান্সার কোষ ধ্বংস হয়ে যায়।
কেমোথেরাপি না নেওয়ার কারণে কেমোর বিষাক্ত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার হাত থেকে তিনি বেঁচে গেছেন বেন। কেমোথেরাপি নেওয়ার পরে অনেক রোগীর হাত ও পায়ের স্নায়ুর ক্ষতি হয়।
বেন বলেছেন, ‘আমাকে যদি কেমোথেরাপি করতে হতো, আমার মনে হয় না আমি কাজ চালিয়ে যেতে পারতাম। আমার যে হাত চিনচিন করে না, ঝিঝি ধরে না; সেটা আমার জন্য বড় আশীর্বাদ।’
রয়াল মার্সডেনে বেনের নিয়মিত পরীক্ষা চলছে। এদের নেতৃত্বে যুক্তরাজ্যের কয়েক ডজন হাসপাতালে নতুন এই রক্ত পরীক্ষার ট্রায়াল চলছে। এর ফলাফল যুক্তরাজ্যে প্র্রতি বছর হাজার হাজার অন্ত্র ক্যান্সারের রোগীর চিকিৎসার ধরন বদলে দিতে পারে।
রয়াল মার্সডেন হাসপাতালের কনসালটেন্ট ডা. নওরিন স্টার্লিং বলেন, ‘আমাদের আশা এই ট্রায়াল থেকে পাওয়া তথ্যপ্রমাণ দেখাবে যে, স্টেজ থ্রি পর্যায়ে ধরা পড়া অন্ত্র ক্যান্সারের চিকিৎসাতেও এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা যাবে। সার্জারির পর কেমোথেরাপির প্রয়োজনই হবে না।’
যেভাবে কাজ করে এই রক্ত পরীক্ষা
এই পরীক্ষার ফলাফল থেকে জানা যাবে রক্তস্রোতে কোথাও টিউমারের ডিএনএ-র ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অংশও ভেসে বেড়াচ্ছে কিনা। যদি কোথাও ক্যান্সার কোষ না থাকে তাহলে ক্যান্সার ফিরে আসার ঝুঁকি খুবই কম থাকবে।
এতে কেমোথেরাপি নেওয়ার প্রয়োজন নাও হতে পারে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি
লিপি