ম্যামোগ্রাম কখন প্রয়োজন, কাদের প্রয়োজন
দেহঘড়ি ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম
ছবি: প্রতীকী
বিবিসির তথ্য, বাংলাদেশে প্রতিবছর ১৫ হাজার মানুষ স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। এর মধ্যে ৯৮ শতাংশের বেশি নারী। দেরিতে সন্তান গ্রহণ, সন্তানকে বুকের দুধ পান না করানো বা সন্তান গ্রহণ না করা, খাদ্যাভ্যাসে শাকসবজি বা ফলমূলের চাইতে চর্বি ও প্রাণীজ আমিষ বেশি রাখা এবং প্রসেসড ফুড বেশি খাওয়া ব্রেস্ট ক্যান্সার বা স্তন ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। এ ছাড়া যাদের অতিরিক্ত ওজন তাদেরও স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
স্তন ক্যান্সার নির্ণয়ের একটি উপায় হচ্ছে ম্যামোগ্রাম। স্তনে চাকা বা লাম্ব দেখা দিলে ম্যামোগ্রাম করতে হয়। তবে ২০-৫০ বছর বয়সী নারীদের ক্ষেত্রে দেখা গেছে বেশির ভাগ স্তনের চাকাই ক্যান্সার নয়।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ম্যামোগ্রাম হচ্ছে একধরনের বিশেষ এক্স–রে। যা স্তন ক্যান্সার নির্ণয়ে সাহায্য করে।শুধুমাত্র নারীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষায় এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়ে থাকে।
ম্যামোগ্রাম সাধারণত ৩০ বছরের কম বয়সী নারীদের প্রয়োজন হয় না। তারপরেও কখনও কখনও ম্যামোগ্রাম প্রয়োজন হতে পারে। তবে ৩০ বছরের ওপরের নারীদের স্তনে যদি কোনো নতুন চাকা তৈরি হয়, তাহলে সাধারণত একটি ম্যামোগ্রাম করা হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আক্রান্ত এবং অপর স্তন, দুইয়েরই ম্যামোগ্রাম করা হয়, যাতে করে পার্থক্যটা ভালোভাবে বোঝা যায়। ম্যামোগ্রামে স্তনের চাকাটা অস্বাভাবিক মনে হলে সাধারণত বায়োপসির প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।
ঢাকা/লিপি