শীতে শিশুকে কীভাবে গোসল করানো ভালো?
দেহঘড়ি ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম
ছবি: প্রতীকী
শীতে শিশুকে সর্দি, কাঁশি ও জ্বর থেকে রক্ষা করার জন্য নিয়ম মেনে গোসল করানো জরুরি। এজন্য শিশুকে গোসল করানোর আগে আপনাকে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম গুছিয়ে নিতে হবে। তাকে যে তোয়ালে দিয়ে মোছাবেন সেটি রোল করে রাখুন। যাতে গরম থাকে। ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে দিন। জানালা দিয়ে বাইরের বাতাস প্রবেশ করলে শিশু গোসলের সময় কাঁপতে শুরু করতে পারে এবং নীল হয়ে যেতে পারে। কুসুম গরম পানি, সাবান, স্পঞ্জ, জামা-কাপড়, ময়েশ্চারাইজার হাতের কাছে রেডি করে শিশুকে গোসল করান। দুই, তিন মিনিটের মধ্যে গোসল করানো শেষ করুন।
শিশুকে যে ঘরে গোসল করাবেন, সেই ঘরটি গরম হওয়া জরুরি। ঘরে রুম হিটার থাকলে ঘরের তাপমাত্রা দুই ডিগ্রি বাড়িয়ে দিতে পারেন। আর রুমহিটার না থাকলেও সমস্যা নেই, সেক্ষেত্রে ঘরের দরজা, জানালা বন্ধ করে রাখতে হবে। শিশুকে কুসুম গরম পানিতে গোসল করাতে হবে। শিশুর গোসলে ৯০ ডিগ্রি থেকে ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রায় গরম পানি ব্যবহার করা সব সময় স্বাস্থ্যকর নাও হতে পারে। সুতরাং পানির তাপমাত্রা ৯০ ডিগ্রির কম থাকা ভালো। শিশুকে বেশি সময় বাথটাবে বসিয়ে রাখবেন না। বেশি সময় ধরে গোসল করালে শিশু কয়েক মিনিটের মধ্যে ঠান্ডা হয়ে যেতে পারে এবং তার ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়েতে পারে।
দ্রুত গোসল করিয়ে শিশুকে বাথটাব থেকে তুলেই তোয়ালে দিয়ে মুড়িয়ে দিন। এতে সহজেই শরীরের পানি শুষে নেবে। এরপরে শিশুর চুল মুছে দিন। চুল ভেজা থাকলে শিশু কাঁপতে শুরু করতে পারে।
গোসলের আগেই শিশুর জন্য জামা কাপড় প্রস্তুত রাখা জরুরি। গোসলের পরে শিশুকে দ্রুত মুছে দিন, শরীর শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন তারপরে জামা কাপড় পরিয়ে দিন। বেশি সময় খালি গায়ে থাকলে শিশুর শরীর নীল হয়ে যেতে পারে। শিশুর শরীর অতিরিক্ত ঠান্ডা হওয়ার আগেই তাকে মোছানো, শুকানো এবং জামা কাপড় পরানোর কাজ শেষ করতে হবে।
আরও যেসব নিয়ম মানতে হবে
ময়শ্চারাইজড রাখুন: প্রত্যেকেই জানে যে ত্বককে ময়শ্চারাইজ করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। শিশুর ত্বকও ময়েশ্চারাইজড করা জরুরি। গোসলের পর শিশুর শরীর ভালোভাবে মুছে ময়েশ্চারাইজার মেখে দিন। শিশুর ত্বক বেশি শুষ্ক হলে বেশি ময়েশ্চারাইজার মাখার প্রয়োজন হতে পারে। তবে ত্বক ভেজা থাকা অবস্থায় ময়েশ্চারাইজার লাগবেন না।
জানালা বন্ধ রাখা: শিশুর গোসলের সময় ঘরের জানালা বন্ধ রাখুন।
অনিয়মিত গোসল: শীতে শিশুকে প্রতিদিন গোসল করানো জরুরী নয়। শীতকালে, প্রতি দুই বা তিন দিনে শিশুকে একবার গোসল করান। শীতে শিশুরা তেমন ঘামে না। তাই প্রতিদিন গোসল করা জরুরিও নয়। তবে যেদিন শিশুকে গোসল করাবেন না সেদিন কুসুম গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে নিয়ে তার শরীর মুছে দিতে পারেন।
সূত্র: ইউএনবি
ঢাকা/লিপি