ঘন ঘন হাত ধোয়া কী অস্বাস্থ্যকর?
দেহঘড়ি ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম
বার বার হাত ধুলে ত্বকের আদ্রতা হারিয়ে যেতে পারে। ছবি: প্রতীকী
বার বার হাত ধোয়াকে একটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। রোগ-জীবাণু দূর করার জন্য বার বার হাত ধোয়া জরুরি। কিন্তু অনেকে শুধুমাত্র মানসিক অস্বস্তিবোধ থেকে বার বার হাত ধুয়ে থাকেন। প্রয়োজনের তুলনায় বেশিবার হাত ধুলে ত্বকে নানাবিধ সমস্যা দেখা দিতে পারে। হাত ধোয়ারও স্বাস্থ্যকর উপায় রয়েছে।
কনসালট্যান্ট ডা. এস এম ফায়াজ জানিয়েছেন— কীভাবে স্বাস্থ্যকর অভ্যাস বজায় রাখার পাশাপাশি ত্বকের যত্ন নেওয়া যায়।
ডা. ফায়াজ বলেন, ‘‘অতি ঘন ঘন হাত ধোয়া মানসিক অসুস্থতার লক্ষণ। যেমন অবসেসিভ-বাধ্যতামূলক ডিসঅর্ডার (ওসিডি)। ঘন ঘন হাত ধোয়া বা এমনকি হ্যান্ড স্যানিটাইজারের অতিরিক্ত ব্যবহার ত্বকের জ্বালা এবং অন্যান্য সমস্যার কারণ হতে পারে। এতে ত্বকের প্রাকৃতিক তেল ধুয়ে যায়। ফলে ত্বকে শুষ্কতা, লালভাব এবং জ্বালা সৃষ্টি হয়। বার বার হাত ধোয়ার ফলে ত্বকে ও আঙুলের মাঝখানে ফসকুড়ি দেখা দিতে পারে। ফলে ত্বকে একজিমা বা ডার্মাটাইটিসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকি ত্বকে চুলকানি এবং ফাটল সৃষ্টি হতে পারে।’’
‘‘বেশিরভাগ মানুষের জন্য, স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখতে এবং জীবাণু ও ব্যাকটেরিয়া থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্য দিনে ৫ থেকে ১০ বার হাত ধোয়া যথেষ্ট।যেমন—খাবারের আগে এবং পরে, ওয়াশরুম ব্যবহার করার পরে, কাশি, হাঁচি বা আপনার নাক চুলকানোর পরে। এ ছাড়া পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহারের পরে হাত ধোয়া উচিত।’’—যোগ করেন ডা. ফায়াজ।
যদি হাত ধোয়ার পরে ত্বকে সমস্যা দেখা দেয় তাহলে হাতকে আর্দ্র বা ময়েশ্চারাইজড রাখা উপকারী হতে পারে। এর জন্য আপনি গ্লিসারিন, শিয়া মাখন বা সিরামাইডের মতো উপাদান ধারণকারী একটি হ্যান্ড ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করতে পারেন। হায়ালুরোনিক অ্যাসিডের মতো হাইড্রেটিং উপাদানসহ যেসব হ্যান্ড লোশন পাওয়া যায় সেগুলোও হাতের আদ্রতা ধরে রাখতে পারে। হাত ধোয়ার জন্য অতিরিক্ত গরম পানির পরিবর্তে কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন। হাত ধোয়ার পরে নরম তোয়ালে দিয়ে আলতো মুছে নিন।
সূত্র: ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস
ঢাকা/লিপি