শীতকালে বিটরুট কেন খাবেন
দেহঘড়ি ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

ছবি: সংগৃহীত
বিটরুটকে বলা হয় ‘সুপারফুড’। ম্যাঙ্গানিজ, ফোলেট, রিবোফ্লাবিন (ভিটামিন বি২) ও পটাশিয়াম সমৃদ্ধ এই সবজি খেলে নানা রকম উপকার পাওয়া যায়। বিশেষ করে যারা হজমের সমস্যা ভুগে থাকেন তাদের জন্য এই সবজি খুব উপকারি। এ ছাড়া বিটরুট শরীরের প্রদাহ কমায়।
দ্য হেলদি-এর তথ্য, বিটরুট অ্যান্টি–ইনফ্ল্যামেটরি বা প্রদাহরোধী গুণে ভরপুর একটি সবজি। এর রং গাঢ়। যার নেপথ্যে আছে ‘বিটালেইন’ নামের রঞ্জক উপাদান। নাইট্রোজেনসমৃদ্ধ বিটালেইনে থাকে প্রদাহরোধী উপাদান। যার ফলে বিটরুট প্রদাহ কমাতে পারে। বিটরুট খেলে শরীরে সহজে ক্লান্তি ভর করে না। শরীরে সারা দিন শক্তি স্থিতিশীল থাকে।
বিটরুটে আছে উচ্চমাত্রার ফাইবার। এই সবজি খেলে হজম শক্তি উন্নত হয়। এতে অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। বিটরুট অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বাড়ায়। পুষ্টি শোষণে সহায়তা দেয় বিটরুট। এতে থাকা বিভিন্ন খাদ্য-উপাদান অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমের ভারসাম্য ঠিক রাখে। রোগ প্রতিরোধ করে বিটরুট। এই সবজি পেটের প্রদাহ কমায়।
ডায়জেস্টিভ এনজাইমকে স্টিমুলেট করতে বিটরুট পিত্ত রস উৎপাদনে সহায়তা করে। ফলে খাবার হজমে কোনো সমস্যা হয় না। এমনকি লিভারে জমা টক্সিনও বের করে দেয় বিটরুট। এতে পেটে কোনো ক্রনিক রোগ থাকলে দূর হয়ে যায়।
বিটরুটে থাকা খাদ্য-উপাদান শরীরের রক্তপ্রবাহ ভালো করে। যার ফলে আমাদের হৃৎপিণ্ড হয় শক্তিশালী এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি যায় কমে।
উল্লেখ্য, বিটরুট পাচনতন্ত্রে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। এতে অন্ত্রে সহজেই অক্সিজেন পৌঁছাতে পারে। এতে অন্যান্য পুষ্টি সহজে গ্রহণ করতে পারে অন্ত্র। রঙিন এই সবজি নানাভাবে খাওয়া যায়। তরকারি, জুস, স্মুদি কিংবা সালাদ হিসেবে বিটরুট খেতে পারেন।
ঢাকা/লিপি