কখন বুঝবেন রক্তে ইউরিক এসিড বেড়ে গেছে
দেহঘড়ি ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

ছবি: প্রতীকী
চিকিৎসকেরা বলেন, ইউরিক এসিড রক্তে আসে বিভিন্ন ধরনের আমিষ জাতীয় খাবার থেকে। এছাড়া আমাদের শরীরে বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়া হয়—সেখান থেকেও কিছু পরিমাণ আসে।
ডা. মো. গুলজার হোসেন, রক্তরোগ বিশেষজ্ঞ জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনষ্টিটিউট ও হাসপাতাল একটি ভিডিও সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘খাবারের মাধ্যমে আমাদের শরীরে যে ইউরিক এসিড জমা হয়, সেটা সাধারণত আমাদের কিডনী বের করে ফেলে। কোনো কারণে যদি কিডনী এই কাজটি করতে ব্যর্থ হয় তাহলে রক্তে ইউরিক এসিডের মাত্রা বেড়ে যায়। সাধারণত রক্তে ইউরিক এসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে জয়েন্টে ব্যথা হয়, বৃদ্ধাঙ্গুলি ফুলে যায়, ছোট ছোট জয়েন্টগুলো ফুলে যায়। জয়েন্টগুলো লাল হয়ে যায়। এরকম হলে হয়তো আপনার ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। আর যদি কোনো উপসর্গ (symptoms) দেখা না যায়, তাহলে আমরা সাধারণত ওষুধ খেতে বলি না। বা খাবার গ্রহণেও কোনো সমস্যা থাকে না।’’
ইউরিক এসিড প্রতিরোধ করতে এই পানীয় পান করতে পারেন
লেবু-পানি: লেবুতে আছে প্রচুর ভিটামিন সি। এই উপাদান ইউরিক অ্যাসিড ভেঙে ফেলে এবং শরীর থেকে বাড়তি ইউরিক অ্যাসিড বের করে দিতে পারে।
হলুদ মিশ্রিত দুধ: পানিতে হলুদ মিশিয়ে পান করতে পারেন। হলুদে আছে কারকিউমিন। এই পানীয় ইউরিক অ্যাসিড কমাতে অত্যন্ত কার্যকর। ঘুমানোর আগে এক গ্লাস গরম দুধের সঙ্গে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে পান করলে উপকার পেতে পারেন।
শসার জুস: শশাতে থাকা উপাদাদ ইউরিক অ্যাসিডসহ অন্যান্য দূষিত পদার্থ বের করে দিতে বেশ কার্যকর। এতে পিউরিন নেই বললেই চলে। একটা আস্ত শসা সামান্য পানির সঙ্গে ব্লেন্ড করে জুস করে পান করলে উপকার পেতে পারেন।
রক্তে ইউরিক এসিড বেড়ে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করুন।
ঢাকা/লিপি