ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

প্রকাশ হবে বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ন বক্তব্যের সংকলন

হাসান মাহামুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০২:২৫, ২৯ জুলাই ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
প্রকাশ হবে বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ন বক্তব্যের সংকলন

হাসান মাহামুদ: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে আগামী বছর প্রকাশ করা হবে তার উন্নয়ন ভাবনা নিয়ে ভাষণের সংকলন। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত বক্তব্যের ভিডিও ক্লিপ নিয়ে ‘বঙ্গবন্ধু ও পরিকল্পনা কমিশন’ নামে ডকুমেন্টেশন তৈরি করা হবে।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে এই কর্মসূচি হাতে নিয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা বিভাগ। বিভাগটিকে এ কাজে সহযোগিতা করবে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি)।

মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. ইসরাত হোসেন খান জানান, গত ১৪ জুলাই ‘বঙ্গবন্ধু ও পরিকল্পনা কমিশন’ নামক ডকুমেন্টেশন তৈরি ও ‘আলোকচিত্র প্রদর্শনী’ সংক্রান্ত বাস্তবায়ন উপ-কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে। ১৮ সদস্যের এই কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে পরিকল্পনা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (পিটি) মো. খলিলুর রহমানকে। এই উপকমিটি তাদের কর্মপরিধিভুক্ত কর্মসূচিগুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আর্থিক সংশ্লেষ নিরুপণ করে তা পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন কমিটিকে জানাবে।

২০২১ সাল বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী। আর ২০২০ সালের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মগ্রহণের শততম বছর পূর্ণ হবে। তাই ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত সময়কে ‘মুজিব বর্ষ’ হিসেবে পালনের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি ও বেসরকারিভাবে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বছরব্যাপী ‘মুজিব বর্ষ’ উদযাপনের আয়োজন চলছে দেশ জুড়ে।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এই উদ্যোগ মুজিব বর্ষ আয়োজনে ভিন্ন মাত্রা যোগ করবে বলে কর্মকর্তারা আশা করছেন।  

পুরো কর্মসূচির বিষয়ে উপকমিটির আহ্বায়ক পরিকল্পনা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (পিটি) মো. খলিলুর রহমান রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘কমিটি এরই মধ্যে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। এখন চলছে তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম।’

তিনি বলেন, ‘এটি একটি বিশাল কর্মযজ্ঞ হতে যাচ্ছে। ২০২০ সালের ১৭ মার্চের পর এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে। ২০২১ সালের ১৭ মার্চ সময়ের মধ্যে এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের সময়কাল নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে আমরা আশা করছি আগামী বছরেই বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ন ভাবনা সংক্রান্ত ভাষণ নিয়ে বিশেষ গ্রন্থটি প্রকাশ করতে পারবো।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এরই মধ্যে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে আগামী ২০ জানুয়ারি পরিকল্পনা কমিশনসহ পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সকল বিভাগের সমন্বয়ে ‘বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশন দিবস’ জাতীয়ভাবে উদযাপন করা হবে।

২০২০ সালের ১৭ মার্চ পরিকল্পনা কমিশনসহ পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সকল বিভাগের সমন্বয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করা হবে। ২৬ মার্চ উদযাপন করা হবে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। ১৭ এপ্রিল মুজিব নগর দিবস, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস এবং ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হবে।

কর্মপরিকল্পনার অংশ হিসেবে ২০২১ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন করা হবে। ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ সময়ের মধ্যে বঙ্গবন্ধু তার জীবদ্দশায় উন্নয়ন ভাবনা নিয়ে যে সকল বক্তব্য রেখেছেন সে সকল বক্তব্যের ভিডিও ক্লিপ আর্কাইভ থেকে সংগ্রহপূর্বক একত্রিত করে ‘বঙ্গবন্ধু ও পরিকল্পনা কমিশন’ নামে ডকুমেন্টেশন তৈরি এবং পুস্তিকা প্রকাশ করা হবে।

একই সময়কালে সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা পরিষদ (এসএসআরসি) কর্তৃক এ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যতগুলো গবেষণা হয়েছে সেগুলো নিয়ে একটি সেমিনারের আয়োজন করা হবে। এ কাজে সহযোগিতা করবে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ এসএসআরসি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উদযাপন ও জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন সমাপ্তি ঘোষণা করা হবে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৯ জুলাই ২০১৯/হাসান/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়