ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি: অর্থ পৌঁছে দিতে কমিটি

কেএমএ হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৫১, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি: অর্থ পৌঁছে দিতে কমিটি

ফাইল ফটো

সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় বরাদ্দকৃত অর্থ উপকারভোগীর হাতে আরো সহজে পৌঁছে দিতে এবং অন্যান্য কার্যক্রম মনিটিরিং করতে একজন অতিরিক্ত সচিবকে সভাপতি করে ১০ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

সূত্র জানায়, সরকারের দেশব্যাপী পরিচালিত সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ভাতা, সম্মানী, বৃত্তি, উপবৃত্তি ও   নগদ হস্তান্তর সরকারি ট্রেজারি থেকে সরাসরি উপকারভোগীর ব্যাংক অথবা মোবাইল ব্যাংক হিসাবে গভরমেন্ট টু পারসন (জিটুপি) পদ্ধতিতে প্রেরণ শুরু হয়েছে।

বিভিন্ন কর্মসূচির উপকারভোগীকে নির্ধারিত ক্ষুদ্র অঙ্কের নগদ অর্থ পরিশোধের ক্ষেত্রে একটি অভিন্ন ক্যাশ আউট চার্জের পরিমাণ নির্ধারন ও সরকার কর্তৃক তা পরিশোধের বিষযে সুপারিশ পেশ করার জন্য এই কমিটি গঠন করা হয়েছে।

অর্থবিভাগের (বাজেট-১ অনুবিভাগ) অতিরিক্ত সচিব মো. হাবিবুর রহমান কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন। কমিটির অন্য সদস্যরা হচ্ছেন- অর্থ বিভাগের এসপিএফএমএসপি প্রকল্পে নির্বাহী পরিচালক ড. মো. ফেরদৌস হোসেন, অর্থ বিভাগের যুগ্ম সচিব (এনটিআর) নাসরিন সুলতানা, যুগ্ম সচিব (বাজেট-৩) নাজমা মোবারেক, যুগ্ম সচিব (বাজেট-৭) মো. আবদুর রহমান খান, যুগ্ম সচিব মো. সাইফুল ইসলাম, প্রতিনিধি বাংলাদেশ ব্যাংক, প্রতিনিধি হিসাব মহানিয়ন্ত্রক এর কার্যালয়, ঢাকা এবং অর্থ বিভাগের উপসচিব (বাজেট-৯) মো. হাবিবুর রহমান। কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে কাজ করবেন মো. হাবিবুর রহমান।

কমিটির কার্যপরিধি নির্ধারন করে দেয়া হয়েছে। এই কমিটি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সব উপকারভোগীর ভাতা, মজুরি, বৃত্তি, উপবৃত্তি ইত্যাদি ক্ষুদ্র নগদ অর্থ গভরমেন্ট টু পারসন (জিটুপি) পদ্ধতিতে ব্যাংক অথবা মোবাইল ব্যাংক থেকে উত্তোলনে একটি অভিন্ন ক্যাশ আউট চার্জের পরিমাণ নির্ধারন করবে।

কমিটি ক্যাশ আউট চার্জ বাবদ সরকার কর্তৃক প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ এবং তা পরিশোধের পদ্ধতি নির্ধারন এবং ক্যাশ আউট চার্জ যথা যথভাবে বাস্তবায়নের বিষয়টি মনিটরিং করবে।

সরকারের ‘সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রম’ এর আওতায় ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে বিভিন্ন রকম ভাতা ও শিক্ষা-উপবৃত্তি পাচ্ছেন ৭৯ লাখ ২৫ হাজার দুস্থ ও অসহায় মানুষ।

এর মধ্যে ৪৪ লাখ বয়স্ক মানুষ এবং ১৭ লাখ বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা নারীকে নিয়মিতভাবে জনপ্রতি মাসিক ৫০০ টাকা হারে ভাতা দেওয়া হচ্ছে।

অপরদিকে জনপ্রতি মাসিক ৭৫০ টাকা হারে ১৫ লাখ ৪৫ হাজার জন প্রতিবন্ধীকে প্রতিবন্ধী ভাতা এবং মাসিক ৭৫০ থেকে ১৩০০ টাকা হারে ১ লাখ প্রতিবন্ধী শিশুকে দেওয়া হচ্ছে শিক্ষা-উপবৃত্তি। প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ছাত্র-ছাত্রীদের মাসিক যথাক্রমে ৭০০, ৮০০, ১ হাজার ও ১৩০০ টাকা দেওয়া হয়।

বেসরকারি এতিমখানায় প্রতিপালিত ১ লাখ এতিম শিশুও মাথাপিছু মাসিক ২ হাজার টাকা হারে ক্যাপিট্যাশন গ্রান্ট পাচ্ছে। এমন কি ৫০ হাজার বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর প্রবীণ ব্যক্তিদের ৫০০ টাকা হারে দেওয়া হচ্ছে বিশেষ ভাতা।

এছাড়া ৬০০ টাকা হারে ভাতা পাচ্ছেন ২৬০০ জন হিজড়া। বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর ২৫ হাজার ৯০০ জন শিশু এবং ১২৪৭ জন হিজড়া শিশুও পাচ্ছে সরকারে বিশেষ উপবৃত্তি।

সূত্র জানায়, সরকারে দেয়া এই সহায়তা উত্তোলন করতে উপকারভোগীদের সমস্যায় পড়তে না হয়, সেদিকে নজর রাখবে। বিশেষ করে কমিটি ক্যাশ আউট চার্জ বাবদ সরকার কর্তৃক প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ এবং তা পরিশোধের পদ্ধতি নির্ধারন এবং ক্যাশ আউট চার্জ যথা যথভাবে বাস্তবায়নের বিষয়টি মনিটরিং করবে।

 

ঢাকা/হাসনাত/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়